পতিত স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগের পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হবে? গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার বিপ্লবের পর শেখ হাসিনা সদলবল ভারতে পালিয়ে গেলে এই প্রশ্নের উদ্রেক হয়। আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেলেও পেছনে রেখে গেছে এক রক্তাক্ত গণবিপ্লবের নির্মম হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস।
এই বিপ্লবে গণহত্যার দায় আওয়ামী লীগের। নির্দয়ভাবে গুলি করে বিপ্লবী ছাত্র–জনতাকে হত্যা করেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। এই গণহত্যার দায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। গণহত্যা ও নির্মম দমন–পীড়নের কারণে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে কি না। ফিরলেও স্বনামে ফিরতে পারবে কি না।
১৯৭৫ সালে বাকশালের পতনের পর জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগ স্বনামে ফিরে আসে। তখনো আওয়ামী লীগ ও বাকশালের সময় রক্ষীবাহিনী দিয়ে নির্বিচার সিভিলিয়ান হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। এখনো একই অভিযোগ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমানের অপশাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব নিয়ে যখন নানা পক্ষের মধ্যে সমালোচনা–আলোচনা হচ্ছে, তখনই আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার দায় প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বিএনপি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায়। বিএনপি বড় দল। তাদের চাওয়া আমরা মেনে নিয়েছি।’ তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি।’ প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির কথা বললেও সেপ্টেম্বরে জামায়াতে ইসলামীর আমিরও পরিষ্কার করেই বলে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক এটা তাঁরা চান না।
ওদিকে সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে রাজনৈতিক দলগুলো বক্তব্যের মাধ্যমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি জার্মানির নাৎসি পার্টির কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৪৫ সালের এই দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখনো নিষিদ্ধই আছে। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগেরও একই ধরনের পরিণতি হওয়া দরকার।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পথ খোলা রাখতে চায়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিষয়ে ঠিক সায় নেই। ছাত্ররা নিষিদ্ধের পক্ষে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠার কথা ছিল। কারণ, দীর্ঘ দেড় দশকে তারাই বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বরং উল্টো ঘটনা হয়েছে।
সরকার সম্ভবত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দিকেই অগ্রসর হতে চেয়েছিল। কারণ, মানবতাবিরোধী অপরাধের সংশ্লিষ্টতা থাকলে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের একটি খসড়া তৈরি করেছিল। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের অধ্যাদেশ সংশোধন করে এ বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। পরে সংশোধনীতে এই ধারাটি যুক্ত করা হয়নি। সরকার বরং বল রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
উল্লিখিত ধারাটি যুক্ত হলে অধ্যাদেশ অনুসারে আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা যেত। আওয়ামী লীগকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট উপাদান ও প্রমাণাদি ট্রাইব্যুনালের হাতে রয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে হত্যাযজ্ঞের বিচার করা হবে। এর জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের সহায়তা নেওয়া হবে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছেন বলেও তিনি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন।
ড. ইউনূস বলেছেন, শুধু জুলাই বিপ্লবের হত্যাযজ্ঞই নয়, গত ১৫ বছরের গুম, বিনা বিচারে হত্যারও বিচার করা হবে। তবে শুধু এ আইনই নয়, ১৯৭৮ সালের রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশের ৬ ধারা অনুসারেও চাইলে আওয়ামী লীগকে আদালতের মাধ্যমে সরকার নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগের লোকজন যতই হম্বিতম্বি করুক বা রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধে বিপক্ষে অবস্থান নিক না কেন, আওয়ামী লীগের পরিধি ছোট হয়ে আসতে পারে যদি ছাত্ররা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চান। ছাত্রদের দিক থেকে এ বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ রয়েছে।
এই যখন সরকার ও ছাত্রদের অবস্থান, তখন রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরাসরি কথা বলছে না কেন? বিএনপি–জামায়াত কি গত ১৫ বছরে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া অত্যাচার–নির্যাতনের কথা ভুলে গেছে? তাদের লাখ লাখ নেতা–কর্মীর মামলার আসামি হওয়া, দেশের ভেতরেই পালিয়ে উদ্বাস্তু–জীবনের কথা, গুম হওয়া, বিনা বিচার হত্যার কথা কি রাজনৈতিক দলগুলো এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেছে?
এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর জেলে আটকে রেখেছে। তাঁকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি আওয়ামী লীগ। বিনা চিকিৎসায় তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশান্তরি করেছে।
কিন্তু এসব নির্মম নির্যাতনের কথা মাথায় রেখেই হয়তো বিএনপি–জামায়াত একটি উদারমুখী সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণের জন্য কোনো দল নিষিদ্ধ না হওয়ার কথা বলছেন। আমেরীয় সম্রাট হাম্বুরাবির দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখের নীতি থেকে সরে এসেছেন। তাঁরা দলের পরিবর্তে ব্যক্তির বিচার চাইছেন। এই দল দুটি সম্ভবত হিংসা–বিবাদের রাজনীতি দূরে ঠেলে দিয়ে নতুন দিনের রাজনীতি শুরু করতে চাইছে। হতে পারে এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল বা উদারতা। কিন্তু এই কৌশল বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।
এটা ঠিক, ৫ আগস্টের পর ব্যাপক হারে হিংসাত্মক ঘটনা এড়ানো গেছে। এর কৃতিত্ব বিএনপিসহ অন্য দলগুলোকে দিতে হবে। কিন্তু শুধু আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীই নন, দল হিসেবেও আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় মানুষ দেখতে চায়। এখানে প্রতিশোধের কথা কেউ বলছে না। বিচারের কথা কথা বলছে। অপরাধীকে বিচার না করে ছাড় দিয়ে সহনশীল রাজনীতি হয় না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর আওয়ামী লীগকে নিয়ে উদার মনোভাব দেশের মানুষ গ্রহণ করতে না–ও পারে। জুলাই বিপ্লবে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এই গোষ্ঠীগত অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠন হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জনসাধারণের মনোভাব বুঝতে না পারলে নিজের জায়গা হারাবে রাজনীতির ময়দানে।
সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে, গণহত্যার দায়ে সংশ্লিষ্ট ফ্যাসিবাদী দলগুলো আর রাজনীতিতে ফিরতে পারেনি। শুধু জার্মানি বা ইতালিই নয়, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতেও বিভিন্ন সময় কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। এদের বেশির ভাগকেই পরবর্তী সময়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
এ হিসেবে আওয়ামী লীগেরও আর রাজনীতিতে ফিরতে পারার কথা নয়। সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চললে এবং ড. ইউনূস যা বলছেন, তা বাস্তবায়িত হলে দলটির বেশির ভাগ নেতা, আওয়ামী লীগ আমলে দায়িত্ব পালন করা অনেক আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তাই গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবেন। শুধু ব্যক্তিই নন, দল হিসেবেও আওয়ামী লীগ দোষী প্রমাণিত হয়ে সাজার মুখোমুখি হবে। কারণ, এখানে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সমন্বিতভাবেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যদি আইন স্বাভাবিক গতিতে চলে এবং আসলেই যদি আন্তর্জাতিক আদালতের সহায়তা নেওয়া হয়, তবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের গণহত্যার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে এর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি সারা দেশে অরাজকতা শুরু করবেন? সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ সুবিধা করতে পারবে না। আর নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়েও নির্বাচন সম্ভব এবং ওই নির্বাচন সারা বিশ্বেই গ্রহণযোগ্য হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যে কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে বাধ্য। আর এখানে গণতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ না; বরং একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখার কথা বলা হচ্ছে, যাদের হাত নিরীহ ছাত্র–জনতার রক্তে লাল হয়ে আছে।
