ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন সাম্প্রদায়িক হামলা মামলা, মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামিরাও। অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আসামিদের পদ দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের পর ১১ ফেব্রুয়ারি রবিউল হোসেন রুবেলকে সভাপতি ও শাহাদাৎ হোসেন শোভনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এক বছর মেয়াদী ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ৩৩ মাস পর গত ৩০ অক্টোবর ৩৪৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এই কমিটি ঘোষণায় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়মও মানা হয়নি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১০’র ‘ক’ ধারায় বলা আছে, জেলা কমিটি ১৫১ সদস্যের নির্বাহী সাংসদ গঠিত হবে। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে ৩৪৯ সদস্য বিশিষ্ট।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে অনুমোদিত কমিটিতে দেখা যায়, সেখানে শয়ন আহমেদ শিখনকে সহ-সম্পাদক করা হয়েছে। স্কুলের গণ্ডি পার না হওয়া এই যুবক শহরের পীরবাড়ি এলাকার একটি জুতার কারখানায় কারিগর হিসেবে কাজ করেন। নাসিরনগরে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর মামলার আসামি একই উপজেলার বুড়িশ্বর গ্রামের বাসিন্দা ফারদিন তাহের রাহুলকে উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। রাহুল সেই বছরের ৪ নভেম্বর মন্দির ভাঙচুর মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়ে বিদেশে চলে যান। মাস দুয়েক আগে তিনি দেশে ফেরেন।
গত বছরের ১১ এপ্রিল আখাউড়া থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওবায়দুর রহমান বাবু। পরে একই বছরের ৩১ আগস্ট পুলিশ ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। তাকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৯ জুন একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করা রবিউল আলাম রবিনও পেয়েছেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ। রেলস্টেশনে চা বিক্রি করা সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বলকে একই কমিটির উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- এই ২ পদে রাখা হয়েছে।
বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গঠনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়েও বড় ৩৪৯ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিতে এই ৫ জন ছাড়াও ঠাঁই পেয়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়ী, ছাত্রদল নেতা, হেফাজতের জ্বালাও-পোড়াও মামলার আসামি, অছাত্র, বিবাহিত, সন্তানের জনক, প্রবাসী, সহোদর ভাই, ফটোকপির দোকানের কর্মচারী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, স্কুলের গণ্ডি পার না হওয়া, ত্রিশের অধিক বয়সী, এসএসসি ফেল এবং মাদক, চুরি ও ছিনতাই মামলার আসামি।
অনুমোদিত কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কমিটিতে এমন বিতর্কিতদের স্থান দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা। গতকাল বিকেলে ছাত্রলীগের একটি অংশ এই বিতর্কিত কমিটি সংশোধনের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটি সংশোধনের দাবি জানান।
অনুমোদিত কমিটির ১৩ পৃষ্ঠার তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, জেলার কসবা উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবির মো. সোহাগকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য করা হয়েছে। ছাত্রদল নেতা মো. শাফী আলম এবং ছাত্রদল কর্মী মো. জাহিদ হাসানকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। স্কুলের গণ্ডি পার না হওয়া এবং ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামি মো. মোজাম্মেল হককে সহ-সম্পাদক করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং শিশির আলমকে একই কমিটিতে ২ পদে রাখা হয়েছে। সরাইলের প্রত্যন্ত রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন রেজা ও তার ভাই আফজাল হোসেনকে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। বিবাহিত এই সহোদরের মধ্যে আলমগীর হোসেনকে সহ-সভাপতি এবং আফজাল হোসেনকে উপ-মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। বিবাহিত দম্পতি মিকাইল হোসেন হিমেলকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তাহসীন চৌধুরী তানহাকে উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১০ এর ‘ক’ ধারায় বলা আছে, জেলা ইউনিটের কমিটি ১৫১ সদস্যের নির্বাহী সাংসদ গঠিত হবে। গঠনতন্ত্রের ৫ এর ‘ক’ উপধারা মতে, অনূর্ধ্ব ২৯ বছর বয়সী বাংলাদেশের যেকোনো স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন। ৫ এর ‘গ’ উপধারা ও ৫ এর ‘ক’ উপধারা অনুযায়ী বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও চাকরিতে নিয়োজিত কোনো শিক্ষার্থী ছাত্রলীগে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের এই কমিটিতে গঠনতন্ত্রের কোনো নিয়ম মানা হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর কিছু অভিযোগ আমরা জানতে পেরেছি। তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হবে। কেন্দ্র থেকে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে’।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, জেলা কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের নাম কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠায় জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্রীয় কমিটি কেবল সেটার অনুমোদন দিয়ে থাকে, যার কারণে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা যাচাই করার সুযোগ থাকে না।
