ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম কমেছে। এ কারণে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ২০ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমোদন চায় দেশটির বেসরকারি চিনিকলগুলো।
ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম কমেছে। এ কারণে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ২০ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমোদন চায় দেশটির বেসরকারি চিনিকলগুলো।
মহারাষ্ট্রে প্রতি কেজি চিনির মিলগেট মূল্য ৩৩-৩৪ রুপি, উত্তর প্রদেশে যা ৩৬-৩৬ দশমিক ৫ রুপি। চিনির বর্তমান এ মূল্য যথাক্রমে গত বছরের একই সময়ের ৩৬-৩৭ ও ৩৮-৩৮ দশমিক ৫ রুপির তুলনায় কম।
ইন্ডিয়ান সুগার অ্যান্ড বায়োএনার্জি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) সহসভাপতি গৌতম গোয়েল বলেন, ‘আয় কমে গেলে চিনিকলগুলোর নগদ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া চাষীদের কাছ থেকে আখের মূল্য সময়মতো পরিশোধ করার সক্ষমতায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
ভারতে ২০২২-২৩ বিপণন বর্ষ শেষে চিনির মজুদ ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টনে নেমে আসে। অভ্যন্তরীণ মজুদ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় ২০২৩-২৪ বিপণন বর্ষে দেশটি থেকে চিনি রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়নি।
আইএসএমএর বার্ষিক সাধারণ সভায় গোয়েল আরো বলেন, ‘এ বছর আমরা ৩ কোটি ২৫ লাখ থেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ টন চিনি উৎপাদনের আশা করছি। এর মধ্যে ইথানল উৎপাদনে ৪০ লাখ টন চিনি ব্যবহার করা হবে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা যদি ২ কোটি ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি ৮৫ লাখ টন হয়, তাহলে বছর শেষে মজুদ থাকতে পারে ৮০-৮৫ লাখ টন।
গোয়েল আরো বলেন, ‘গত বছর নির্বাচনের কারণে ভারতে অভ্যন্তরীণভাবে চিনির চাহিদা বেশি ছিল। তবে এ বছর বিক্রির প্রবণতা দেখে আমরা তা ২ কোটি ৮৫ লাখ টনের বেশি হবে বলে মনে করছি না।
আইএসএমএর সভাপতি এম প্রভাকর রাও বলেন, ‘জানুয়ারির মধ্যে শিল্পকারখানা ও সরকার চিনি উৎপাদনের একটি পরিষ্কার চিত্র পাবে। সরকার নিকটবর্তী সময়ে হয়তো ১০ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমোদন দিতে পারে। জানুয়ারিতে বাকি ১০ লাখ টন রফতানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ব্রাজিলের চিনিকলগুলো এপ্রিলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু করবে। তাই সে সময়ের আগ পর্যন্ত আমরা ভালো দামের সুযোগ পেতে পারি।’
আপনার মতামত জানানঃ