স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৩ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় নারী পুলিশ
ইত্তেফাক
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
এক নারী কনস্টেবল পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাকে ও তার পরিবারকে অনবরত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে তিনি জিডিও করেন। এছাড়া ভিকটিমের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত আবু নাসের রায়হানের স্ত্রীও পাল্টা মামলা করেন। যেখানে চাদাবাজিসহ ব্ল্যাক মেইলের অভিযোগ আনা হয়।
আবু নাসের রায়হান বর্তমানে বরিশাল ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত রয়েছেন। পূর্বে নীলফামারী জেলার রিজার্ভ ইন্সপেক্টর ছিলেন। লালমনিরহাটের সদর থানায় করা ভুক্তভোগী ওই নারী কনস্টেবলের জিডি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নাসের রায়হানের নামে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাবুন্যালে অভিযোগ করেন ভিকটিম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ অক্টোবর হরিপুর থানায় মামলা হয়। এরপর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে ও তার পরিবারকে ফোনে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। একপর্যায়ে নাসের রায়হানের লোকজন ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে পরনের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে তার প্রাণনাশের চেষ্টা করে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর কনস্টেবল পদে নীলফামারী পুলিশ লাইনে যোগদান করেন ওই নারী। এরপর থেকেই নীলফামারী রিজার্ভ অফিস ইন্সপেক্টর আবু নাসের রায়হান প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতেন এবং কুপ্রস্তাব দিতেন। এছাড়া তাকে পদায়নের সুযোগ করে দিবেন বলেও বলতে থাকেন।
একপর্যায়ে ২০১৬ সাল থেকে প্রায় সময়ে ওই নারীকে বাসায় নিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই নারীকে বিয়ে করারও আশ্বাস দেন। এরপর এ সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাদিনীকে পূর্বের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন।
অগ্নিদগ্ধ জেনি: ৮ মাসেও পুলিশ মামলা নেয়নি, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বাসার বেলকুনিতে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ তারে জড়িয়ে চট্টগ্রামের স্কুলছাত্রী ইশরাত জাহান জেনির হাত-পা ও শরীরের অংশ পুড়ে যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জেনির ঝলসানো ও পোড়া শরীরে ১০ থেকে ১২টি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। জেনির পরিবার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের (ডিসির) কাছে অভিযোগ জমা দেন। আর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এ ছাড়া মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন মা কাজি প্রিয়া আকতার মুক্তা। যদিও সাহায্যের বিষয়ে এখনও কেউ এগিয়ে আসেনি। কোনো উপায় না পেয়ে জেনির মা চিকিৎসা (দুটি প্লাস্টিক সার্জারি), লেখাপড়া, বিয়ে এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
গত মঙ্গলবার ওই রিটের শুনানি নিয়ে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে একটি কমিটি করে আগামী দু’মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে জেনির পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসি এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে র্যাব। মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে র্যাব। আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনায় মাদক ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা তিনটি মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাগর দে পলাতক। বাকি সব আসামি কারাগারে।
প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
প্রথম আলো
বিভাগ: গণমাধ্যম
ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মামলা বাতিল চেয়ে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আজ হাইকোর্টের আদেশের পর প্রথম আলো সম্পাদকের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে মতিউর রহমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল না। তিনি ঘটনাস্থলেও উপস্থিত ছিলেন না। অনুষ্ঠান তদারকি ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বেও ছিলেন না। অনুষ্ঠানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিষয়েও তিনি যুক্ত ছিলেন না। এমনকি কোনো সাক্ষী মতিউর রহমানের নাম বলেননি।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সারবত্তা নেই। এসব যুক্তিতেই মূলত মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়।
শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জিডি করায় ডিআরইউর প্রতিবাদ
সমকাল
বিভাগ: গণমাধ্যম
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাজানো ঘটনায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তৌহিদ এলাহী সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ। শনিবার ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সংবাদপত্র ও জনপ্রশাসন একে অপরের পরিপূরক। প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার পক্ষে এ ধরনের কার্যকলাপ অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। পেশাদার একজন সাংবাদিকের চরিত্র হননের অপেচষ্টা নিন্দনীয়। থানায় জিডি করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া এবং গোপনীয় সরকারি চিঠি ফেসবুকে প্রকাশ করার মাধ্যমে একজন সাংবাদিকের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিবৃতিদাতারা মনে করেন।
RAB charges 15 over Sinha murder
New Age
Category: State forces
The Rapid Action Battalion investigators on Sunday submitted the charge sheet against 15 suspects in the case over the killing of retired army major Sinha Md Rashed Khan in Cox’s Bazar in July.
Senior assistant superintendent Khairul Islam, of RAB-15, who led the investigation, submitted the charge sheet to the court in Cox’s Bazar around 10:30am, accusing 15 suspects of murder and abetting the crime.Cox’s Bazar public prosecutor Faridul Alam confirmed the matter, adding that the court would now set a date for hearing on the charges brought against the suspects. The suspects include Teknaf police station’s former officer-in-charge inspector Pradeep Kumar Das, Baharchhara police investigation centre in-charge inspector Liyakat Ali and three local villagers.
The RAB investigator included the names of 80 prosecution witnesses, including six persons who made statements before the Chief Judicial Magistrate Court under Section 164 of the Code of Criminal Procedure, in the charge sheet, RAB unit-15 officials said.
Of the 15 suspects, Sagar Dev remained absconding while the rests are in jail in Cox’s Bazar and Chattogram. The RAB investigation team has eventually arrested 14 suspects, including 11 policemen, of whom three witnessed the shooting incident, and three civilians.
Death of Naimul Abrar: HC stays trial against Prothom Alo editor for 6 months
The daily star
Category: Media
The High Court today stayed for six months the trial proceedings against Prothom Alo Editor and Publisher Matiur Rahman in a case filed over the death of Dhaka Residential Model College student Naimul Abrar Rahat.
The court also issued a rule asking the state to explain in four weeks why the case proceedings against Matiur Rahman should not be scrapped.
The HC bench of Justice Md Rezaul Haque and Justice Md Atoar Rahman came up with the order and rule following a petition filed by Matiur Rahman, seeking cancellation of the trial proceedings against him in the case.
Lawyers Rokanuddin Mahmud and Mustafizur Rahman Khan appeared for Matiur Rahman while Deputy Attorney General Saifuddin Khaled represented the state during virtual hearing of the petition.
আপনার মতামত জানানঃ