তিনি বলেন, যেহেতু কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, কেউ লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দিলে, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। ছাত্রলীগের কমিটিতে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির আসার সুযোগ নেই, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান পারভেজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষকেই বাদ দেওয়া হয়নি। একেবারে যাচ্ছেতাই ও ঢালাওভাবে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সর্বনিম্ন পর্যায়ের ওয়ার্ড ইউনিটে থাকার যোগ্যতাও নেই, এমন ব্যক্তিদের জেলা কমিটিতে রাখা হয়েছে। বিবাহিত, অছাত্র, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি প্রায় ১০০ জন এই কমিটিতে পদ পেয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক।’
‘কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষকেই বাদ দেওয়া হয়নি। একেবারে যাচ্ছেতাই ও ঢালাওভাবে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সর্বনিম্ন পর্যায়ের ওয়ার্ড ইউনিটে থাকার যোগ্যতাও নেই, এমন ব্যক্তিদের জেলা কমিটিতে রাখা হয়েছে। বিবাহিত, অছাত্র, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি প্রায় ১০০ জন এই কমিটিতে পদ পেয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক।’
এদিকে ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়া দিঘির উত্তর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সূত্রপাত হয়। কুমিল্লার ঘটনার চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, রংপুরসহ দেশের ১৬ জেলায় এ সহিংসতা ছড়ায়। হামলার ঘটনায় দায়ের করা ৮৫টি মামলায় ২৩ হাজার ৯১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
এর থেকেও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে রংপুরের পীরগঞ্জে। সেখানে মাঝিপাড়ায় গরিব জেলেদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া এবং লুটপাটের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা। র্যাবের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, পীরগঞ্জের বড় করিমপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সৈকত মণ্ডল (২৪) নামের একজন নেতৃত্ব দেন। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য এবং মিথ্যা পোস্টের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেন তিনি। ঘটনার দিন একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন তার সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। এরপরই হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনার রেশ কাটত না কাটতেই টেকনাফে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর কাটাখালী ওয়ার্ডে চাকমাপল্লিতে হামলা ও পিটিয়ে আহত করার পাশাপাশি এবং তাদের বৌদ্ধমন্দির ভাঙচুর এবং রান্নাঘর ও ধ্যানকক্ষে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে জানা যায়, এতে নেতৃত্ব দেন তোফায়েল হোসেনসহ ১৩ জন। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সম্রাট কাটাখালী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যদিও হামলাকারী তাদের সংগঠনের নন বলে যথারীতি দাবি করেছে ছাত্রলীগ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্ম পরিচয়ের রাজনীতির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ১৯৫৫ সালে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির যাত্রা শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। এ রাজনীতিই বাঙালির জাতিরাষ্ট্রের ভিত গড়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে। কিন্তু সেই সংগঠনেই এমন ব্যক্তিরা কীভাবে সদস্য হচ্ছেন, যারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখেও নিষ্ক্রিয় থাকছেন, কিংবা ধর্মান্ধদের সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন? অস্বীকার কিংবা বহিষ্কার কিংবা অন্য দল থেকে এসে ষড়যন্ত্র করেছে—বহু ব্যবহৃত এই কৌশল কী আদৌ সমস্যার গভীরে পৌঁছতে সহযোগিতা করে? নীতি-আদর্শকে সমাহিত করে শুধু ‘সহমত ভাইদের’ সংখ্যা বাড়ানো কিংবা ঠেসে পুড়ে সমাজের সব মতাদর্শের সুবিধাবাদীদের দলে ভেড়ার সুযোগ করে দেওয়ার সামাজিক ফলাফলটা কী হচ্ছে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একের পর এক সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনাসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার আলোচনায় আসে ছাত্রলীগ। মাদক ব্যবসা, টেন্ডার-বাণিজ্য, পুলিশকে মারধরসহ একের পর এক নানা অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ যে আদর্শ ও নীতিতে একটি সংগঠনে রূপ নিয়েছিল সেই আদর্শ এখন আর নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, আদর্শের চর্চা না থাকার ফলে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতারা দুর্নীতিসহ নানান অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের এই সর্বগ্রাসী নতুন রাজনৈতিক আদর্শ ও ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে যাকে পারো তাকে ধরো, আওয়ামী লীগ করো নীতিতে চলতে গিয়ে ছাত্রলীগ আর আগের মতো আদর্শিক ছাত্রলীগ হতে পারছে না। তারা মনে করেন, ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রলীগের সঙ্গে আদর্শিকভাবে নেই। তারা কোনো ভাই বা সিন্ডিকেটের রাজনীতি করছে। তাদের ভাষ্যমতে, সিন্ডিকেট হলো তারাই, যারা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে অর্থ, সম্পদ, বিত্ত, বৈভব বানিয়েছে। আর ছাত্রলীগও তাদের ব্যবহার করে ধান্দার রাজনীতি করছে।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ দলটির মতই ছাত্রলীগের অবস্থা। হেফাজত ইসলামসহ মুসলিম দলগুলোর সাথে আতাত করে ক্ষমতা ধরে রাখার অপরাজনীতির চর্চাই দলসহ সংগঠনগুলোকেও ডুবাবে আওয়ামী লীগ। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ হেফাজতসহ ইসলামী দল কাছে টেনে রাজনীতি করেছে, একই উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগও আদর্শের বাইরে গিয়ে যাকে তাকে সংগঠনে ভিড়াচ্ছে। ফলে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হেফাজত যেভাবে মাঠে নেমেছে, ছাত্রলীগের অবস্থাও তাই।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০৩২
আপনার মতামত জানানঃ