State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • প্রাচীন আরবে ছিল না মরুভূমি, ছিল অবাধ সবুজ
    • এবার কুরআন পোড়ালো ডেনমার্কের চরমপন্থী নেতা
    • ২০২২ সালে প্রতি মাসে আত্মহত্যা করছে ৩৭ জন শিক্ষার্থী
    • গত এক দশকে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৪০০ জন
    • তেলাপোকার দুধ: সুপারফুড হিসেবে যুক্ত হতে চলেছে মানুষের খাদ্যতালিকায়
    • বিবর্তন নিয়ে যত বিভ্রান্তি: মানুষের বিবর্তন কি থেমে গেছে নাকি এখনো হচ্ছে?
    • যেভাবে ভারতকে কেন্দ্র করে মানবপাচার বাড়ছে বাংলাদেশে
    • ৪ হাজার বছর প্রাচীন সোনায় মোড়ানো মমি উদ্ধার: কবে, কেন শুরু এই মমিকরণের?
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      জানুয়ারি ১৩, ২০২৩

      বাংলাদেশের গুম-হত্যা-নিপীড়ন নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই উদ্বেগ

      Recent
      জানুয়ারি ২২, ২০২৩

      ছিনতাই করতে যেয়ে পুলিশের হাতে র‍্যাব সদস্য গ্রেপ্তার

      জানুয়ারি ১৩, ২০২৩

      বাংলাদেশের গুম-হত্যা-নিপীড়ন নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই উদ্বেগ

      জানুয়ারি ১০, ২০২৩

      ওয়াসার এমডির যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ টি বাড়ি: তদন্ত নিয়ে জল ঘোলা

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      ডিসেম্বর ৬, ২০২২

      রিজভীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: পুলিশের অভিযানে ঘরছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা

      Recent
      জানুয়ারি ২৩, ২০২৩

      বাংলাদেশের বিরোধী দল ভয়াবহ দমন-পীড়নের শিকার: দ্য গার্ডিয়ান

      জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

      ধর্ম নিয়ে ভারতীয় তরুণের কটূক্তি, গোপালগঞ্জে স্বজনদের বাড়িতে হামলা

      জানুয়ারি ১৪, ২০২৩

      বিশ্বে সাড়ে চার সেকেন্ডে এক শিশুর মৃত্যু: জাতিসংঘ

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      জানুয়ারি ১৮, ২০২৩

      মিয়ানমারে নো ফ্লাইং জোন চায় যুক্তরাষ্ট্র: লাগবে বাংলাদেশের লজিস্টিক সাপোর্ট!

      Recent
      জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

      এবার কুরআন পোড়ালো ডেনমার্কের চরমপন্থী নেতা

      জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

      কুরআন পোড়ানোয় যেকারণে আটকে গেল সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান

      জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

      বাবার সামনে মেয়ের শ্লীলতাহানি, প্রতিবাদ করায় হতে হল খুন

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

      গত এক দশকে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৪০০ জন

      Recent
      জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

      গত এক দশকে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৪০০ জন

      জানুয়ারি ২৪, ২০২৩

      যেভাবে দেশ থেকে পাচার হচ্ছে অর্থ: গোমর ফাঁস করল সাবেক আর্থিক গোয়েন্দা

      জানুয়ারি ২৩, ২০২৩

      বাংলাদেশের বিরোধী দল ভয়াবহ দমন-পীড়নের শিকার: দ্য গার্ডিয়ান

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জানুয়ারি ১, ২০২৩

      দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভীষিকাময়, প্রকাশ হচ্ছে না গুমের ঘটনা

      Recent
      জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

      ২০২২ সালে প্রতি মাসে আত্মহত্যা করছে ৩৭ জন শিক্ষার্থী

      জানুয়ারি ২৭, ২০২৩

      যেভাবে ভারতকে কেন্দ্র করে মানবপাচার বাড়ছে বাংলাদেশে

      জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

      এক ভাগ মানুষের হাতে নতুন সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ: অক্সফাম

