স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২৬ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার, ১২ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন এনটিএমসির কমান্ডার
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ঘুষ গ্রহণের মামলায় দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁর নাম কমান্ডার মোতাহার হোসেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কমান্ডার পদে কর্মরত ছিলেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত । ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ মঙ্গলবার এই দিন ঠিক করেন। এ নিয়ে মামলার ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
আদালতে মোতাহার হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের ১৬ জুন এনটিএমসিকে চিঠি দিয়ে দুদক আসামি খন্দকার এনামুল বাছির ও মিজানুর রহমানের মধ্যকার কথোপকথনের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মতামত চায়। পরে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য এনটিএমসির মেজর নাহিদ আল আমিন, মেজর ফাহিম আদনান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম নাজিম আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
কারাগার থেকে মামলার আসামি মিজান ও বাছিরকে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। গত বছরের ১৮ মার্চ খন্দকার এনামুল বাছির এবং মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঘুষ লেনদেনের মামলায় গত বছরের ১৪ জানুয়ারি ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
গত বছরের ১৯ আগস্ট এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে গ্রাম পুলিশ বরখাস্ত, বাছাই কমিটি দায়মুক্ত!
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ন্যাশনাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট (এনআইডি) জালিয়াতি করে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) পদে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোরকে নিয়োগ দেওয়ায় ওই নিয়োগ বাতিল করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাবুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের সুপারিশের ভিত্তিতে গ্রাম পুলিশ ( মহল্লাদার) পদ থেকে অভিযুক্ত কিশোর গৌতম রায়কে বরখাস্ত করে উপজেলা প্রশাসন। গত ১৭ জানুয়ারি রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে তাসনিম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ওই আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত বাছাই কমিটিকে এজন্য অভিযুক্ত বা কৈফিয়ত তলব করা হয়নি। আদেশটি উপজেলা প্রশাসনের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজারহাট ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) পদ শূন্য হলে ওই পদে ২০২০ সালের জুলাই মাসে গৌতম রায় নামে এক কিশোরকে নিয়োগ দেয় বাছাই কমিটি। কিন্তু, গৌতম রায় নামে ওই এলাকায় কোনও ব্যক্তি নেই জানিয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাবু অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি জানান, নিয়োগ পাওয়া গৌতম রায় মূলত ওই ওয়ার্ডের নির্মল কুমার রায়ের ছেলে নিপ্পন কুমার রায় (১৭)। নিপ্পন কুমারের ১৮ বছর বয়স পূর্ণ না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাকে নাম ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ এবং ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে আবেদন করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী নিপ্পন কুমারের নাম পরিবর্তন করে গৌতম রায় এবং জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১২ ডিসেম্বর ১৯৯৬ দেখিয়ে আবেদন করে। এ আবেদন পাওয়ার পর তাকে নিয়োগ দেয় কমিটি। যদিও এসএসসি পাসের সনদ অনুযায়ী তার নাম নিপ্পন কুমার রায় এবং জন্ম তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সাল।
উপজেলা প্রশাসনের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত আদেশে বলা হয়েছে, গৌতম রায়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) ও (ঘ) ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪ (৩) (ঘ) ধারায় চাকরি থেকে কেন বরখাস্ত করা হবে না ৭ দিনের মধ্যে তা কারণ দর্শানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কিশোর গৌতম রায় কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত কোনও জবাব না দেওয়ায় সরকারি কর্মচারী ( শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪ (৩) (ঘ) ধারায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।
‘কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন’
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কিছু পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘মাস্তান, সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী আর পুলিশের অতিউৎসাহী কিছু কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে হামলা-মামলা গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের ৬৯ জন নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। এখনও বাসায় বাসায় তল্লাশি এবং ধরপাকড় অব্যাহত আছে।’
