স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১৬ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
বছরের শুরুতেই কঠোর হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সংসদে সড়ক পরিবহন আইন পাসের দীর্ঘদিন পর ‘কঠোর’ হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আসছে বছরের জানুয়ারি মাসে অনেকটাই কঠোর হয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
রাস্তা যানজটমুক্ত ও যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে রাস্তার মোড়গুলোতে গাড়ি দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অচল গাড়ি রাস্তায় নামালে আর ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা ও রেকারিং (ব্যাবহারিক অর্থে) করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে। কঠোরভাবে যাচাই করা হবে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। এ ক্ষেত্রে ছাড় না দিয়ে নতুন আইনে মামলাও করা হবে।মগত মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ট্রাফিক বিভাগের রুজুকৃত মামলা, রেকারিং ও জরিমানা বিষয়ে এক আলোচনাসভায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস হয়। গত বছরের নভেম্বরে সরকার এই আইন প্রয়োগ শুরু করলে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে আইনটি সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়। পরিবহন মালিক ও চালকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছর গাড়ির কাগজপত্র নবায়নের জন্য সুযোগও দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারি ও নথিপত্র নবায়নের কারণে মৌখিক নির্দেশনায় দুই দফায় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এ সময় ঢাকায় কাগজপত্র কঠোরভাবে যাচাই না করে, শুধু উল্টো পথে চলাসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের মামলা করা হচ্ছিল।
‘উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম’
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বরিশালের নবাগত পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মুজিববর্ষের স্লোগান—পুলিশ হবে জনতার। এই স্লোগানকে সামনে রেখে পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। সরকারের ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম।’
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা হলেন পুলিশের আয়না। পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের পেশাগত সুসম্পর্ক রাখতে হবে। তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি দূর করার পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে হবে।’ তিনি বরিশালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ছাদে উৎসবেও পুলিশের না, তবুও প্রস্তুতি
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বিদায় নিচ্ছে ২০২০। অন্যান্যবার নতুন ইংরেজি বছরকে বিদায় জানাতে রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হতো থার্টি ফার্স্ট নাইট। কিন্তু এবার তাতে বাধ সেধেছে করোনা মহামারি। তাই এই উৎসবে থাকছে নানা সীমাবদ্ধতা। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, বাসা বাড়ির ছাদেও থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের জন্য একত্রিত হওয়া যাবে না। নিজ ঘরের মধ্যে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদায় দিতে হবে এ বছরকে। তারপরও ছোট পরিসরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, ধানমণ্ডি, শ্যামলী এলাকাসহ আবাসিক এলাকার কিছু বাসার ভাড়াটিয়ারা। বাড়িতে ছাদকেদ্রিক উৎসবের আয়োজন রেখেছেন তারা।
মোহাম্মাদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের ৫ নাম্বার রোডের ৮ তলা বাড়ির মালিক সোহেল রানা বলেন, আমাদের ৮ তলা ফ্লাটে মোট ১২টা পরিবার আছে। তারা থার্টি ফাস্ট নাইটে একত্রিত হয়ে ছাদে পিকনিকের মতো আয়োজনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়েছে। ছোট সাউন্ড সিস্টেম, কিছু লাইটিং আর খাওয়া-দাওয়া হবে। যদিও পুলিশের থেকে নিষেধ আছে। সেটা মাথায় রেখে আমরা আতশবাজি পরিকল্পনা বাদ দিয়েছি। তবে নিজেদের মধ্যে একটু মজা করে পালন করার প্ল্যান করেছি আমরা। ধানমণ্ডির ১৫-এর স্টাফ কোয়ার্টারের পশ্চিম পাশের ৭ তলা ভবনের মালিক আসাদ চৌধুরী বলেন, আমরা আমাদের বাসা থেকেই উদযাপন করবো। তবে অন্যরা ছাদে ছোট পরিসরে একটা পার্টি করার অনুমতি চেয়েছেন। গান-বাজনা না করে খাওয়া দাওয়া করতে অনুমতি দিয়েছি।
যৌতুকের মামলায় পুলিশ কমিশনারের স্টেনোগ্রাফার কারাগারে
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সিলেটে পুলিশ স্ত্রীর যৌতুকের মামলায় মহানগর পুলিশ কমিশনারের স্টেনোগ্রাফার এসএম গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত আছেন এসএম গোলাম মোস্তফা। পুলিশের চাকরিতে থাকা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে গত ১০ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারি করেন। সেই মামলায় বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে গোলাম মোস্তফা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় সিলেট মহানগর পুলিশের স্টেনোগ্রাফার এসএম গোলাম মোস্তফাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সংকটে গণমাধ্যম
