বাংলাদেশে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস বাংলাদেশে বর্ষা ঋতু। এই সময়ে প্রধান নদী ও উপনদীগুলো হিমালয়ের বরফগলা ও বৃষ্টিতে পানির উচ্চ প্রবাহে প্রবাহিত হয় এবং বন্যায় প্লাবিত হয়। কিন্তু চলতি বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রায় সব নদ-নদীর তীর উপচে পড়ছে। যে কারণে গত প্রায় দুই দশকের মধ্যে এবারই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে বন্যার স্রোতে ভেসে গেছে ঘর, আসবাবপত্র, গবাদিপশু; পানির সঙ্গে বাড়ছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সিলেটবাসী এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি বহু দিন।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভারতের বরাক নদীতে নির্মিত একটি বড় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দেশটির উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বন্যার পানিতে সিলেটের জকিগঞ্জের অন্তত ১০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
‘এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ বন্যায় আটকা পড়েছেন’, বলে জানিয়েছেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে কমিশনার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বন্যায় চলতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছেন।
বাংলাদেশের অনেক এলাকা বন্যাপ্রবণ এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রত্যেকটি অতিরিক্ত মাত্রা বায়ুমন্ডলে পানির পরিমাণ প্রায় সাত শতাংশ বৃদ্ধি করে; যার অনিবার্য প্রভাব বৃষ্টিপাতের ওপর পড়ে।
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে বন্যার স্রোতে ভেসে গেছে ঘর, আসবাবপত্র, গবাদিপশু; পানির সঙ্গে বাড়ছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সিলেটবাসী এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি বহু দিন।
জকিগঞ্জের ৫০ বছর বয়সী বাসচালক শামীম আহমেদ এএফপিকে বলেছেন, ‘আমার বাড়ি কোমর সমান গভীর পানিতে তলিয়েছে। পানের মতো পানি নেই, আমরা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করছি।’
‘বৃষ্টি এখন একই সাথে আমাদের জন্য আশীর্বাদ এবং অভিশাপ।’
পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় লোকজনকে মাছ ধরতে দেখা গেছে এবং কিছু কিছু বাসিন্দা গবাদি পশুকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। বিধবা লায়লা বেগমের বাড়ির সব আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরও বন্যার পানি দুই এক দিনের মধ্যে কমে যাবে এমন আশায় দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।
লায়লা বেগম বলেছেন, ‘আমার দুই মেয়ে এবং আমি একটি বিছানার ওপর অন্য বিছানা রেখেছি এবং এর ওপর বাস করছি। আমাদের খাবারের সংকট। আমরা দিনে একজনের খাবার তিনজন ভাগাভাগি করছি এবং মাত্র একবেলা খাচ্ছি।’
বন্যার পানি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তর সিলেট শহরের অনেক জায়গায় প্রবেশ করেছে। সেখানকার অন্য একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, প্রায় ৫০ হাজার পরিবার গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।
কমিশনার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যের বৃষ্টি এবং সীমান্তের ওপার থেকে আসা পানির প্রবাহ— এই দুই কারণেই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, পানির স্তর নেমে গেলেই কেবল জকিগঞ্জ সীমান্তের ভাঙা বাঁধটি মেরামত করা যেতে পারে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও গ্রামের ষাটোর্ধ্ব রমজান আলীর মনে পড়ে, এর আগে ২০০৪ সালে তাদের এলাকায় এমন বন্যা হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় কি না, সেই শঙ্কায় আছেন তিনি।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেটের ১৩টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ৩২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