    • আর্কাইভ
    State Watch
    এডিটর পিক

    মার্চের প্রথম দু’সপ্তাহেই ছাড়িয়ে গেল ফেব্রুয়ারির মোট আক্রান্তের সংখ্যা

    স্টেটওয়াচ ডেস্কBy স্টেটওয়াচ ডেস্কমার্চ ১৫, ২০২১No Comments7 Mins Read
    ছবি: সংগৃহীত

    দেশে মার্চের প্রথম ২ সপ্তাহে ১১ হাজার ১৭৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যেখানে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭৭ জনের মাঝে। অর্থাৎ মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহেই ফেব্রুয়ারির চেয়ে ১০২ জন বেশি সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে।  

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেকে নিরাপদ ভেবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। একইসঙ্গে যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদাসীনতা। এমন পরিস্থিতিতে দেশে সংক্রমণের হার বাড়বেই।

    বিজ্ঞাপন

    গত ১৪ মার্চ দেশে ১৬ হাজার ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১৫৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের এটি সর্বোচ্চ সংক্রমণ। ২৩ ফেব্রুয়ারির পরে এ দিনই ১৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে।

    গত ১৪ মার্চ দেশে ১৬ হাজার ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১৫৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের এটি সর্বোচ্চ সংক্রমণ। ২৩ ফেব্রুয়ারির পরে এ দিনই ১৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন আট হাজার ৫৪৫ জন। একই সময়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন।

    ফেব্রুয়ারি ও মার্চের তুলনামূলক পরিসংখ্যান

    • ফেব্রুয়ারি মাসে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তিন লাখ ৯২ হাজার ৩০৫টি।
    • মার্চ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে পরীক্ষা করা হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার ৫২৪ জনের নমুনা।
    • ফেব্রুয়ারি মাসে ১১ হাজার ৭৭ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। 
    • মার্চ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ১১ হাজার ১৭৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
    • ফেব্রুয়ারি মাসে সংক্রমণের হার ছিল দুই দশমিক ৮২ শতাংশ।
    • মার্চ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ।
    • ফেব্রুয়ারি মাসে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।
    • মার্চ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংক্রমণে মৃত্যু হয় ১৩৭ জনের।
    • ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হার ছিল দুই দশমিক ৫৪ শতাংশ।
    • মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে মৃত্যু হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ।

    প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর চলতি বছরের ১৩ মার্চ পর্যন্ত পার হয়ে গেছে ৫৩ সপ্তাহ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৫৪৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন।

     দেশে ৪৫তম সপ্তাহে (১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি) সংক্রমণের হার ছিল পাঁচ দশমিক ৭০ শতাংশ। ৪৫তম সপ্তাহের পরে দেশে সাপ্তাহিক হিসেবে সংক্রমণের হআর কমে আসে পাঁচ শতাংশের নিচে। কিন্তু সংক্রমণের ৫৩তম সপ্তাহে সংক্রমণের হার পাঁচ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়। অর্থাৎ টানা সাত সপ্তাহ সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলেও ৫৩তম সপ্তাহে এটি পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

    সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ

    দেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। অনেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। এ সময় তো করোনার সংক্রমণ হার ধীরে ধীরে কমে আসার কথা থাকলেও ক্রমাগতভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

    এর অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি না মানা। টিকা দেওয়ার পর অনেকের মনে একটা ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে করোনার ঝুঁকি কমছে, তাই আর স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি না মানলেও চলবে। ফলে একটা ঢিলেঢালাভাব চলে আসে। 

    আগে মাস্ক না পরলে রাস্তাঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা জরিমানা করতেন। এখন আর সেই কড়াকড়ি নেই। রাস্তাঘাট, বাজার, শপিং মলে খুব কম মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেন। 

    বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ধুমধামের সঙ্গে চলছে। এসব অনুষ্ঠানে মাস্ক পরার চল প্রায় নেই। ফলে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা বিশেষজ্ঞদের এই অভিমত অনেকাংশে ঠিক।

    অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এমন অভিমতও রয়েছে যে গরমে যেহেতু বাতাসের আর্দ্রতা বাড়ে, তাই করোনার সংক্রমণ বাধাগ্রস্ত হয়। এর পেছনে বিজ্ঞানসম্মত কিছু ব্যাখ্যাও রয়েছে। তাই নিশ্চিতভাবে কিছু বলার সময় এখনো আসেনি। 

    তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কারণ, বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার অন্তত সাত দিন পার না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না।

    তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কারণ, বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার অন্তত সাত দিন পার না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না।

    টিকা নিয়ে হতে পারেন সংক্রমণের কারণ

    বুস্টার ডোজের পরও ঘরের বাইরে চলাফেরায় প্রত্যেকের মাস্ক পরা ও কিছু সময় পরপর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একান্ত কর্তব্য। কারণ, নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত হলেও ভিড়ের মধ্যে চলাফেরায় আমাদের হাঁচি-কাশি, জোরে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। 

    বিস্ময়কর হলেও এটি সত্য। ভিড়ের মধ্যে বাতাসে অন্য কারও শ্বাসপ্রশ্বাসে করোনা-ড্রপলেট ঘুরে বেড়ায়। ওই সব ড্রপলেট প্রথমে আপনার শ্বাসতন্ত্রে ঢোকে। কিন্তু আপনি হয়তো সংক্রমিত হবেন না, কারণ টিকা নিয়েছেন। এ অবস্থায় আপনার প্রশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে করোনা-ড্রপলেটগুলো অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। তাই সবাই মাস্ক না পরলে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন।

    টিকা নিয়েও থাকছে সংক্রমণের ঝুঁকি

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন যে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে সেটি গড়ে মোটামুটি ১০০ জনের মাঝে ৭০ থেকে ৮০ জনকে সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দেবে। ২০ শতাংশের মাছে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। 

    এই শঙ্কা এড়ানোর জন্য ও নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। কিন্তু আমরা দেখছি, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অনেকে রিল্যাক্স হয়ে ঘুরছেন, পিকনিকে যাচ্ছেন যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। 

    এছাড়াও রাজধানীতে যদি দেখা হয় তবে দেখা যাবে এখানেও কিন্ত মাস্ক পরার হার কমেছে। সংক্রমণ তাই বাড়াটা এখানে অস্বাভাবিকভাবে দেখার কিছু নেই।’

    তিনি বলেন, ‘যদি কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানে তবে যে কারও মাঝেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ হতে পারে। কারণ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিন পরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি হতে শুরু করে। এমনকি এর পরেও যে কেউ আক্রান্ত হতেই পারে। আমাদের সবার মনে রাখতে হবে যে, পুরো পৃথিবীতে একটি মহামারি যাচ্ছে। আর ভ্যাকসিন কিন্তু এই মহামারী থেকে সবাইকে নিরাপদ রাখার জন্যেই। 

    কিন্তু ভ্যাকসিন নিলেই কেউ আক্রান্ত হবে এমনটা কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও বলা হয়নি। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময় পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এমনকি ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার পরও সবাইকে অন্তত মাস্ক পরতেই হবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।’

    সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘দেশে সংক্রমণ বাড়ছে কারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন দিলেই কেউ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হবেন না এই ভাবনাটাই তো ভুল। কারণ সবে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি হতেও তো সময় লাগে। এছাড়াও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়াও সম্ভব না। আর তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই।’

    তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তবে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চালু রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগমে না যাওয়াই ভালো। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন পিকনিক স্পট ভিড় বাড়ছে। এগুলো বিপদজনক হতে পারে যেকোনো সময়েই। আর তাই স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।

    টিকাই একমাত্র উপায় নয়

    দেশে ভ্যাকসিন বিতরণ সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে ভ্যাকসিনই কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। ভ্যাকসিন হচ্ছে অনেকগুলোর মাঝে একটিমাত্র উপায়। 

    কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অনেকেই রিল্যাক্স হয়ে যাচ্ছেন। এটি বিপদজনক। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও কিছুটা সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়বেই।’

    তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকতে হলে সবাইকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে কোনো কিছু খাওয়ার আগে ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিতে হবে। একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে।’

