স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৮ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
সাংবাদিক কাজলের অবস্থা ভালো না
জেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা মিলছে না
কালের কন্ঠ
বিভাগ: গণমাধ্যম
তার বাম হাত প্রায় অচল হয়ে গেছে। দিন দিন অবশ হয়ে যাচ্ছে শরীরের অন্য অঙ্গও। একনাগাড়ে ৫৩ দিন চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকায় চোখেও ভালোমতো দেখতে পান না। কারাগারে তার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। এমনকি কারাগারের বাইরে ভালো কোনো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছে না কর্তৃপক্ষ। এর পরও জামিনে ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস ধরে পরিবার থেকে দূরে কারাবন্দি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার পরিবার কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একাধিক মামলায় কাজল কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।
কাজলের স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনার কারণে তার (কাজল) সঙ্গে কারাগারে দেখা করার সুযোগ পাই না। মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হয়। রবিবার ফোন করলে তিনি জানিয়েছেন, তার শরীরের অবস্থা ভালো না। কাজলের ছেলে মনোরম পলকও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বাবার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
দশমিনা থানায় পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু
পুলিশের দাবি বিষপান পরিবার বলছে হত্যা
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
পটুয়াখালীর দশমিনায় পুলিশ হেফাজতে মো. লিটন খান নামের এক আসামির মৃত্যু দিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। গত রবিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ওই আসামি মারা যান। লিটনের পরিবার দাবি করেছে, পুলিশ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, আসামি লিটনকে থানায় আনার পর টয়লেটে গিয়ে তিনি বিষ পান করেন। জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে ঢাকার অটোরিকশাচালক মো. লিটন খান গ্রামের বাড়ি এসে বাঁশবাড়িয়া রজ্জবিয়া দাখিল মাদরাসার পাশে একটি কাঠের ঘর নির্মাণ করেন। ওই রাতেই মাদরাসার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়। এই ঘটনায় মাদরাসা সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমি দখল ও বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দশমিনা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। অভিযোগ পেয়ে ওই থানার এএসআই মামুনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। গত রবিবার দুপুরে এএসআই মামুন সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে লিটনের বাসায় যান। তখন লিটন দুপুরের ভাত খাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় লিটনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আধাঘণ্টা পরই লিটনের বিষপানের খবর পায় স্বজনরা। দশমিনা থানার পুলিশ বিকেলে লিটনকে অসুস্থ অবস্থায় দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই রাতে তার মৃত্যু হয়।
আমু সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য
আইসিটি আইনে জেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সম্পাদক গ্রেফতার
যুগান্তর
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ঝালকাঠি থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, শেখ মো. রাব্বী তার ফেসবুক আইডি ও ম্যাসেঞ্জার থেকে ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন সম্পর্কে শনিবার রাত ১২টা ২২ মিনিটে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। বিষয়টি ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী দেখতে পেয়ে বাদী এবং সাক্ষীদের জানান। এ ঘটনায় ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু রোববার রাতে ঝালকাঠি থানায় এজাহার দায়ের করেন। থানা কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এফআইআর হিসেবে তা রেকর্ড করে।
এরপরই সাধনার মোড় থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা । সোমবার শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম ইমরানুর রহমান রাব্বীকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি বিএফইউজের
যুগান্তর
বিভাগ: গণমাধ্যম
কুষ্টিয়া ও মুন্সীগঞ্জে তিন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। সোমবার সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন, প্রশাসনের আশকারা, নির্লিপ্ততা ও বিচারহীনতায় একের পর এক সাংবাদিক হত্যা নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
ইউনিফর্ম নেমে গেলে বুঝবেন জীবন কত কঠিন
কল্যাণ সভায় ডিএমপি কমিশনার
ইত্তেফাক
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এরইমধ্যে অনেকের (পুলিশ সদস্য) চাকরি চলে গেছে। জীবন কতটা কঠিন যে শরীর থেকে ইউনিফর্মটা নেমে গেলে বোঝা যাবে। তাই মাদককে না বলুন, এর থেকে সবসময় দূরে থাকুন। সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপিতে কর্মরত সদস্যদের অসুবিধা ও নানান বিষয়ে তাদের পরামর্শ শুনতে এবং গৃহীত কল্যাণসমূহ অবহিত করতে বিশেষ কল্যাণ সভার আয়োজন করা হয়। বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহা. শফিকুল ইসলাম। ডিএমপি কমিশনার বলেন, করোনায় ডিএমপির ৩ হাজারেরও বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে মারা গেছেন ২৪ জন। করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে দেশের সর্বোচ্চ ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফোর্সের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আইজিপি স্যারের উদ্যোগে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সম্পূর্ণ ভাড়া নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিএমপিতে কর্মরত সদস্যদের কল্যাণ দেখাই আমাদের কাজ। আমরা আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে তোমাদের পাশে আছি।
গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
নয়াদিগন্ত
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর ও পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে মুগদা থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মো: জহিরুল আলম দেওয়ান। এ সময় তার অসুস্থ স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার ও দুই শিশুসন্তান জাহিন (৮) ও জারিফা (৬) উপস্থিত ছিল। লিখিত বক্তব্যে জহিরুল বলেন, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সহায়তা করতে এসে পুলিশ তার পরিবারের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তার দুই শিশুসন্তানসহ স্ত্রীকে জেলের ঘানি টানিয়েছে। বর্তমানে পুলিশ সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদকের জামিন আটকাতে হাই কোর্টে দুদক, রুল জারি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
বিভাগ: গণমাধ্যম
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জজ আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
দুদকের এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়। তৌফিক ইমরোজ খালিদী ও রাষ্ট্রকে ১০ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাই কোর্টে এই শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তৌফিক ইমরোজ খালিদী এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন পাওয়ার পর তা আটকাতে চেম্বার আদালত এবং পরে আপিল বিভাগে গিয়েও সাড়া পায়নি দুদক।
আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ গত ২০ অক্টোবর তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন দেয়। সেই আদেশ চ্যালেঞ্জ করেই আবার হাই কোর্টে এসেছে দুদক। এদিকে ২৫ নভেম্বর বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদকের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে।
Sangram editor walks out on bail
The Daily Star
Category: Media
Editor of Bangla daily the Sangram, Abul Asad, got released from jail yesterday following the bail order from the Appellate Division of the Supreme Court. Asad’s lawyer Mohammad Shishir Manir told The Daily Star that his client walked out of Kashimpur jail last evening and they have talked to each other over phone. He said Asad was arrested on December 13, 2019 in a case filed under the Digital Security Act on charges of “circulating provocative report and sedition”. The High Court on September 23 this year granted bail to Asad following a bail petition filed by him in connection with the case. The state later moved a petition before the Appellate Division challenging the HC bail order. On November 5, the Appellate Division dismissed the state’s petition and upheld the order, Manir added. Police detained Asad on December 13 last year after a mob vandalised the daily Sangram’s office over publishing a report that termed Quader Molla a “martyr”. Molla, former assistant secretary general of Jamaat and known infamously as “the butcher of Mirpur” during the Liberation War, was hanged in 2013 after being convicted in a case for committing crimes against humanity during the war by the Supreme Court on September 17 that year. Afzal Hossain, a freedom fighter, filed the case with Hatirjheel Police Station. Asad was sent to Kashimpur jail on December 14 of 2019.
Police remove protesters from sidewalk at night
New Age
Category: State forces
Police in the early hours on Monday removed the demonstrating Tazreen Fashion and A1 BD Ltd workers and the Ebtedayee madrassah teachers from the sidewalk in front of the National Press Club.
Workers and teachers alleged that over a hundred police charged baton, sprayed hot water to disperse them from the place.
At a press conference, the workers said that at about 4:30 am a huge contingent of police suddenly attacked the sleeping workers.
Police scolded the female workers and tore their dresses apart and took away their all the belongings, including mobile phones, workers alleged. Over 30 people, including 18 workers, were injured as the demonstrators refused to leave the spot.
Dhaka Metropolitan Police Ramna zone deputy commissioner Sajjadur Rahman denied the allegations of torture but confirmed that the demonstrators were removed.
He said that none could stay on road without DMP commissioner’s permission. ‘Demonstrators were asked to leave the spot and they left at night. We just cleaned it,’ he said.
Tazreen Fashions Ltd’s injured worker Jorina Begum said that they were continuing the sit-in protest in front of the National Press Club since September 20 to press home their three-point demands —compensation, rehabilitation and treatment of the injured workers of Tazreen Fashions Ltd fire incident.
আপনার মতামত জানানঃ