কিন্তু সেখানেও বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটের কথা বলছেন আশ্রয়গ্রহণকারীরা। পানিবন্দি মানুষগুলো ‘চোখে অন্ধকার’ দেখছেন বলে ভাষ্য রমজান আলীর।
কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের আব্দুল করিম বলেন, মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিল। এখন হঠাৎ বন্যার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা জানান, এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ৩৪টি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে বিভিন্ন এলাকায়।
তাতে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পর এবার বিয়ানীবাজার এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলারও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
‘পানি উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলা কমপ্লেক্সে। এসব উপজেলার অনেক বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রেও পানি ওঠায় আশ্রিতরা বিপাকে পড়েছেন,’ বলেন নিলয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটে প্রধান নদীগুলো বিশেষত সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, নগর ও এর আশপাশের এলাকার বিভিন্ন জলাশয় ভরাট, দখল হওয়া এবং সিলেটের উজানে মেঘালয়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণেই এই বন্যা।
সিলেটের প্রধানতম নদী সুরমার দুই রূপ। বর্ষায় দুকোল উপচে ডুবিয়ে দেয় জনবসতি। আর গ্রীষ্মে পানি শুকিয়ে পরিণত হয় মরা গাঙে। জেগে উঠে চড়।
প্রায় ২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘের সুরমা দেশের দীর্ঘতম নদী। ভারতের বরাক নদী থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় মিলিত হয়েছে। এই নদী বছরের বেশিরভাগ সময় থাকে পানিহীন, মৃতপ্রায়।
পলি জমে ভরাট হয়ে পড়েছে নদীর তলদেশ। ফলে শুষ্ক মৌসুমে সুরমা হয়ে পড়ে বালুভূমি। অপরদিকে অল্প বৃষ্টিতেই নদী উপচে নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দেয় বন্যা। বৃষ্টিতে নদীর পানি উপচে তলিয়ে যায় হাওরের ফসল।
ভরাট হয়ে পড়েছে এ নদীর উৎসমুখও। নদীর উৎসমুখের ৩২ কিলোমিটারে জেগেছে ৩৫টি চর। দুই দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যৌথ নদী কমিশনে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আটকে আছে উৎসমুখ খননও।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সুরমা নদীর উৎসমুখ খননে ২০১২ সালে সিলেট থেকে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর নদী খননে সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষার পর নদী খননে উদ্যোগ নেয়ার কথা ওই সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এরপর এ বিষয়ে আর উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
পরে ২০১৮ সালে সিলেট সদর উপজেলার কানিশাইলে ৬০০ মিটার সুরমা নদী খনন করা হয়। ওই সময় সিলেট সদর উপজেলা এবং কানাইঘাট উপজেলার কয়েকটি অংশে নদী খননের জন্য প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির মৌসুমে নদী উপচে পড়ে পানি। ভরাট হয়ে গেছে সিলেটের অপর প্রধানতম নদী কুশিয়ারাও। এই দুই নদী খনন ছাড়া বন্যা থেকে উত্তোরণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে আছে। এ ছাড়া নাগরিক বর্জ্য, বিশেষ করে প্লাস্টিকজাত দ্রব্য সুরমা নদীর তলদেশে শক্তভাবে বসে আছে। এ কারণে নদী পানি ধারণ করতে পারছে না।
‘যৌথ নদী হওয়ায় নদীর উৎসমুখ ভরাট করতে দুই দেশের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাই আমরা সিলেট মহানগরের অংশে সুরমা নদী খননের দাবি অসংখ্য বার জানিয়েছি। সেই দাবি আমলে নিলে নদীর পানি উপচে বন্যা হতো না, সিলেট নগরের ছড়া ও খালের পানিও অনায়াসে নেমে যেতে পারত।’
সুরমাসহ এই এলাকার নদীগুলো খননের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুরমাসহ এই এলাকার বেশির ভাগ নদীই নাব্য হারিয়েছে। এগুলো খনন করা প্রয়োজন। নদী খননের জন্য গত বছর আমরা ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সম্ভাব্যতা যাছাই শেষে এটি এখন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন।’
