এস আলম গ্রুপের ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগের ওপর আপত্তির আবেদন না শুনে এনবিআরের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি সর্দার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এস আলম গ্রুপের করা আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। একইসাথে আদালত এ রুল শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ঠিক করে দিয়েছেন। আদালতে এস আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম।
আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে আপত্তির আবেদন না শুনে এনবিআরের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসাথে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে কেন পুনঃশুনানির জন্য পাঠানো হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ আইনজীবী বলেন, চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার কার্যালয় থেকে এস আলম গ্রুপের ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ দিয়ে বকেয়া ভ্যাট দাবি করে। এরপ্রেক্ষিতে কোম্পানী দুটি ভ্যাট অফিসে দেখা করে জবাব দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করে।
এরপর গত ১৮ মার্চ একটা আংশিক জবাব দাখিল করা হয়। যেখানে বলা হয়, যাবতীয় ডকুমেন্টসসহ সবকিছু দাখিল করা হবে। কিন্তু ভ্যাট কর্তৃপক্ষ গত ১৭ এপ্রিল এক আদেশ মূলে ৫ জুন তারিখ ঠিক করে দেয়। ওই দিন সিনিয়র আইনজীবীর ব্যক্তিগত কারনে উপস্থিত হতে পারেনি উল্লেখ করে সময় চাওয়া হয়। কিন্তু ভ্যাট কমিশন সেই আবেদন খারিজও করলো না, গ্রহণও করলো না।
তিনি বলেন, আইনে পরিস্কার বলা আছে, কর ফাঁকির নোটিশ দেওয়া হলে করদাতাকে ব্যক্তিগতভাবে শুনানির সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু কমিশন এই বিধানটিকে উপেক্ষা করে সময়ও দিলেন না, খারিজও করলেন না। তিনি মনমত একটা আদেশ দিয়ে দিলেন। এটি চ্যালেঞ্জ করেই আমরা হাইকোর্টে আসি। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সোমবার রুল জারি করেছেন।
আপনার মতামত জানানঃ