আমাদের সময়
বিভাগ: গণমাধ্যম
সংকটের মধ্যে পথচলায় অভ্যস্ত গণমাধ্যম। তবে করোনা ভাইরাস মহামারী গণমাধ্যমকে যে সংকটে ফেলেছে তা নজিরবিহীন। করোনার শুরুতে গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহসহ নতুন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর বাইরে চাকরি আছে বেতন নেই, বেতন কমিয়ে দেওয়াসহ নানা সমস্যার মুখে পড়েছেন তারা।
সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তো আছেই। গণমাধ্যম কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ ‘আমাদের গণমাধ্যম আমাদের অধিকার’-এর হিসাব মতে, এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিক ১ হাজার ১১৪ জন।
ঢাকায় ৮০৬ এবং ঢাকার বাইরে ৩০৮ জন। করোনা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪১ জন সাংবাদিক। গ্রুপটির তথ্য মতে, বাংলাদেশে করোনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার সাংবাদিক ও সংবাদ কর্মী নানা ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬শ গণমাধ্যম কর্মী চাকরিচ্যুতি ও ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া অনেকে কর্মী এখনো বেতন পাচ্ছেন না কিংবা কম পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বগুড়ায় দুই সাংবাদিককে মারপিট, ক্যামেরা-মোবাইল ছিনতাই
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: গণমাধ্যম
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ‘অনিয়মের’ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন বগুড়ার দুই সাংবাদিক।
এই সময় হামলাকারীরা তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে তারা অভিযোগ করেন। হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন সময় টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদ রহমান ও ক্যামেরা পার্সন রবিউল ইসলাম। পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হামলার শিকার সময় টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদ রহমানহামলার শিকার সময় টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদ রহমানস্থানীয় বাদিন্দা হাসেম আলী বলেন, বগুড়া সদরের দশটিকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলছে। ‘নিম্নমানের’ ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে সেখানে। দুপুরে ওই প্রকল্পের ছবি তুলতে আসেন এই দুই সাংবাদিক। তারা অনেকের সঙ্গে কথা বলেন।“ওই সময় স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমানের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলার সময় একদল লোক লাঠি দিয়ে তাদের পিটাতে থাকেন। তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল নিয়ে যায়।” পরে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ নিয়ে উদ্ধার করতে যান যমুনা টিভির বগুড়া প্রতিনিধি মেহেরুন সুজন।
Fugitives can’t be on any media
HC issues injunction as TV interviews PK Halder
The Daily Star
Category: Media
The High Court yesterday issued an injunction restraining electronic, print and social media, including Facebook and YouTube, from broadcasting and publishing statements, interviews and conversations of fugitive convicts and accused under trial until further notice. The court made the order after a petition was filed to take necessary steps against the authorities of Ekattor TV for broadcasting an interview of fugitive accused Proshanta Kumar Halder, popularly known as PK Halder. It also directed the TV channel to submit by January 10 the video clips of the interview and conversations PK Halder had with the channel on December 28. The channel broadcast an interview of PK Halder at 10:00pm on December 28 and connected him to the talk show Ekattor Journal at 11:30pm the same day. There PK Halder refuted the allegations of laundering a huge amount of money abroad. Yesterday, the HC bench of Justice Md Nazrul Islam Talukder and Justice Ahmed Sohel came up with the order after hearing a petition filed by Anti-Corruption Commission lawyer Khurshid Alam Khan. He prayed to this court to initiate a contempt of court proceedings against the authorities of Ekattor TV for broadcasting the interview of PK Halder and for bringing him as a guest to the talk show. While passing the order, the bench said the freedom of expression is guaranteed by the constitution of the republic, but the freedom is subject to some reasonable restrictions. The HC also fixed January 10 for holding a hearing on this issue. Lawyer Khurshid submitted the petition yesterday morning.
আপনার মতামত জানানঃ