আগামী বর্ষার আগেই নদী খনন করা হবে উল্লেখ করে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের নদীগুলো খননের ব্যাপারে আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমরা নদী খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।’
সাগরদিঘির পাড়, লালদিঘির পাড়, রামেরদিঘির পাড়সহ সিলেট নগরীর অন্তত ২০/২৫টি এলাকার নাম এমন। দিঘির নামে এলাকার নাম ঠিকই আছে, কিন্তু নেই দিঘিগুলো। ভরাট হয়ে গেছে অনেক আগেই। গত তিন দশকে ভরাট হয়ে গেছে নগরীর অর্ধশতাধিক দিঘি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) হিসেবে, ১৫/২০ বছর আগেও সিলেট নগরে অর্ধশতাধিক বৃহৎ দিঘি ছিল। অথচ এখন ঠিকে আছে মাত্র ১০/১১টি। বাকিগুলো ভরাট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হিসাবে, সিলেটে পুকুর-দিঘি মিলিয়ে তিন শতাধিক জলাশয় ছিল। এর দুই তৃতীয়াংশই ভরাট হয়ে গেছে। অনেক জলাশয় ভরাট করে সরকারি প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে।
এ ছাড়া সিলেটের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট-বড় প্রায় ২৫টি প্রাকৃতিক খাল। যা ‘ছড়া’ নামে পরিচিত। পাহাড় বা টিলার পাদদেশ থেকে উৎপত্তি হয়ে ছড়াগুলো গিয়ে মিশেছে সুরমা নদীতে। এসব ছড়া দিয়েই বর্ষায় পানি নিষ্কাশন হতো। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না।
এখন অনেক স্থানে এসব ছড়ার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না। ছড়াগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই নগরজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৩টি বড় ছড়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৩ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরেই এসব ছড়ার দু’পাশ দখল করে রেখেছে স্থাপনা নির্মাণ করেছে অবৈধ দখলদাররা।
এ ছাড়া নগরের উপশহর এলাকার হাওর ভরাট করে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। বাঘা এলাকার হাওর ভরাট করে হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট।
জলাধারগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় নগরের পানি ধারণের ক্ষমতা কমে গেছে জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন বৃষ্টি হলেই নগরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর ঢল নামলে বন্যা হয়ে যায়।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবসৃষ্ট যে কাজগুলোর কারণে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে উচ্চাসনে বসা ব্যক্তিদের দৃষ্টিপাত কম বলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে হিমহিশ খেতে হচ্ছে।
নদী প্রণালীর কৃত্রিম পরিবর্তন বন্যাকে প্ররোচিত করে। পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পানিসেচের কারণে নদী প্রণালীতে বাঁধ এবং বিজার্ভার নির্মিত হলে নদীর নিজস্ব অববাহিকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। বর্ষাকালে অতিবর্ষণ এবং বাঁধ বা রিজার্ভার থেকে পানিনির্গমন যদি যুগপৎ ঘটে তাহলে নির্গত প্রবাহের আধিক্যের কারণে নদীর নিজস্ব অববাহিকায় বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া নদী প্রণালীতে বাঁধ দিয়ে এবং খাল কেটে নদীকে ভিন্নমুখী করলেও ভিন্নমুখ নদী সন্নিকটস্থ সমতলে বন্যা ঘটাতে পারে।
এদিকে নদীর বাঁধ, বন্যা প্রাচীর এবং বন্যাপ্রবণ নিচু অঞ্চলে অবৈধভাবে জনবসতি গড়ে ওঠায় নদী প্রণালী ক্রমসঙ্কুচিত হচ্ছে। এছাড়া পৌরসংস্থার জঞ্জাল এবং নর্দমা নির্গত আবর্জনার প্রভাবে নদীগর্ভ ক্রমশ ভরাট হচ্ছে, ফলে নদী প্রণালীর হ্রাস পাচ্ছে। এইসব কারণে নদীপার্শ্বস্থ প্রাকৃতিক ভৌত পরিবেশ ধ্বংস হওয়ায় বর্ষাকালে নদীতে বন্যা প্ররোচিত হচ্ছে।
বন্যা রোধে ব্যবস্থা না নিলে কেবল ত্রাণ সহায়তায় লাখো মানুষের দুর্ভোগ দূর করা সম্ভব নয়। এদিকে পর্যাপ্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌছানোর সুব্যবস্থাও নেই। এজন্য কেবল ত্রাণ বিতরণ করে দায়সারা না হয়ে বন্যা রোধে পরিকল্পিত ব্যবস্থা দরকারি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪২০
আপনার মতামত জানানঃ