২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের নীতি গ্রহণ করে। অনুমোদন পায় একের পর এক রেন্টাল ও স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান। এসব আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাংশ তালিকাভুক্তির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছে পুঁজিবাজার থেকেও।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার মাধ্যমে খাতটির আট তালিকাভুক্ত কোম্পানি গত এক যুগে নিট মুনাফা করেছে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে। বিক্রেতা হিসেবে কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ বিক্রি করে ভালো অংকের মুনাফা অর্জন করলেও ক্রমাগত লোকসানে আর্থিক সক্ষমতা হারিয়েছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বিপিডিবি।
বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পাওনা অর্থও পরিশোধ করতে পারছে না আর্থিক চাপে বিপর্যস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থা। বিপিডিবির কাছে এ বছরের জুন পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বকেয়া পাওনা জমেছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় আইপিপিগুলোও চলতি মূলধন সংকটে পড়েছে। যদিও এর আগে গত এক যুগে নীতিগতভাবে মুনাফার নিশ্চয়তা নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করেছে কোম্পানিগুলো।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬ হাজার ৬৩৯ মেগাওয়াট। এ বছরের জুন শেষে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও অফ গ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯১১ মেগাওয়াটে। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বিপিডিবির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বড় অংকের মুনাফা করলেও এর একটি অংশ লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে অতালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মুনাফার পুরোটাই উদ্যোক্তাদের কাছে গেছে।
দেশের পুঁজিবাজারে আইপিপি ও রেন্টাল মিলিয়ে বর্তমানে আটটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এছাড়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির অধীনেও বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। তবে সাবসিডিয়ারির বিস্তারিত আর্থিক তথ্য কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে না থাকায় নিট মুনাফার তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া তালিকাভুক্ত আরো বেশকিছু কোম্পানি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায় যুক্ত রয়েছে। সেগুলোরও বিস্তারিত আর্থিক তথ্য পাওয়া যায়নি। যে আট তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ কোম্পানির নিট মুনাফার তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বারাকা পাওয়ার লিমিটেড, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট পাওয়ার লিমিটেড এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
এর মধ্যে ২০২১ সালে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এবং ২০১৬ সালে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে এ দুই কোম্পানির গত ১২ বছরের নিট মুনাফার তথ্য পাওয়া যায়নি।
আইপিওতে আসার সময় বারাকা পাওয়ারের উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৫১ মেগাওয়াট। বর্তমানে কোম্পানিটির সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৩১৬ মেগাওয়াটে। ২০১১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছর শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত ১ যুগে কোম্পানিটি ৪৬০ কোটি ৫২ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার আইপিওতে আসে ২০২১ সালে। সে সময় কোম্পানিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৫০ মেগাওয়াট। পরবর্তী সময়ে এর সঙ্গে সাবসিডিয়ারি হিসেবে ১১০ মেগাওয়াট ও ১০৫ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হয়েছে। ২০১৬ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছর শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে গত সাত বছরে কোম্পানিটি ২৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছে।
গত এক যুগে আইপিপি/এসআইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরে আইপিপি/এসআইপিপিগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১ হাজার ২২৫ মেগাওয়াট। ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯৬ মেগাওয়াট, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮৯ মেগাওয়াট, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৭৪ মেগাওয়াট, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ হাজার ২৩২ মেগাওয়াট, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ হাজার ৪৫২ মেগাওয়াট, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ হাজার ৫০৩ মেগাওয়াট, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭ হাজার ৩৩২ মেগাওয়াট, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮ হাজার ১৪১ মেগাওয়াট এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৫৬ মেগাওয়াট। বিপিডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে সর্বশেষ এ বছরের জুন শেষে ৬২টি আইপিপির উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৯৪ মেগাওয়াটে। আর ১৩টি এসআইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ছিল ৩৫০ মেগাওয়াট।
ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের আইপিওতে আসার সময় উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬৬ মেগাওয়াট। এর সঙ্গে বর্তমানে আরো ২২৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার তিনটি সাবসিডিয়ারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র যোগ হয়েছে। ২০১৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছরে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর গত ১০ বছরে কোম্পানিটি ৬৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে।
ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোস্তফা মঈন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের পথচলা বেশি দিনের নয়। ফলে আমাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর এখনো অনেক বছর মেয়াদ রয়েছে। এ কারণে কোম্পানি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায় নীতিগতভাবে মুনাফার নিশ্চয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে মুনাফা মার্জিন তুলনামূলক কম হলেও যদি ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো যায় তাহলে নিট মুনাফাও বাড়তে থাকবে। তাছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করা হয়ে গেলে তখন কোম্পানির মুনাফাও বেড়ে যাবে।’
গত এক যুগে আইপিপি/এসআইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও এর বিপরীতে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা কমেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৬৮৫ মেগাওয়াট। এরপর ২০১১-১২ অর্থবছরে এ সক্ষমতা বেড়ে ২ হাজার ১৪৯ মেগাওয়াটে দাঁড়ায়। অবশ্য এর পর থেকেই এসব কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা কমতে থাকে। এর মধ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৬ মেগাওয়াট, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৫১ মেগাওয়াট, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ হাজার ১২৬ মেগাওয়াট, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ হাজার ২৮ মেগাওয়াট, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৪৫ মেগাওয়াট, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৫৪০ মেগাওয়াট, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৩০১ মেগাওয়াট, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৮৯ মেগাওয়াট এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৪২৪ মেগাওয়াট। সর্বশেষ এ বছরের জুন শেষে চারটি ১৫ বছর মেয়াদি রেন্টাল কেন্দ্রের সক্ষমতা ১৬৯ মেগাওয়াট, দুটি তিন-পাঁচ বছর মেয়াদি রেন্টাল কেন্দ্রের সক্ষমতা ১০৫ মেগাওয়াট এবং ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চালু থাকা ১০টি রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৭৯৭ মেগাওয়াটে।
জিবিবি পাওয়ার আইপিওতে আসার সময় এর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ২৩ মেগাওয়াট। সম্প্রতি কোম্পানিটির একমাত্র এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ২০১১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছরে নিট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর গত ১২ বছরে কোম্পানিটি ১৩৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার নিট মুনাফা অর্জন করেছে।
দেশের প্রথম আইপিপি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১০ সালে। সে সময় কোম্পানিটির উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১১০ মেগাওয়াট। পরবর্তী সময়ে ১১৫ মেগাওয়াট ও ৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরো দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হয়। এর মধ্যে ১১০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হয়ে যায়। ২০২১ সালে বাকি দুটি কেন্দ্রের মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। অবশ্য গত বছরের মার্চে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্টের’ ভিত্তিতে ১১৫ মেগাওয়াট ও ৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির মেয়াদ দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া ১৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার ইউনাইটেড পাওয়ার পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৫ শতাংশের মালিকানা রয়েছে খুলনা পাওয়ারের কাছে। ২০১১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছিল ৮৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছরে নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর গত এক যুগে কোম্পানিটি ১ হাজার ৬০০ কোটি ২৩ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছে।
শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির আইপিওতে আসার সময় এর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৯২ মেগাওয়াট। পরবর্তী সময়ে ৫১ মেগাওয়াট ও ১৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরো দুটি সহযোগী বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ২০১১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ২৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছরে নিট মুনাফা হয়েছে ৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। আর গত ১২ বছরে কোম্পানিটি ৫৮৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছে।
সামিট পাওয়ার দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৫ সালে। সে সময় কোম্পানিটির উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩৩ মেগাওয়াট। বর্তমানে এর সক্ষমতা বেড়ে ৯৭৬ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ছাড়াও সামিট গ্রুপের অধীনে আরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। ২০১১ হিসাব বছরে সামিট পাওয়ারের নিট মুনাফা ছিল ৩০৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৬৭৩ কোটি টাকা। গত এক যুগে কোম্পানিটি ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক ও বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) প্রেসিডেন্ট ফয়সাল করিম খান বলেন, ‘বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ঝুঁকি নিয়েছে বলেই ভালো মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ বিক্রির দাম নির্ধারিত। পাশাপাশি সুদ, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি ও মূল্যস্ফীতির মতো কারণে বাড়তি যে ব্যয় হয়, সেটি গ্রাহকের ওপর দিতে পারি না। ফলে নিশ্চিতভাবেই বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসা সবচেয়ে বেশি লাভজনক নয়।’
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ২০১৫ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সে সময় কোম্পানিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১৬০ মেগাওয়াট। বর্তমানে এর উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ মেগাওয়াটে। ২০১১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ১০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২২ হিসাব বছরে নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে গত ১২ বছরে কোম্পানিটি ৫ হাজার ৯৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে।
এসডব্লিউএসএস/১৭/১০
আপনার মতামত জানানঃ