মাথাপিছু ও প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা—সব হিসাবেই বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে দেয়া ভর্তুকির পরিমাণ ভিয়েতনাম এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও অনেক বেশি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৮১ হাজার মেগাওয়াট। দেশটিতে পিক আওয়ারে গত বছর বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৪৬ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। সক্ষমতার বড় একটি অংশ অব্যবহৃত থাকলেও দেশটির বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ শূন্যের কাছাকাছি। আর কিলোওয়াটপ্রতি ট্যারিফ (ভ্যাট ছাড়া) বাংলাদেশী টাকায় ৯ টাকা ৮ পয়সার সমান।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতা ভিয়েতনামের এক-তৃতীয়াংশেরও কম। বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার পিক আওয়ারে ৬০ শতাংশের ওপরে। ট্যারিফ প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় গড়ে সাড়ে ৮ টাকার কিছু বেশি। আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে মাথাপিছু ভর্তুকির পরিমাণ ১৮ ডলার ৫৩ সেন্টের সমান। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ টাকা ৯৯ পয়সায়। মাথাপিছু ও প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা—সব হিসাবেই বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে দেয়া ভর্তুকির পরিমাণ ভিয়েতনাম এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও অনেক বেশি।
বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ হলো এ খাতে একের পর এক অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ। বিগত সরকারের আমলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় কমিয়ে আনায়ও কখনো মনোযোগ দেয়া হয়নি। পাশাপাশি প্রাথমিক জ্বালানির স্থানীয় উৎসগুলোকে কাজে লাগাতে না পারা এবং নবায়নযোগ্য খাতে বিনিয়োগে অনিচ্ছার কারণেও খাতটিতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমেই বেড়েছে। যদিও এর বিপরীতে জনগণের মধ্যে বিদ্যুতের ব্যবহার সেভাবে বাড়েনি। কমানো যায়নি খাতটির অনুৎপাদনশীল ব্যয়গুলোও। বরং তা দিনে দিনে আরো বড় হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা এশিয়ায়ই বিদ্যুৎ খাতে দক্ষতার দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর অন্যতম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের উপ-উপাচার্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে আজকে যে ব্যয় বেড়েছে তার কারণ মূলত অপ্রয়োজনীয় খরচ বৃদ্ধি ও পরিকল্পনাহীনভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন। এসব করে মূলত বিদ্যুৎ খাতে চুরি ও দুর্নীতি বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরানো হয়েছে। অতীতে করা চুক্তিগুলো হয়তো বাতিলের সুযোগ নেই। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যয় সাশ্রয়ী পরিকল্পনা করে এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। সরকারের সে কর্মকৌশল তৈরি করা উচিত।’
বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে বিদ্যুতের সক্ষমতা ছিল ২৬ হাজার ৮৮৭ মেগাওয়াট (নভেম্বর থেকে এপ্রিল-২০২৪ পর্যন্ত)। যেখানে ওই অর্থবছরে সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট। আর বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে এ সময় ভর্তুকি দিতে হয়েছে ৩২১ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকির পরিমাণ ৩ টাকা ৯৯ পয়সা। আর জনসংখ্যার হিসাবে মাথাপিছু ভর্তুকি ছিল ১৮ ডলার ৫৩ সেন্টের সমান। একই সময়ে প্রতিবেশী ভারতে মাথাপিছু ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ১৪ ডলার ২৯ সেন্টের সমান। আর পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে তা ছিল যথাক্রমে ৮ ডলার ৭১ সেন্ট ও মাত্র ৪ সেন্ট।
বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৭০ মেগাওয়াট। দেশটিতে বিদ্যুতে মাথাপিছু ভর্তুকি ১৪ ডলার ২৯ সেন্ট। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের ট্যারিফ গড়ে ১০ টাকা ৩২ পয়সার সমান। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় এ ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ টাকা ৫৫ পয়সায়।
২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত পাকিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৪২ হাজার ১৩১ মেগাওয়াট। দেশটির বিদ্যুতে ভর্তুকি গত অর্থবছরে ছিল ২১০ কোটি ২৪ লাখ ডলার। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের ট্যারিফ ১২ টাকা ৮৩ পয়সার সমান। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ভর্তুকি দিতে হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। আর মাথাপিছু ভর্তুকি গেছে ৮ ডলার ৭১ সেন্ট।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পেছনে দেশটির বিদ্যুৎ খাতকে দায়ী করা হয় সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের মতো অতিরিক্ত সক্ষমতা বাড়িয়ে বিদ্যুতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক দায়-দেনা তৈরি করেছে দেশটির সরকার। ব্যাপক মাত্রায় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে দেশটির বিদ্যুৎ খাতকে ক্রমেই দায়গ্রস্ত করে তোলা হয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশটি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে গ্রাহকের ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৩ রুপি পর্যন্ত বাড়ায়। এছাড়া বেসরকারি অন্তত দুই ডজন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্যারিফ চুক্তি পর্যালোচনা করা হয়। এমনকি বেশকিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তিও বাতিল করে।
