প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখে পাকিস্তান ছিল এক ধরনের ‘প্রতারক মিত্র’। ২০১৮ সালের সেই বহুল আলোচিত পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গত ১৫ বছরে “বোকার মতো” পাকিস্তানকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে, আর বিনিময়ে পেয়েছে “মিথ্যা আর প্রতারণা”। সেই ট্রাম্পই আজ পাকিস্তানের নেতাদের হোয়াইট হাউসে ডেকে নিচ্ছেন, তাদের উপহার করা চকচকে কাঠের বাক্সে রাখা খনিজের নমুনা গ্রহণ করছেন, আর ওয়াশিংটনে বসেই ইসলামাবাদের সঙ্গে বড় বড় চুক্তি করছেন। এত নাটকীয় এই ‘উল্টে যাওয়া’ আসলে শুধু কূটনীতির হিসাব নয়; এর ভেতরে জড়িয়ে আছে ট্রাম্প পরিবারের ব্যবসায়িক স্বার্থ, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিরল খনিজ আর দক্ষিণ এশিয়ার অত্যন্ত স্পর্শকাতর নিরাপত্তা রাজনীতি।
পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন আঁতাতের কেন্দ্রে আছে ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল নামের এক ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডেসেন্ট্রালাইজড ফাইন্যান্স প্ল্যাটফর্ম, যার পেছনে সরাসরি ট্রাম্প পরিবারের মালিকানা–স্বার্থ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি করেছে—উদ্দেশ্য, দেশটিতে ব্লকচেইন, স্টেবলকয়েন আর টোকেনাইজড সম্পদের ওপর ভিত্তি করে নতুন আর্থিক খাত গড়ে তোলা। উপরিতলে এটি ‘উইন–উইন’ সহযোগিতা বলেই মনে হয়; কিন্তু যখন দেখা যায় ওই প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ মালিকানা ট্রাম্প পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠদের হাতে, তখন প্রশ্ন জাগে—এখানে আসলে কোন স্বার্থ বড়: মার্কিন রাষ্ট্রের, নাকি হোয়াইট হাউসে বসা পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যবসার?
এই প্রশ্নই এখন ওয়াশিংটনের নৈতিকতা–নজরদারি সংস্থা ও সাবেক কূটনীতিকদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। তাদের যুক্তি, পররাষ্ট্রনীতি হয়ে উঠছে আসলে এক ধরনের ‘ডিল–মেকিং’, যেখানে রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত স্বার্থের জায়গায় আসছে সীমিত কিছু গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত আর্থিক লাভ। পাকিস্তানের সঙ্গে ট্রাম্পের আচরণ এ–ধরনের উদ্বেগের একটি আদর্শ উদাহরণ। একসময় যাকে তিনি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা বলে নিন্দা করেছেন, সেই দেশটিকেই এখন তিনি মূল্যবান অংশীদার বলছেন, কেবল এ কারণে যে সেখানে তাঁর পরিবারের বিনিয়োগের নতুন দরজা খুলছে।
ক্রিপ্টোর পাশাপাশি পাকিস্তান এখন ট্রাম্পকে রীতিমতো ‘খনিজ–কূটনীতি’ দিয়ে ঘিরে ফেলতে চাইছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি রিপোর্টে উঠে এসেছে, কীভাবে পাকিস্তানের সামরিক–ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরল মাটির খনিজ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ চুক্তি করছে। একটি চুক্তিতে, পাকিস্তানের সামরিক নিয়ন্ত্রিত ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (FWO) পাকিস্তানের ‘ক্রিটিক্যাল মিনারেল’ উত্তোলন উন্নয়নের জন্য একটি মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের সমঝোতায় যায়—যার সঙ্গে আবার ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আর শক্তিশালী সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের উপস্থিতি কেবল প্রোটোকল–সাক্ষাৎ নয়, বরং প্রতীকী এক দৃশ্য। ওভাল অফিসে ট্রাম্পের হাতে দেওয়া পলিশ করা কাঠের বাক্সে থাকা খনিজের নমুনা আসলে একটি বার্তা—“দেখুন, আমরা আপনাকে সেই সম্পদ এনে দিতে পারি, যা চীনের ওপর আপনার নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।” পাকিস্তানের প্রচার–ভাষ্য হলো, তারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিরল মাটির খনিজ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বিকল্প উৎস হতে পারবে, যার মাধ্যমে চীনের একচেটিয়া অবস্থান ভাঙা যাবে।
