সৌদি আরবে সারা বছর পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। শুধুমাত্র তেল রপ্তানির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন এই ক্রাউন প্রিন্স।
মোহাম্মদ বিন সালমান চান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা সৌদিতে আসুক। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। আর এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবার দেশটির কিছু ঐতিহাসিক ইসলামিক স্থাপনাগুলোকে বুটিক হোটেলে রূপান্তরিত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান।
সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড জানিয়েছে, বুটিক গ্রুপ ঐতিহাসিক প্রাসাদগুলোকে হোটেলে রূপান্তর করবে।
পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের গভর্নর ইয়াসির আল রুমায়ন এ ব্যপারে জানান, ক্রাউন প্রিন্সের গঠিত বুটিক গ্রুপ সৌদি আরবের বিশেষ স্থাপনাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো উন্নত করার কাজ করবে।
তিনি আরো জানান, এই স্থাপনাগুলো দেশটির অর্থনৈতিক উন্নতি ও তেল রপ্তানির বাইরে জিডিপি বাড়াতে সহায়তা করবে।
সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ নিয়ে আগাচ্ছে। এই ভিশনের লক্ষ্যই হলো তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পর্যটন খাত থেকে আয় করা। এর আগেও আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
কিছুদিন আগে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী এই দেশটি বিদেশিদের নাগরিকত্ব দে’য়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্র মতে, আইন, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও প্রযুক্তিবিদ্যায় বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ও মেধাবীদের নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় সৌদি আরবের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এক রাজকীয় ফরমানে এই অনুমোদন দেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
সৌদি আরব তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ‘ভিশন-২০৩০’ প্রনয়ণ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দক্ষ ও চৌকস পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে চায় দেশটি। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, নাগরিকত্ব লাভকারী দক্ষ পেশার মানুষজন সৌদি আরবের বিভিন্ন উন্নয়নে অবদান রাখবেন।
তবে এজন্য খুব বেশি মানুষকে নয়, সীমিত সংখ্যক পেশাজীবীদের এই সুযোগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, সৌদি আরবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গুরুত্ব বাড়ছে বিনোদন শিল্পের। কিছুদিন আগে সৌদি আরবের সংগীত উৎসব ‘সাউন্ডস্টর্ম সংগীত উৎসব’ শেষ হলো।
চারদিনের সংগীত উৎসবে সাত লাখের বেশি অতিথি অংশগ্রহণ করেছে। এর রেশ যেতে না যেতেই সৌদিবাসীর জন্য ‘নিউ ইয়ার’ এসেছিল বাড়তি আনন্দ হয়ে।
বিশ্বের বিভিন্ন জনপদের মতো মহা ধুমধামে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবও। জমকালো আয়োজন আর আতশবাজির রঙিন আলোর ঝলকানিতে ২০২২ সালকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদিবাসী।
দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গুরুত্ব বাড়ছে চলচ্চিত্র শিল্পেরও। সৌদি আরবে সিনেমা মুক্তিতে ৩৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠেছে মাত্র ৪ বছর হলো।
তবে সংবেদনশীল ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিষয়, যৌনতা ও সমকামিতা স্পর্শ করে এমন সিনেমা দেশটিতে এখনো নিষিদ্ধ। পশ্চিম এশিয়ার সিনেমাগুলো সবচেয়ে বেশি মুক্তি পায় সেদেশে। বর্তমানে সৌদি আরবে ১৫৪টি সিনেমা হল চালু আছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১১৪৭
আপনার মতামত জানানঃ