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি চসিক নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে এই মামলা ও গ্রেফতার শুরু হয়েছে জানিয়ে ড. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘রবিবার রাত পর্যন্ত আমাদের ৪৯ নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। আজ আমার কাছে আরও ২০ জনের লিস্ট আছে, যাদের আটক করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।’
নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘এখন ভোটের কালচার নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের আর ভোটের ওপর আস্থা নেই, যার পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চ থেকে আমরা দ্বারে দ্বারে গেছি। নির্বাচন বিমুখ মানুষদের আবার ভোটকেন্দ্রে আনার চেষ্টা করেছি। গত ১০ মাস করোনার সময়েও মানুষের কাছে গিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য। অথচ নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে মাস্তান, চাঁদাবাজ, ইয়াবা ব্যবসায়ী দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করার পাঁয়তারা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী পুলিশের দ্বারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করা হচ্ছে। পুলিশের হয়রানি থেকে নারী, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না।’
পতিতাবৃত্তির মামলা মানবপাচার আইনে, পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
চট্টগ্রামের পাচঁলাইশ মডেল থানার এস আই কাজী মাছুমের রহমানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। জোর করে এবং প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা না করে মানবপাচার আইনে মামলা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। সংশ্লিস্ট মামলায় হাসিনা ও পলি আক্তার নামের দুই নারী আসামির জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আদালতে আসামিকে পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অশোক কুমার বনিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানার মোহাম্মদপুরে আবেদ মঞ্জিল নামের একটি ভবনে জনৈক হাসিনা ও পলি আক্তার নামে দুইজন নারী দেহ ব্যবসা শুরু করেন। তারা প্রলোভন দেখিয়ে গার্মেন্টসের নিরীহ নারী শ্রমিকদের এনে পতিতাবৃত্তি করাতো। কাউকে কাউকে জোরপূর্বক এ কাজে বাধ্য করতো। বিষয়টি নজরে আসার পর গত বছরের ৭ নভেম্বর পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। আর পলি আক্তার ও হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) এবং রাজশাহী বিভাগে সেরা মাদকদব্য উদ্ধারকারী কর্মকর্তার পুরস্কারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনের (৪৩) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৯ লক্ষাধিক টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ
সহকারী পরিচালক সুদীপ্ত কুমার চৌধুরী নিজ কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে এ মামলা করেন। সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এজাহার ও অন্যান্য সূত্র জানায়, এসআই আলমগীর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার শৌলীসবলা গ্রামের মৃত মবজেল হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে বগুড়ার সোনাতলা থানায় কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯৭ সালের ২৪ এপ্রিল কনস্টেবল পদে (তৎকালীন দাঙ্গা দমন বিভাগ) যোগদান করেন। এসআই হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর গত ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বগুড়ার শাজাহানপুর থানা এবং ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বগুড়া ডিবিতে কর্মরত ছিলেন। এসআই আলমগীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন– এমন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শেষে সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়। তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর এবং তিন লাখ ৭৬ হাজার ৭৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৭২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের ঘোষণা দেন। অনুসন্ধান ও যাচাইকালে তার নামে আরও সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। আলমগীরের ৪৫ লাখ দুই হাজার ৭০১ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় এবং ১৯৯৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২২ বছরে ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় পাওয়া যায়। ফলে পারিবারিক ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ পাওয়া যায় ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৮ টাকা। এক্ষেত্রে আসামি আলমগীর হোসেন তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। তিনি এ সম্পদ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪-এর ২৭ (১) ধারার শাস্তিযোগ অপরাধ করেছেন। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে মামলা করা হয়েছে। সুদীপ্ত কুমার চৌধুরী জানান, সোমবার দুপুর পর্যন্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
শ্রমিককে হত্যায় পুলিশের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন আদালত
