ভারত ও বাংলাদেশ দু’টি পৃথক জাতি-রাষ্ট্র। কিন্তু পত্রপত্রিকার খবর পড়ে মনে হচ্ছে যেন ভারত সরকার ইচ্ছা করলেই পারে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে। আর তার ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশে কোন দল রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে অথবা টিকবে। এরকম ভাবনার পরিবেশ কী করে সৃষ্টি হতে পেরেছে জানি না। কিছু দিন আগে এরকম কথা কেউ ভাবতে পারত না। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের অবস্থানে এটা প্রকট হচ্ছে যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নরেন্দ্র মোদীর ধুতির কোঁচে আটকে আছে।
এবার সেই পালে হাওয়া দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, সেটা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, “আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।”
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ভারত সফরের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বলেছি, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রবাদী আছে। আমাদের দেশ সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন না। আপনার দেশেও যেমন দুষ্টু লোক আছে, আমাদের দেশেও আছে। কিছুদিন আগে তাদের দেশেও এক ভদ্রমহিলা কিছু কথা বলেছিলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। এই ধরনের প্রটেকশন আমরা আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি। সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য। আমরা যদি একটু বলি, তখন উগ্রবাদীরা আরও সোচ্চার হয়ে আরও বেশি বেশি কথা বলবে। তাতে ক্ষতিটা হবে কী? আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হবে। স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হবে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা যদি একটু বলি, তখন আমাদের উগ্রবাদীরা আরও সোচ্চার হয়ে আরও বেশি বেশি কথা বলবে। তাতে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হবে। আমাদের স্থিতিশীলতা বিঘ্ন হবে। সেইজন্য আমি ভারতবর্ষকে বলেছি যে আমরা এমন ভাবে কাজ করব যাতে আমাদের কোন কারণে কোন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডকে কখনো প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল।’
ভারতকে বলেছি, আমরা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড কখনও প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল। শেখ হাসিনা আছেন বলে ভারতের যথেষ্ট মঙ্গল হচ্ছে। বর্ডারে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। ২৮ লাখ লোক আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর ভারতে বেড়াতে যায়। ভারতের কয়েক লাখ লোক আমাদের দেশে কাজ করে।
এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সুন্দর অবস্থানের কারণে। সুতরাং আমরা উভয়ে এমনভাবে কাজ করব যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। ভারত সরকারকে বলেছি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে যদি আমরা উভয়ে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিই।
জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এস কে সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি দুলাল চন্দ্র দে ও সাধারণ সম্পাদক শংকর সেনগুপ্ত।
বাংলাদেশ বারবার কেন ভারতের মুখাপেক্ষী হয়েছে, সেটা দুর্বোধ্য নয়। প্রথমত, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সখ্য ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা। ক্ষমতাসীনদের ভারতনির্ভরতা সুবিদিত।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং ঢাকায় এসে আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা এতটাই প্রবল যে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কেবল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরাই নন, এমনকি বিএনপির নেতারাও নয়াদিল্লির দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
হাডসন ইনস্টিটিউটের থিংক-ট্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অপর্না পান্ডে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত একটি বড় ফ্যাক্টর। আসন্ন নির্বাচনেও ভারতের প্রভাব থাকবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে ভারতের অবস্থান, আসামের নাগরিক তালিকার মতো ইস্যুগুলো ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের মতামতকে ইতোমধ্যেই প্রভাবিত করেছে। নির্বাচনী প্রচারণাতেও রাজনৈতিক দলগুলো এই ইস্যু ব্যবহার করবে।
অপর্না পান্ডে বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় দিল্লি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তবে ভারত বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এটি একটি কষ্টসাধ্য কাজ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় গেলে পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে খুব সামান্য পরিবর্তন হবে। তবে বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ব্যাপারে দিল্লিকে প্রস্তুত থাকতে হবে। একই সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বাংলাদেশে বিরোধী দল ক্ষমতায় এলে বেইজিং হয়তো এ অঞ্চলে তার উপস্থিতি আরো বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
তবে নির্বাচনে ভারতের প্রভাব বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের সমর্থনে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নির্বাসনে চলে গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের আধিপত্যবাদ ও বাংলাদেশের রাজনীতি প্রসঙ্গে এমনটাই বলেছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি৷
তবে এর শুরুটা কোথায়, কবে হয়েছিল! উল্লেখ্য, ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল এবং ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ও যুক্তরাষ্ট্র একজোট হয়েছিল বলে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাল্টা অবস্থান নিয়ে দাবি জানান, দেশের মানুষ মনে করে ভারত ও ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং) সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশে আসলেন, সব জায়গায় দৌড়ালেন। এরশাদ সাহেবের কাছেও গেলেন, তাকে নির্বাচনে নিয়ে গেলেন। আমরা কি এটাই ধারণা করব, ‘মানুষ এটাই মনে করবে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ‘র’ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে, ভারত বড় ভূমিকা পালন করছে।’
বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের সর্বগ্রাসী অবস্থান বুঝতে আরও একটু পেছনে যাওয়া যাক। ২০০১ সালে ১/১১-এর ঘটনাবলি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষিত ওয়ার অন টেরর বা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ; এই নীতির আওতায় পররাষ্ট্রনীতি পুনর্গঠিত হয়। এই সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগ তথা সেকুলার শক্তিগুলোর প্রচারণা এতই গ্রহণযোগ্যতা পায় যে, দৃশ্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রচ্ছন্নভাবে বাংলাদেশে ‘রেজিম চেঞ্জ’ বা সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা হাতে নেয়। ক্ষমতাসীন বিএনপির সাথেও তারা সমীকরণের চেষ্টা করে।
প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, সেকুলার গোষ্ঠী ও তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্টরা তা ব্যর্থ করে দেয়। এ সময়ের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক পরিবর্তন হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুসৃত নীতিতে পাকিস্তানবিরোধী অবস্থান এবং ভারতের সাথে কৌশলগত মৈত্রী স্থাপন। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার কর্তৃত্বে স্থাপন করেন।
তার মানে হলো, বাংলাদেশের প্রশ্নেও ভারতের মতামতই যথার্থ। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এই সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দু-একটি ঘটনার প্রকারান্তরে সরকার পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রচারণায় বাংলা ভাই পেপার টাইগার থেকে রিয়েল টাইগারে পরিণত হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, ৬৪ জেলায় পটকা ফোটানোকে বোমা বিস্ফোরণ বানিয়ে ইঙ্গ-মার্কিন লবি আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন ও সহানুভূতি অর্জন করে। এ ক্ষেত্রে স্নায়ুযুদ্ধকালে পরিচালিত ‘এ রেড ফ্লাগ টু অপোজিট এ রেড ফ্লাগ’ কৌশল অনুসরণে ‘এ গ্রিন ফ্লাগ টু অপোজ এ গ্রিন ফ্লাগ’ নীতি অনুসৃত হয়। নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, ইসলামী রাজনীতির বিপরীতে হত্যা ও সন্ত্রাসের কূটকৌশল দ্বারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।
অবশেষে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ব্যবহার করে হস্তক্ষেপের পথ তৈরি করা হয়। সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। তাদের দুই বছরের কার্যাবলি বিশেষত পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষণ করলে আমাদের উপরিউক্ত প্রস্তাবনার সপক্ষে প্রমাণ্য প্রতিবেদন উপস্থাপন করা যায়। অবশেষে লন্ডন ইকোনমিস্টের ভাষায় ‘একটি প্যাকেজ ডিলের আওতায় বস্তা বস্তা টাকার বিনিময়ে’ ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ও এর নেতৃত্ব সংযোগ ও সতর্কতার সাথে অগ্রসর হয়। ২০০১ সালের নির্বাচন তাদের এই উপলব্ধি দেয় যে, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকা তাদের জন্য সম্ভব নয়। বাংলাদেশের শাসন কাঠামো এ দ্বিদলীয় ব্যবস্থার যে সুন্দর বিবর্তনটি ঘটে তা তাদের হতাশ করে। ক্ষমতার আপেক্ষিকতায় নির্ভর না করে তারা পূর্ব প্যাকেজ ডিলের আওতায় বাংলাদেশকে কথিত লবির হাতে সমর্পণ করে। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বহির্বিশ্বের ‘বশ্যতা ও অধীনতা’র পররাষ্ট্রনীতি বলে সমালোচিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন গবেষক ইসাম সোহাইল তার পর্যালোচনায় অভিমত ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ দৃশ্যত বৃহৎ প্রতিবেশীর প্রযত্নে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের উল্লেখ করে তিনি দেখাতে চান যে, দেশটি মূলত র’ এবং মোসাদের মতো এজেন্সির খপ্পড়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মাঝে মধ্যে বিকল্প চিন্তা ও চেষ্টা করেও অবশেষে বশীভূত হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে উদাহরণ দিতে গিয়ে ইসাম সোহাইল ২০১৬ সালের সার্ক সামিটের কথা উল্লেখ করেন। ভারত এতে যোগদান না করার পরপরই বাংলাদেশও ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যেতে অপারগতা প্রকাশ করে। সার্কের বিপরীতে বিমসটেককে জোরালো করার ক্ষেত্রে ভারত প্রকাশ্যে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিচ্ছে। ভারত তার পূর্বাঞ্চলের সাথে বাংলাদেশকে উপ-আঞ্চলিক জোট করতেও সহযোগিতা দিচ্ছে।
চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে সংবেদনশীল বিবেচনা করছে ভারত। দু-এক মাস আগে আকস্মিকভাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আকস্মিক বাংলাদেশ সফরকেও পর্যবেক্ষক মহল একই ধারায় বিবেচনা করছে। সর্বশেষ ঘটনা হিসেবে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর বাতিলের কথা উল্লেখ করা যায়। গত মঙ্গলবার ১ ডিসেম্বর ২০২০ নির্ধারিত ছিল চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়েই ফেঙ্গহির ঢাকা সফর।
বাংলাদেশের বিগত ৫০ বছরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বিশেষত বিগত ’৯০ সালের পরের ঘটনাবলি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করলে আমাদের হতাশ হতে হয়। যেখানে জাতীয় গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব দেশ তথা দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা হওয়ার কথা ছিল স্বকীয়, স্বাধীন এবং বাধা বন্ধনহীন, সেখানে আমরা দেখলাম উভয় রাজনৈতিক দল পদে পদে শৃঙ্খলিত। এই প্রযত্নের রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে উভয় দলের আপেক্ষিকতা থাকতে পারে। কিন্তু মৌলিক বৈশিষ্ট্য একই ধরনের। ভারত নির্ভর একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা।
এসডব্লিউ/এসএস/১৩৩০
আপনার মতামত জানানঃ