স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১২ ডিসেম্বর ২০২০, শনিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
ট্যাকটিক্যাল বেল্টে বদলে যাচ্ছে পুলিশ
আমাদের সময়
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাইফেল। কখনো কাঁধে ঝোলানো, কখনো হাতে। বছরের পর বছর ধরে পুলিশের মাঠপর্যায়ের সদস্যদের এভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখে সবাই অভ্যস্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাইফেল বয়ে বেড়ানোর অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশে। উন্নত বিশ্বের আদলে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের দেওয়া হবে ছোট পিস্তল। এ জন্য বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজন করা হচ্ছে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট। ছয় চেম্বারের আধুনিক এই ট্যাকটিক্যাল বেল্টেই থাকবে পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, এক্সপেন্ডেবেল ব্যাটন, পানির পটসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাত থাকবে সম্পূর্ণ খালি। এতে বিপদগ্রস্ত মানুষের যে কোনো প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে পুলিশ। আবার অপরাধীকে দ্রুত ঘায়েল করতে ট্যাকটিক্যাল বেল্টে থাকা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসেই। পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ট্যাকটিক্যাল বেল্টের মূল স্লোগান হলো ‘হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং’ মানে হাত খালি রাখা। এতে বড় অস্ত্র বহনের ঝক্কিঝামেলা আর থাকবে না। এতে পুলিশের কাজে গতি আসবে, মনোবলও বাড়বে। একই সঙ্গে পুলিশকে দেখতেও আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী লাগবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ সদস্যদের মাঝে ১০ হাজার ট্যাকটিক্যাল বেল্ট সরবরাহ করবে পুলিশ সদর দপ্তর।
আটক অভিযুক্ত ৪ ধর্ষকের একজন হ্যান্ডকাফসহ পালিয়েছে
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রংপুরের তারাগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে আটক করার পর পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ একজন পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটকের পর এ ঘটনা ঘটে। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন প্রধান আসামি মিঠুনসহ দুজনকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেছেন।
শিক্ষার্থীর স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে উপজেলার শেখেরহাট এলাকার মিঠুন মোবাইল ফোনে পরিচয়সূত্রে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বাসায় আসে। এরপর তাকে বাড়ির পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মিঠুন ও তার চার সহযোগী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ মূল হোতা মিঠুনসহ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে বদরগঞ্জের শেখেরহাট এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে নুরুজ্জামান হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায়।
মাদকের মামলা
নামের মিলে কারাগারে নিরপরাধ যুবক
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রামু থানার মাদক মামলায় দীর্ঘদিন কারান্তরীণ আছেন নিরপরাধ এক যুবক। আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। এই খবর পুলিশ সুপারের কানে পৌঁছলে তিনি প্রকৃত আসামিকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রকৃত মাদককারবারি ও মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতার নুরুল আমিন ওরফে ইমাম হোসেন (২৪) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জারুলিয়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামানের মেয়ে বিয়ে করেছে সে। আর শ্বশুরকে বাবা সাজিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে জন্মনিবন্ধন সনদও সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে নিরপরাধ হয়েও মামলায় মিথ্যা আসামি হয়ে কারান্তরীণ থাকা যুবকের নামও নুরুল আমিন।
ডিবি ওসি বলেন, গত ২১ জুলাই, ২০২০ নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ মামলার পলাতক আসামি নুরুল আমিন ওরফে ইমাম হোসেনকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। নাম ও ঠিকানা মিল থাকায় প্রকৃত আসামি মনে করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জারুলিয়াছড়ি এলাকার নুরু ছালামের ছেলে নুরুল আমিন ওরফে নুরুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে মামলার আসামি দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কিন্তু মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক রূপল চন্দ্র দাশ অন্যত্র বদলি হলে তদন্তভার দেয়া হয় ডিবি পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীকে। এই তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারেন, গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ থাকা যুবক প্রকৃত আসামি নয়-সে নিরপরাধ। এখন কারান্তরীণ নিরপরাধ যুবকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।
সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন ইউপি চেয়ারম্যান
সমকাল
বিভাগ: গণমাধ্যম
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টুর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন। শুক্রবার বিকেলে ভূরুঙ্গামারী বাজারে ওই সাংবাদিককে ইট দিয়ে আঘাত করেন চেয়ারম্যান। আহত সাংবাদিককে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, বিকেলে ভূরুঙ্গামারী বাজারে ডিশ সংযোগের কেবল পরিবর্তন করছিলেন এসএম ডিজিটাল কেবল নেটওয়ার্কে কর্মরত মজনু ও আব্দুল কাদের। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মাহমুদুর রহমান রোজেন এসে এ দু’জনের ওপর হামলা চালালে খবর শুনে কেবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী ও ভূরুঙ্গামারী প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টু এগিয়ে আসেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হঠাৎ ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায়। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এর আগেও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন লোকজনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ আছে।
Tactical belts for cops
Police to introduce those for officials to carry essentials
The Daily Star
Category: State forces
Bangladesh Police will be introducing tactical belts for officials involved in operational duty and patrols, as part of its efforts to better equip the force and make the policing system more efficient.
Once introduced, police officials will no longer need to carry objects like guns, batons, handcuffs and wireless handsets in their hands, said officials of Police Headquarters (PHQ).
“We have almost completed necessary processes to distribute the tactical belts. We plan to distribute them on December 16,” Tawfique Mahbub Chowdhury, deputy inspector general (logistics) of PHQ, told The Daily Star.
Made of nylon and polyester, a belt will have six chambers where a small water bottle, wireless set, POS machine for traffic fines, torch, collapsible baton and handcuffs can be kept. A small thigh belt will be attached with the tactical belt to hold the gun, said officials of PHQ’s equipment section.
The officials hinted at some more changes to come in the force. For example, every member, ranking from constable to sub-inspector, who will take part in operations or patrols, will only use pistols instead of large firearms.
আপনার মতামত জানানঃ