কারণ, আওয়ামী লীগ তার গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়েছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক ছিল না। প্রতিবারই শাসনক্ষমতায় গিয়ে টোটালিটারিয়ান টাইরান্টের চরিত্র ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন একপেশে হবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে নতুন দল গঠিত হবে। পূর্ববঙ্গে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ প্রধান দুই দল ছিল। কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষের সুর ধরতে না পারার কারণে ১৯৪৭ এরপর কংগ্রেস ছিল না। সেই শূন্যতা পূরণ করেছিল আওয়ামী লীগ।
১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত মুসলিম লিগও মানুষের মনের ভাব ধরতে পারেনি। তাই ১৯৭১ সালের পর তারাও উধাও হয়ে যায়। এরপর প্রথমে এসেছিল জাসদ। তারাও পারেনি রাজনীতিকে ধারণ করতে। রাজনীতির পরিবর্তে হত্যা, ডাকাতি ও বারবার অভ্যুত্থান করার চেষ্টা করে রাজনীতি থেকে দ্রুতই হারিয়ে গেছে। ওই জায়গায় পরবর্তী সময়ে চলে আসে বিএনপি এবং এখনো টিকে আছে রাজনীতিতে। গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মতামতকে তোয়াক্কা করেনি। তাই তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। দেশের কোনো দলকে এর আগে দল বেঁধে পালাতে হয়নি। পালিয়ে যাওয়া দল ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা একধরনের অবিমৃশ্যকারী আচরণই হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ এখনো তৎপর। পরিস্থিতি অনুধাবন না করে দেশের বাইরে বসে নানাভাবেই তারা হুমকি দিচ্ছে। এই দলের হাত ধরে স্বাভাবিক রাজনীতি সম্ভব নয়। হ্যাঁ, নিষিদ্ধ হওয়ার পর এই দলের নেতা–কর্মীরা ভিন্ন নামে সংগঠিত হতে পারেন। নতুন দল করতে পারেন।
কিন্তু চাইলেই তো তাঁরা রাজনীতি করতে পারবেন না। কারণ, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কারা আওয়ামী লীগ করে, এটা সবাই জানেন। এঁদের পক্ষে নতুন করে সংগঠিত হওয়া সম্ভব নয়। নিষিদ্ধঘোষিত রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে তাঁরাও রাজনীতি করার অধিকার হারাবেন। ফলে তাঁদের পক্ষে নতুন দল গঠন করা সহজ হবে না। এঁদের বাইরে একেবারে আনকোরা নতুনদের দিয়ে দল গঠন করে প্রভাব বিস্তার করা যাবে না।
তবে সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলো সুযোগ দিলে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করতে পারবেন। অতীতেও পরিষ্কার ভাবমূর্তির জোহরা তাজউদ্দীনের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগ বাকশালকে পরিত্যাগ করে ফিরে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আর পরিষ্কার থাকেনি।
১৯৯৬ সালেই ক্ষমতায় এসে হাজি সেলিম, হাজি মকবুল, হাজারী, শামীম ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। এবারও পরিষ্কার ভাবমূর্তির লোকজনদের দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতিগতভাবেই দলটি ফ্যাসিবাদী আদর্শকে ধারণ করে। এদের পক্ষে গণতান্ত্রিক হওয়া সম্ভব নয়। তাই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
শহীদ সাঈদ, মুগ্ধ বা রিকশায় ঝুলে থাকা গুলিবিদ্ধ নাফিজসহ হাজারো শহীদের মুখ যখন ভেসে ওঠে, তখন আমরা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কথা ভাবতে পারি না। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মাহমুদ এখন যতই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামের আগে জনাব ও শেষে সাহেব বলুন না কেন, তাঁদের নৃশংস চরিত্র সম্পর্কে সবারই সম্যক ধারণা রয়েছে। লিখেছেন: মারুফ মল্লিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রথম আলো।
আপনার মতামত জানানঃ