চলতি মাসেই ব্রিটিশ সরকারের ছাড়পত্র পেতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র তৈরি করোনার টিকা। তবে তার আগে এই টিকা যে মানবদেহে পরীক্ষায় সুরক্ষিত, তা প্রমাণিত হতে হবে। এমনটাই দাবি করল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দৈনিক ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’-এর একটি রিপোর্টের দাবি অনুযায়ী, সোমবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মেডিসিন্স অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইআরএ)-র কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। আগামী ২৮ বা ২৯ ডিসেম্বর ওই রিপোর্ট অনুমোদন দিতে পারে এমএইআরএ। ওই সংস্থার সবুজ সঙ্কেত মিললেই আগামী বছরের শুরুতেই এই টিকা বাজারে আসতে পারে। প্রসঙ্গত, মানবদেহে এই টিকার প্রয়োগ সুরক্ষিত কি না, এমএইআরএ-কে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই ব্রিটেন এবং আমেরিকার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তবে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ছাড়পত্র পেলে তা বহু অঙ্কই পাল্টে দিতে পারে। কারণ, বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকার মতো একে হিমশীতল ঠান্ডায় সংরক্ষণ করতে হয় না। ফলে তা সরবরাহ করা বা বিভিন্ন দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক। ফলে এই টিকায় অনুমোদন মিললে তা ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশই প্রয়োগ করতে আগ্রহী হবে। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের অনুন্নত দেশসমূহে এই টিকার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কারিগরি সুবিধার কারণে। ভারতে ইতিমধ্যেই এই টিকার ৫ হাজার কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদন করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩কোটি ডোজ টিকা আনার কার্যক্রম সম্পাদন করে অপেক্ষা করছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র টিকার দিকে তাকিয়ে আছে।
[soliloquy id=”2368″]
আপনার মতামত জানানঃ