এই সংগ্রহের ছবিগুলো ছবি তোলার ইতিহাসের প্রাচীনতম পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফ৷ ছবিগুলোর বিষয় পুরানো এবং নিঃসন্দেহে উন্নত। কারণ ফটোগ্রাফি তখন খুবই ব্যয়বহুল ছিল এবং শুধুমাত্র অবস্থাসম্পন্ন লোকজনই ফটোগ্রাফি করতে পারতেন। ছবির অবিশ্বাস্য সেট, যেগুলির মধ্যে অনেকগুলি কিংবদন্তি আমেরিকান ফটোগ্রাফার ম্যাথিউ ব্র্যাডি দ্বারা তোলা।
এই ছবিগুলো তোলার জন্য ব্যবহৃত কৌশলটিকে “ড্যাগুয়েরোটাইপ” বলা হত। এটি ছিল প্রথম সর্বজনীনভাবে গৃহীত ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া। ১৮৪০ এবং ১৮৫০ এর দশকে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
“ড্যাগুয়েরোটাইপ” নামটি সঠিকভাবে শুধুমাত্র একটি খুব নির্দিষ্ট চিত্রের ধরন এবং মাধ্যমকে বোঝায়।
ফটোগ্রাফির ইতিহাসে ড্যাগুয়েরোটাইপ ছিল প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া। উদ্ভাবক লুই জ্যাক মান্ডে ড্যাগুয়েরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিটি ড্যাগুয়েরোটাইপ একটি রূপালী তামার প্লেটে একটি অনন্য চিত্র যেন!
১৮৪০সাল থেকে অসংখ্য পোর্ট্রেট স্টুডিও হলেও ড্যাগুয়েরোটাইপে ছবি তোলা খুব ব্যয়বহুল ছিল, তাই শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিরা তাদের প্রতিকৃতি(পোর্টেট) নেওয়ার সামর্থ্য রাখতেন। যদিও প্রতিকৃতিটি সর্বাধিক জনপ্রিয় বিষয় ছিল। ড্যাগুয়েরোটাইপটি অন্যান্য অনেক চিত্র যেমন টপোগ্রাফিক এবং ডকুমেন্টারি বিষয়, পুরাকীর্তি, জীবন, প্রাকৃতিক ঘটনা এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনা রেকর্ড করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
ইউরোপীয় ড্যাগুয়েরোটাইপগুলি ছিল দুষ্প্রাপ্য। এসব সারা বিশ্বে প্রাতিষ্ঠানিক এবং ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ড্যাগুয়েরোটাইপের অনেক দিক এখনও আবিষ্কার করা দরকার। ইউরোপের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফটোগ্রাফির প্রভাব বুঝতে এসব সাহায্য করতে পারে।
ছবি ও লেখা: rare historical photos
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/1758
আপনার মতামত জানানঃ