বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের গড্ডায় নির্মিত আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। কেন্দ্রটি প্রথম ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র এমন সময় উৎপাদনে এল, যখন দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কেনা বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। এ অবস্থায় আদানির বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে, তা সরকারের আর্থিক খাতে আরো এক দফা চাপ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাওনা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকার মতো (অক্টোবর পর্যন্ত)। ডিসেম্বরে আদানির বিদ্যুৎ কেনা শুরু হলে বড় অংকের অর্থ পরিশোধ করতে হবে বিপিডিবিকে। আমদানির এ বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করতে হবে ডলারে। সরকারের অর্থ সংকটের পাশাপাশি এ মুহূর্তে ডলারেরও তীব্র সংকট চলছে। এ অবস্থায় আদানির বিদ্যুৎ কেনায় বাড়তি কোনো সুফল দেখছেন না জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানি গ্রুপের দুটি ইউনিটে ১৫০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী ২৫ বছর মেয়াদে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ বা কেন্দ্রভাড়া হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বা ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ নেবে। এ দিয়ে কমপক্ষে তিনটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।
বাংলাদেশি নাগরিক সমাজের জোট বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনাবিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি) ও ভারতীয় গ্রোথওয়াচের এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়।
লাভ নাকি লোকসান?
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে কেনার মতো যথেষ্ট টাকা নেই সরকারের। এ অবস্থায় অতিরিক্ত দাম দিয়ে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার মধ্যে বাড়তি কোনো সুফল নেই।
তবে এ মুহূর্তে আদানির বিদ্যুৎ তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চেয়ে সাশ্রয়ী বলে মনে করছে বিদ্যুতের নীতি ও গবেষণা সংস্থা পাওয়ার সেল। সংস্থাটির ভাষ্যমতে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের যে মূল্য পরিস্থিতি, সে তুলনায় আদানির বিদ্যুতে খরচ কম।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর চাপ কিছুটা হলেও কমে আসবে। বিজয় দিবস সামনে রেখে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা একটি প্রতিনিধি দল সেখানে পাঠিয়েছি। তারা আসার পর আমাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এর ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হতে পারব আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সেখান থেকে বিদ্যুৎ আনতে পারব কিনা।
ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি আমদানির এলসি খুলতে পারছেন না বেসরকারি উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) সংকটে বিদ্যুতের পেমেন্ট জটিলতা এ পরিস্থিতিকে আরো প্রকট করে তুলেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেরও। দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ বাংলাদেশের এলসি খোলার বিষয়ে সতর্কতাও জারি করেছিল।
স্থানীয়ভাবে চাপ বাড়বে
বাংলাদেশে আমদানীকৃত বিদ্যুতের বিল স্থানীয় বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আগে পরিশোধ করা হয় বলে বিপিডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে আদানির বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হলে তাদের বিলও নিয়ম অনুযায়ী বিপিডিবিকে আগে পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি আরো বিলম্বিত এবং বিল পরিশোধে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা করছেন জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টরা।
তবে আদানির বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হলে বিপিডিবির কাছে পাওনা বকেয়া নিয়ে কোনো জটিলতা হবে না বলে দাবি করেছেন বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম। তিনি বলেন, নতুন বছরে জ্বালানি সংকট কমলে বকেয়া বিল-সংক্রান্ত বিষয়টির সুরাহা হবে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া বিল আগের অবস্থায় রয়েছে। এটি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। তিন-চার মাসের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধের কথা বলা হয়েছে। আমরাও আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ অর্থ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পেয়ে যাবে।
বিপিডিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ সংস্থাটির কাছে ১৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর। বিপিডিবি অর্থ সংকটের কারণে তা পরিশোধ করতে পারছে না। এরই মধ্যে ডলার সংকট ও রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বকেয়া পরিশোধ আরো বিলম্বিত হচ্ছে। আদানির বিদ্যুৎ দেশে আমদানি করতে বিপিডিবি ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গড্ডায় অবস্থান করছে। তাদের উপস্থিতিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু অবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সফলভাবে সম্পন্ন হলে আগামী ডিসেম্বরে বিজয় দিবস সামনে রেখে বিদ্যুৎ আমদানি করা হতে পারে বলে আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
কবে আসবে বিদ্যুৎ
