সেন্টমার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণে ১৪টি বিধিনিষেধ আরোপ করে পরিবেশ অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দেশনা জারি করেছে পর্যটকদের প্রতি। এ দু’টি দ্বীপ ভ্রমণে পর্যটকরা এসব বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। এছাড়াও ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্লানিং) মো. সোলায়মান হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৯৯ সালে দ্বীপটিকে ক্রিটিক্যাল এলাকা হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজার, হাজার মানুষ ওখানে যায়। তাদের অসাবধানতা, অসচেতনতার ফলে জীববৈচিত্র ও পরিবেশ দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা পর্যটকদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টর্মার্টিন এবং এটি সরকার ঘোষিত একটি পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা। অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক এবং পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বহীনতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা নিয়মসমূহ :
- সেন্টমার্টিন যাওয়া-আসার পথে জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস এবং কোনো রকম খাবার খাওয়ানো যাবে না।
- সেন্টমার্টিন সৈকতে সব ধরনের যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক যান পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
- দ্বীপে সুপেয় পানি কম থাকায় খাবারের পানির অপচয় করা যাবে না।
- দ্বীপে আতশবাজি পোড়ানো, উচ্চশব্দে গানবাজনা করা, মাইক বাজানো ও বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।
- জোয়ার ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা, দ্বীপের চারপাশে নৌভ্রমণ করা, সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থানে চলাফেরা করা যাবে না।
- ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা এবং সৈকতে রাতের বেলা আলো জ্বালানোর মতো কাজগুলো করা যাবে না।
- দ্বীপে, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে কোনো ধরনের প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য ফেলা যাবে না।
- প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক পাখি, তারামাছ, কাছিম, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না।
- সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ দেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ ভূখণ্ড। এ দ্বীপে ভ্রমণ এবং নোঙর না করতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এসব বিধিনিষেধ অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলায়মান হায়দার বলেন, সৈকতে বাইক চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও যেসব শর্ত দেওয়া হচ্ছে তা অমান্য করলে জরিমানা করা হবে।
আপনার মতামত জানানঃ