কিন্তু বাংলাদেশে এটুকু অগ্রগতিও এখনো অর্জন করা যায়নি। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এ লক্ষ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে সংস্থাটি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকেও দেশের বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির সীমা যাতে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দকে না ছাড়ায়, সে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ট্যারিফ পর্যালোচনার জন্য ২১ জানুয়ারি ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই সঙ্গে দেশের ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্রয় চুক্তিগুলো নিয়ে পুনরায় দরকষাকষির উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পর্যালোচনা করতে পাঁচ সদস্যের জাতীয় কমিটি করে সরকার। এ কমিটি প্রায় ডজনখানেক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি যাচাই-বাছাই করে চুক্তি পর্যালোচনায় সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক একটি আইনি ও তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করে। যদিও এখনো সুপারিশ অনুযায়ী কোনো আইনি সংস্থাকে নিয়োগ দিতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার।
একটি দেশের বিদ্যুৎ খাতের অদক্ষতাগুলোকে দূর করার জন্য দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর উদাহরণ হিসেবে ভিয়েতনামকে সামনে আনছেন তারা। দেশটির বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ২০২৩ সালে ছিল ৪৩ লাখ ডলার। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের ট্যারিফ ৯ টাকা ৮ পয়সার সমান। কিলোওয়াটপ্রতি ভর্তুকি প্রায় শূন্য। আর মাথাপিছু ভর্তুকি ৪ সেন্ট।
বৈশ্বিক জ্বালানি খাতের থিংকট্যাংক অ্যাম্বারের তথ্য অনুযায়ী, ভিয়েতনাম এরই মধ্যে বিদ্যুতে নবায়নযোগ্য খাতের অবদান ৪২ শতাংশে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৩ শতাংশ সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ। বাকিটা জলবিদ্যুৎ। দেশটিকে এখন বলা হচ্ছে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ‘পাওয়ার হাউজ’। গত এক যুগে দেশটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে জলবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়িয়েছে।
জার্মান অনলাইন ডাটা সরবরাহকারী প্লাটফর্ম স্ট্যাটিস্টার হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে ভিয়েতনামে জলবিদ্যুতের সক্ষমতা ছিল ৭ হাজার ১৮৫ মেগাওয়াট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৩৯ মেগাওয়াটে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে নির্ভরতা বাড়ায় দেশটিতে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ব্যাপক মাত্রায় কমে এসেছে। পাশাপাশি দেশটি এখন কার্বন নিঃসরণের পরিমাণও বৈশ্বিক গড়ের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় সাশ্রয় ও ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা সময় পাঁচ থেকে আট বছর মেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাশ্রয়ী উৎসগুলোর সম্ভাবনাকেও কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র বরাবরই এর বিপরীত।
দেশের বিদ্যুৎ খাতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন বিদ্যুতের নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারণ মূলত এ খাতে পলিসিগত সিদ্ধান্ত কখনই ঠিক ছিল না। ভুল পলিসির কারণে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেমন বাড়ানো হয়েছে, তেমনি আর্থিকভাবে সুফল দেবে না এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার খেসারত বিদ্যুতের ভর্তুকি হিসেবে দিতে হচ্ছে সরকারকে।
ব্যয় সাশ্রয় করতে সরকার বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জের বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারত। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বড় সম্ভাবনা ছিল সবসময়। এসব বিষয় নিয়ে এগোনো যায়নি। ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো করতে পেরেছে। তার ফলাফলও তারা এখন পাচ্ছে। আর বাংলাদেশ চুক্তির বেড়াজালে আটকে বছরের পর বছর ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে খাতটিকে আরো দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলেছে। ’
দেশে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বকেয়া এখন ৪০ হাজার কোটি টাকা। মূলত বিদ্যুৎ কেনা বাবদ বিপিডিবির কাছে এ অর্থ পাবে বেসরকারি ও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানিকারী বিদেশী কেন্দ্রগুলো। অন্যদিকে বিদ্যুতে চলতি অর্থবছরও ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে সরকার। বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় দফায় দফায় বেড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দায় বাড়ায় বছর বছর বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তিনবার ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়।
বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় নিয়ে জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের বর্তমান মহাপরিচালক এজেএম এরশাদ আহসান হাবিব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুতের ট্যারিফ বেড়ে যাওয়ার কারণ মূলত ক্যাপাসিটি চার্জ। আমরা কেবল সক্ষমতার অর্ধেক কাজে লাগাতে পারছি। বাকি অর্ধেক সক্ষমতা বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র না চালিয়েও টাকা নিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিগত বছরগুলোয় গ্যাস সংকটের কারণে ব্যয়বহুল জ্বালানি তেলের ব্যবহার করা হয়েছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ কেন্দ্রভেদে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৪০-৪৫ টাকা পর্যন্ত পড়েছে। অথচ বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়েছে গড়ে ৮ থেকে ১০ টাকায়। বাকি অর্থ ভর্তুকি হিসেবে বিদ্যুতে চলে গেছে। এভাবেই মূলত বিদ্যুতে খরচ বেড়েছে।’
আপনার মতামত জানানঃ