বিপিডিবির ঊর্ধ্বতন দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে আমদানির জন্য প্রি-কমিশনিংয়ের জন্য একটি প্রতিনিধি দল গড্ডায় অবস্থান করছে। তাদের উপস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রিডে সরবরাহ করে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। বর্তমানে ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছে বলে জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের (এনএলডিসি) সংযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সব পর্যায়ের প্রস্তুতি ঠিকমতো সম্পন্ন হলে যেকোনো দিন কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসতে পারে।
বিপিডিবির আইপিপি/পিপিপি সেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম জিয়াউল হক বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রি-কমিশনিংয়ের জন্য আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। তারা মূলত বিষয়টি দেখভাল করে। বর্তমানে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে রয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। প্রথম ইউনিট থেকে নিট ৭৪৪ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এটি মূলত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তবে উত্তরাঞ্চলে এ বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যও রয়েছে বিপিডিবির।
পিজিসিবি ও আদানি-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদিত বিদ্যুৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে সরবরাহ করে সাবস্টেশনে লোড ব্যালান্স করা হচ্ছে।
এর আগে গত আগস্টে বাংলাদেশের গ্রিড লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র। এরপর বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার (পাওয়ার ব্যাকফিড) কাজ শুরু হয়। তারপর দুই মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হলো।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের গড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আদানি পাওয়ার প্লান্ট (বিদ্যুৎকেন্দ্র) নির্মীয়মান। এরই মধ্যে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সম্পন্ন হওয়ার পর পরীক্ষামূলক উৎপাদনে এসেছে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ৮০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। সফলভাবে এ কার্যক্রম শেষ হলে যেকোনো সময় আদানির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
আদানির বিদ্যুৎ কবে নাগাদ দেশে আসা শুরু হবে সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে দিন-তারিখ ঘোষণা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের বিজয় দিবস সামনে রেখে এ কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। সে হিসেবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর এটি চালুর বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দিতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পিজিসিবির এক চিঠির সূত্রে জানা গিয়েছে, আদানি পাওয়ারের ইউনিট-১ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে আইটিএফের প্রস্তুতি সম্পন্নের সময়সীমা ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া ইউনিট-১ ও ২ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে আইটিএফের প্রস্তুতি সম্পন্নের সময়সীমা ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
চিঠিতে আরো বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী আইটিএফ সম্পন্ন করা হলে বিদ্যুৎ কমিশনিংয়ের জন্য আদানি পাওয়ার লিমিটেড শিডিউলড কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট (এসসিওডি) প্রস্তাব করেছে। এক্ষেত্রে ইউনিট-১-এর কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট (সিওডি) ঠিক হয়েছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। ইউনিট-২-এর সিওডি ঠিক হয়েছে ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বিপিডিবি। আদানির প্রথম ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করা গেলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ হাজার ৯৬০ মেগাওয়াটে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতা (১৪৯৫ মেগাওয়াট) গ্রিডে সরবরাহ হলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াটে, যা দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ১০ শতাংশ।
আদানির বিদ্যুৎ দেশে আনার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে ও বগুড়ায় ৪০০ কেভি দুটি গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে পিজিসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে রহনপুরে সাবস্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে বগুড়ায় সাবস্টেশন এখনো নির্মাণাধীন। এটির কাজ শেষ হলে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো বিদ্যুৎ বাংলাদেশ আমদানি করতে পারবে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য ২০১১ সালে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট সই হয়। মূলত এ চুক্তির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতে ভারত সরকারের সহযোগিতা বাড়ানো। এরই অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে ভারতীয় বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের সঙ্গে সমঝোতা সই করে বিপিডিবি। এর মাধ্যমে ভারত থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়।
বিপিডিবির সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হয় ২০১৭ সালে। ২৫ বছর মেয়াদি এ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হয় ৬ টাকা ৮০ পয়সা (৮ দশমিক ৬১ সেন্ট)। যদিও বিশ্ববাজারে কয়লার দাম বিবেচনায় এখন দেশটির কাছ থেকে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে বিপিডিবি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এসডব্লিউএসএস/১৩১০
আপনার মতামত জানানঃ