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা শ্রমিক কাশেম আলীকে (২৮) হত্যার ঘটনায় আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সদর থানা পুলিশের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চলের (সদর) বিচারক তারেক আজিজ এ নির্দেশনা দেন। বাদীর আইনজীবী লুৎফুর রহমান রহিম গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কাশেম আলীর স্ত্রী নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ৪ জনের নামে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চলে (সদর) মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলো- সদর উপজেলা তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক এলাকার জসিম ব্রিক ফিল্ডের মাঝি মো. সবুজ, তার ভাই মো. মঞ্জু, মো. স্বপন, একই এলাকার ইব্রাহিম ও অচেনা ৪ জন।
বাদীর আইনজীবী লুৎফুর রহমান রহিম গাজী বলেন, কাশেম হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আদালতের বিচারক তারেক আজিজ আমলে নিয়েছেন। হত্যার ঘটনায় সদর থানা পুলিশের নেওয়া পদক্ষেপসহ আগামী ৫ দিনের মধ্যে ওসিকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
এজাহার সূত্র জানায়, ইটভাটার মাঝি সবুজ এক লাখ ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কাশেমকে কাজে নিয়োগ দেয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কাজে যোগদানের আগে সব টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও সবুজ তা করেনি। কাশেমকে তিনি ৯৪ হাজার টাকা দেয়। বাকি ২১ হাজার টাকার জন্য কাশেম একাধিকবার সবুজকে বলে কিন্তু সবুজ কর্ণপাত করছিল না।
এ নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি কাশেম টাকার জন্য সবুজের বিরুদ্ধে সালিশ বৈঠক বসানোর হুশিয়ারি দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে সবুজ তার সঙ্গে অকথ্য ভাষায় খারাপ ব্যবহার করে। এতে কাশেমও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সবুজ অন্য আসামিদের নিয়ে ইটভাটায় কাশেমের ওপর হামলা করে। আশপাশের লোকজন এসে কাশেমকে উদ্ধার করে। উপস্থিত সবার সামনে কাশেমকে হত্যার হুশিয়ারি দেয় সবুজ। বিষয়টি কাশেম তার স্ত্রী ও মামলার বাদী নুরজাহানকে জানিয়েছেন।
মিমি সভাপতি, সম্পাদক নূরজাহান
কারাগারে তুষারকাণ্ডে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
নিয়ম ভেঙে কারাগারে হল-মার্ক কর্মকর্তা তুষার আহমেদের নারী সাক্ষাতের বিষয়ে দোষী কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেছেন, “এ ঘটনায় ইতিমধ্যে কারাগারের জেল সুপার, ডেপুটি জেলসুপার, প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।“তদন্ত কমিটি কাজ করছে। জেলকোড অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
মহামারীর মধ্যে কারাবন্দিদের সঙ্গে বাইরের কারও দেখা করার সুযোগ না থাকলেও চলতি মাসের শুরুতে কারা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তুষারের সঙ্গে এক নারীর সাক্ষাতের ভিডিও প্রকাশিত হলে তা আলোচনার জন্ম দেয়।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় নারী সাংবাদিক ফোরাম গঠন
কালের কন্ঠ
বিভাগ: গণমাধ্যম
ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মরত নারী সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত হলো ময়মনসিংহ বিভাগীয় নারী সাংবাদিক ফোরাম। মাসরুফা সুলতানা মিমিকে সভাপতি, অধ্যক্ষ নূরজাহান পারভীনকে সাধারণ সম্পাদক ও মারফুয়া আক্তার মুনাকে কোষাধ্যক্ষ করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। সভায় ময়মনসিংহের বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাবুল হোসেন বলেন, নারী সাংবাদিকতা উন্নয়নের পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সংগঠনটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সেই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় সংগঠনটি এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। ১৫ জানুয়ারি সকালে কাশেম ইটভাটায় কাজের উদ্দেশ্যে চলে যায়। ১৮ জানুয়ারি সকালে কাশেম বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে আবদুর রহিমের দোকানে চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথেই আসামিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
Kushtia SP apologises to HC
The Daily Star
Category : State Force
Superintendent of Kushtia police SM Tanvir Arafat yesterday apologised to the High Court for misbehaving with a senior judicial magistrate during Bheramara municipality elections on January 16.
He also promised that such a “mistake” would not occur again.
The SP apologised and gave an undertaking to the HC through swearing an affidavit. In the affidavit, he admitted that he misbehaved with Judicial Magistrate Md Mohsin Hasan and regretted for the incident.
SP Arafat in the affidavit said he is highly remorseful for his “unintentional act” with the judicial magistrate and he would be more serious and cautious in discharging his duties and such types of mistake would not happen in future. During the hearing on a contempt of court rule, the SP sought mercy of the HC and prayed to it to exonerate him from the contempt of court rule. The SP also appeared before the HC bench of Justice Mamnoon Rahman and Justice Khizir Hayat yesterday morning in compliance with its January 20 order.
আপনার মতামত জানানঃ