    মানুষের উদাসীনতা

    মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে উদাসীনতার কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে মনে করেন কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও মাস্ক পরার প্রবণতা ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাও জরুরি, যেন প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসা শুরু করা যায়। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম, মাস্ক পরা বিষয়ে এক ধরণের উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন রিল্যাক্স হয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন পিকনিক স্পটে প্রচুর ভিড়। এমনকি সেখানে নাকি মানুষ থাকার জন্য হোটেলও পাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। এক্ষেত্রে সংক্রমণ তো বাড়বেই। কারণ জনসমাগম এড়িয়ে চলাটাও তো একটা স্বাস্থ্যবিধি।’

    তিনি বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক কর্মসূচি। এসব স্থানেও প্রচুর মানুষ কিন্তু ভিড় করছে এবং একে অপরের সংস্পর্শে আসছে। এগুলো কিন্তু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দেশে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়ার জন্য অবশ্য এখনই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন গবেষণা। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার যে প্রবণতা আমরা দেখছি তাতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রয়োজন নেই—এমনিতেই সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে।’

    এসডব্লিউ/এসএস/১৮২৬ 

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    করোনাভাইরাস

    Related Posts

    চলতি বছরেই কীভাবে বিদায় নেবে মহামারি জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    যেকারণে ৭৮ বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তুরস্কের এই নাগরিক

    ব্রেইন ফগ: করোনা মহামারি থেকে উদ্ভূত যে রোগ মানব সভ্যতার জন্য হুমকির

    বিজ্ঞাপন

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

    প্রাচীন আরবে ছিল না মরুভূমি, ছিল অবাধ সবুজ

    জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

    এবার কুরআন পোড়ালো ডেনমার্কের চরমপন্থী নেতা

    জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

    ২০২২ সালে প্রতি মাসে আত্মহত্যা করছে ৩৭ জন শিক্ষার্থী

    জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

    গত এক দশকে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৪০০ জন

    জানুয়ারি ২৭, ২০২৩

    তেলাপোকার দুধ: সুপারফুড হিসেবে যুক্ত হতে চলেছে মানুষের খাদ্যতালিকায়

    বিজ্ঞাপন

    সর্বাধিক পঠিত
    • থমকে গিয়ে বিপরীত দিকে ঘুরছে পৃথিবীর কেন্দ্র: কী হতে চলেছে?
      জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      পৃথিবীর উপরে কী কী রয়েছে, তা আমরা দেখতে পাই। কিন্তু ভূভাগের তলায় পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত রয়েছে যে বিরাট জগৎ, তার...
    • ৪ হাজার বছর প্রাচীন সোনায় মোড়ানো মমি উদ্ধার: কবে, কেন শুরু এই মমিকরণের?
      জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলেছেন, একটি কফিনের ভেতর থেকে সোনায় মোড়ানো একটি মানুষের মমির সন্ধান পেয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার মিশরের প্রাচীন এক সমাধি...
    • ১৪ বিলিয়ন বছর পুরনো রেডিও সিগনাল পৌছাল পৃথিবীতে: কে পাঠাল?
      জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      প্রথমবারের মতো অভূতপূর্ব এক ঘটনার সাক্ষী হলো পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা। এতদিন পৃথিবীর বুকে আসা সবচেয়ে পুরানো রেডিও সিগনাল ছিল প্রায় ৫...
    • বিবর্তন নিয়ে যত বিভ্রান্তি: মানুষের বিবর্তন কি থেমে গেছে নাকি এখনো হচ্ছে?
      জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      হোমো স্যাপিয়েন্সের উদ্ভবের পর থেকেই প্রাকৃতিক নির্বাচনের কারণে আমাদের পূর্বপুরুষেরা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়েছেন। এর পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে জিনগত...
    • ভিক্টোরিয়ান যুগে মৃত্যুকে ঘিরে প্রচলিত অদ্ভুত যতো প্রথা
      জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ১৮৩৭-১৯০১ সাল পর্যন্ত ৬৫ বছর রানী ভিক্টোরিয়া ইংল্যান্ড শাসন করেন। তবু ইতিহাসবিদরা মনে করেন যুগধর্ম বিচার করলে এই কাল ১৮২০...
    আজকের ভিডিও
    https://youtu.be/AxaAYxYnMKM
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২৩ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.