শেষ মুহূর্তে এসে বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিন সরাসরি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশ এর আগে অক্সফোর্ডের টিকা কেনার ব্যাপারে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে গেছে অক্সফোর্ডের এই টিকা। কবে আসবে এরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এরমধ্যে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন ফাইজারের টিকা কেনা শুরু করে দিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যের ওষুধ ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এই টিকা নিরাপদ বলে মত দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের খবর, চীনা ভ্যাকসিনও তৈরি হয়ে গেছে। এখন শুধু অনুমোদনের অপেক্ষায়। যেসব দেশ চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিল তারাই এই টিকা আগে পাবে। বাংলাদেশ বিলম্বে সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে এই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ কোথা থেকে ভ্যাকসিন আনবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যারা আগে আসবে তাদের কাছেই বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে। স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণ টিকা পেতে শুরু করবে।
ওদিকে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর কাফেলা দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ হাজার ৭১৩ জন। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৯৮ জন। সবমিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৬৯ হাজার ৪২৩ জন। গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫৬২ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার যাই বলুক না কেন করোনা পরিস্থিতি যে জটিল রুপ নিয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুন নূর তুষার মনে করেন, বাংলাদেশ এই রোগটাকে বিজ্ঞান সম্মতভাবে দেখেনি। নয় মাসে কোনো গবেষণা হয়নি। মানুষের মধ্যে একধরনের বেপরোয়া ভাব ছিল।
মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এখন অধিকাংশ মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা সর্দি-কাশি বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে বড় বিপদ হতে পারে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা।
খবর : ভয়েস অব আমেরিকা
আপনার মতামত জানানঃ