বিজ্ঞানীরা ষোড়শ শতকের একজন নারীর দেহ আবিষ্কার করেছেন। যার মুখের মধ্যে একটি ইট ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে সমাধিস্ত করা হয়েছিল। কারণ তৎকালীন ইতালীয়রা বিশ্বাস করেছিল যে, ওই নারী একজন ভ্যাম্পায়ার। সে মানুষের রক্ত চুষে খেত।
ভুতুড়ে গল্পটির উৎপত্তি ভেনিশিয়ান দ্বীপ লাজারেত্তো নুভোতে আবিষ্কৃত একটি গণকবর থেকে। এলাকাটি ১৫০০ এবং ১৬০০ শতকের শেষের দিকে বুবোনিক প্লেগ কোয়ারেন্টাইন ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
২০০৬ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় এমন কিছু মৃতদেহ পাওয়া গেছে যেগুলো বহু শতাব্দী আগে কবর দেওয়া হয়েছিল। ফরেনসিক গবেষক সিসেরো মোরেস সাউথ ওয়েস্ট নিউজ সার্ভিসকে তখনি এই উদ্ভট আবিষ্কারের কথা জানান।
অনুমান সেই সময়ের জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে ওই নারীকে প্লেগের জন্য দায়ী হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছিল। মানুষের মৃত্যু রুখতে নারীর মুখে ইট ঢুকিয়ে বাকিদের রক্ষা করার পন্থা নেয়া হয়েছিলো।
পুনর্গঠন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোরেস তদন্ত করেছিলেন যে তার মুখে দাঁত এবং নরম টিস্যুর ক্ষতি না করে ইট ঢোকানো আদৌ সম্ভব ছিল কিনা।
তখন তারা এই সিদ্ধান্তে আসেন, মৃত্যুর পরেই ওই নারীর মুখে ইট ঢুকিয়ে দেয়া হয় এই বিশ্বাসে যাতে সে মৃত্যুর পরে অন্যদের কামড়াতে এবং সংক্রামিত করতে না পারে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে যে মাথার খুলিটি একটি ইউরোপীয় নারীর ছিল যিনি ৬১ বছর বয়সে মারা যান। নতুন গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা মাথার খুলিটি পুনরায় নির্মাণ করেছেন।
মোরায়েস ইরিলি বলেছেন, গবেষকরা দেখেছেন যে, মৃতদেহটি পর্যবেক্ষণ করার সময় নারীর মুখে একটি বিষণ্নতার ছাপ ছিল, যা সম্ভাব্য চিবানোর ইঙ্গিত দেয়।
আপনার মতামত জানানঃ