কিন্তু বাস্তবতা এত সোজা নয়। প্রথমত, পাকিস্তানের দাবি—তাদের কাছে ৬–৮ ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের খনিজ মজুত—এটি এখনো অযাচাইকৃত অনুমান, যার বড় অংশই রয়েছে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো অস্থির অঞ্চলে, যেখানে সক্রিয় বিদ্রোহ ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজমান। এই অঞ্চলে বড় আকারে খনিজ উত্তোলন শুধু অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণই নয়, রাজনৈতিকভাবেও বিস্ফোরক। স্থানীয় জনগণ বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে তাদের সম্পদ লুট হচ্ছে, কিন্তু তারা কোনো সুফল পাচ্ছে না। এখন যদি মার্কিন–পাকিস্তান যৌথ খনিজ প্রকল্পগুলো এই অসন্তোষ আরও বাড়িয়ে দেয়, তবে তা শুধু পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের খনিজ উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। বিরল মাটির খনিজ নিয়ে কাজ করা অনেক বিশ্লেষকের মতে, পাকিস্তান এখনো এমন অবস্থায় নেই যে স্বল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উচ্চমানের খনিজ বাজারে ছাড়তে পারবে। তাই আজ যে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, তা বাস্তবে অনেকাংশেই রাজনৈতিক নাটক হয়ে থাকার আশঙ্কা আছে। একটি আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধ তির্যক ভঙ্গিতে লিখেছে—পাকিস্তান সোনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যা দেয়, তা অনেক সময় নুড়িপাথরই হয়ে দাঁড়ায়।
তবে পাকিস্তানের কৌশল একমুখী নয়। খনিজ আর ক্রিপ্টোর পাশাপাশি তারা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অহংকে ছুঁতে চাইছে আরেকভাবে—নোবেল শান্তি পুরস্কারের কথা উড়িয়ে দিয়ে নয়, বরং তাকে এর মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে এসেছে, কীভাবে ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে নোবেলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে তাঁর কাছে রাজনৈতিক ঋণ তৈরি করতে চাইছে, একই সঙ্গে নিজেকে তুলে ধরছে ট্রাম্প–যুগের নতুন ‘বিশ্বস্ত’ অংশীদার হিসেবে। ‘ক্রিপ্টো হাব’, ‘বিটকয়েন মাইনিং সেন্টার’ আর ‘রেয়ার আর্থ সাপ্লায়ার’—এসব লেবেল জুড়ে পাকিস্তান মূলত মার্কিন বাজারে নিজের জন্য ট্যারিফ ছাড়, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক প্রশ্রয় নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি, ইরানকে ঘিরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, আফগানিস্তান–মুখী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয়তা এবং মধ্য এশিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে পাকিস্তান এখনো একটি অপরিহার্য অংশীদার। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নাকি কৌশলগত প্রয়োজন। কিন্তু এই যুক্তি খুব দ্রুতই দুর্বল হয়ে পড়ে, যখন দেখা যায়, পাকিস্তান এখনো বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে কমবেশি নিরাপদ আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে—এমন অভিযোগ আজও আন্তর্জাতিক মহলে উচ্চারিত হয়। ট্রাম্প নিজেও ২০১৮ সালে একই অভিযোগ করেছেন; কয়েক বছরের মধ্যে সেই ধারণা একেবারে বদলে গেছে—এমন মনে করার মতো কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন মাঠে দেখা যায়নি।
এই জায়গায় এসে ট্রাম্পের ‘লেনদেন–ভিত্তিক’ পররাষ্ট্রনীতির বিপজ্জনক দিকটি স্পষ্ট হয়। এমন একজন নেতা, যিনি প্রায় সব সম্পর্ককেই ব্যবসায়িক চুক্তির মতো দেখেন—যেখানে মূল লক্ষ্য, “আমার লাভ কী”—তিনি যদি নিজের পরিবারের ব্যবসাকে রাষ্ট্রীয় নীতির ভিতরে গেঁথে দেন, তাহলে সেটি শুধু সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলেই নয়, পুরো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর ক্রিপ্টো ও খনিজ–চুক্তিগুলো এখন ঠিক সেই ধরনের দৃষ্টান্ত হিসেবেই আলোচিত হচ্ছে।
এই আঁতাতকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাস্তবতা। সাম্প্রতিক সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে দেশটিতে সেনাপ্রধানকে কার্যত সর্বশক্তিমান শাসকে পরিণত করা হয়েছে; নির্বাচিত সরকার অনেকটাই ‘বেসামরিক মুখোশে’ সীমাবদ্ধ। ট্রাম্প যাকে মজার ছলে তাঁর “সবচেয়ে পছন্দের ফিল্ড মার্শাল” বলে আখ্যা দিয়েছেন, সেই সামরিক নেতৃত্ব আজ পাকিস্তানের অর্থনীতি, কূটনীতি এমনকি ক্রিপ্টো ও খনিজ–চুক্তিরও কেন্দ্রবিন্দুতে। এমন এক সময়ে যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে এই শাসন–ধারাকে পুরস্কৃত করতে শুরু করেন, তাহলে তা শুধু পাকিস্তানের গণতন্ত্রের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য খারাপ বার্তা পাঠায়—সিগন্যালটি দাঁড়ায় এমন: “গণতন্ত্রের মুখোশ থাকলেই চলবে, ভেতরে সামরিক শাসন থাকুক, সমস্যা নেই—যতক্ষণ আমাদের ব্যবসা আর নিরাপত্তা স্বার্থ ঠিক থাকে।”
সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। দুই দশকের বেশি সময় ধরে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক কৌশলগত অংশীদারত্ব গড়ে তুলেছে—যার ভিত্তি ছিল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মিল আর চীনকে প্রতিরোধ করার যৌথ আগ্রহ। কিন্তু এখন সেই যুক্তরাষ্ট্রই যদি পাকিস্তানকে জড়িয়ে নতুন নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমীকরণ গড়তে থাকে, ভারতের দৃষ্টিতে তা এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। এর আগে ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে সামরিক সংঘর্ষের পর ট্রাম্প নিজের ভূমিকাকে শান্তির নায়ক হিসেবে তুলে ধরে বলেছিলেন, তিনিই নাকি সংঘর্ষ থামিয়েছেন—যা ভারত সরাসরি অস্বীকার করে। সেই সময় থেকেই ভারতের ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিশ্বস্ত’ অংশীদার মনে করার প্রবণতা শক্ত হয়। এর ওপর যদি ট্রাম্প পাকিস্তান–ঘেঁষা নীতি আর ভারতীয় আমদানির ওপর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উচ্চ শুল্ক আরোপ করেন, তবে দিল্লির দৃষ্টিতে এটি নিছক কর্ম–বিচ্যুতি নয়, বরং দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্কের ভিত্তিই নড়বড়ে করে দেওয়ার মত ঘটনা।
এ অঞ্চলের জন্য এর প্রভাব আরও গভীর। ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা কাঠামোতে যুক্তরাষ্ট্র–ভারত ঘনিষ্ঠতা একটি ভারসাম্য রক্ষা করে আসছিল—বিশেষ করে চীনের বিস্তারের প্রেক্ষাপটে। এখন যদি ট্রাম্প পাকিস্তানের দিকে বেশি ঝুঁকে দুই প্রতিবেশী প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এক ধরনের ‘ব্যালান্সিং গেম’ খেলতে চান, তাহলে এর ফল হতে পারে নতুন আর্মস রেস, সীমান্তে উত্তেজনা আর কূটনৈতিক অনিশ্চয়তার বিস্তার। তাছাড়া পাকিস্তানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যদি আবারও এমন গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে পরোক্ষ সম্পর্ক গড়ে ফেলে, যাদের অতীতে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে, তাহলে তা সন্ত্রাসবিরোধী বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকেও দুর্বল করে দিতে পারে।
সব মিলিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে ট্রাম্পের বর্তমান আঁতাত অনেক স্তরে বিপজ্জনক। একদিকে এটি পাকিস্তানের সামরিক শাসনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও আর্থিক অক্সিজেন যোগাচ্ছে; অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্যকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিরল মাটির খনিজ, ক্রিপ্টোকারেন্সি আর ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই নতুন সম্পর্কের ভেতরে নেই সেই স্বচ্ছতা, যা বৃহৎ কৌশলগত অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে থাকা দরকার। বরং এটি মনে করিয়ে দিচ্ছে ঠান্ডা যুদ্ধের সেই সব সময়কে, যখন স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন কিছু সিদ্ধান্ত পরবর্তীকালে গোটা অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা বয়ে এনেছিল।
ট্রাম্পের জন্য হয়তো পাকিস্তানের এই প্রশংসা, উপহার আর ‘স্বপ্নের খনিজ’–এর প্রলোভন এখন রাজনৈতিক ও আর্থিক, দুদিক থেকেই আকর্ষণীয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থ, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবিরোধী বৈশ্বিক লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে এটি এক বিপজ্জনক জুয়া। পাকিস্তান–ট্রাম্প আঁতাত তাই শুধু দুই পক্ষের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির গল্প নয়; এটি হয়ে উঠছে এমন এক পরীক্ষাগার, যেখানে দেখা যাবে—ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ আর গণতান্ত্রিক পররাষ্ট্রনীতির টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত কোন দিকে ঝুঁকে পড়ে আজকের একমেরু বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশটি।
আপনার মতামত জানানঃ