মহামারি করোনাভাইরাস একদিকে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে আক্রান্ত করছে মনকেও। কারণ করোনার আগ্রাসনে কর্মক্ষেত্র কমে যাওয়ায় বাড়ছে বেকারত্ব, বিভিন্ন পেশায় কর্মরতরা বেকার হয়ে পড়ছে; শিক্ষিত তরুণদের কর্মের সুযোগও সীমিত হয়ে পড়েছে। এতে হতাশা বাড়ছে তরুণদের মাঝে।
পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ তরুণ অবসাদে আর হতাশায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। সম্প্রতি অনলাইন সংস্করণে এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পড়াশোনা ও চাকরির ক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের তরুণরা।
পূর্ব চীনের একটি ছোট শহরে বেড়ে উঠেছেন লি জিয়াউমিং। স্বপ্ন ছিল বড় শহরে যাওয়ার। ভালো চাকরি পেয়ে আরও ভালো জীবনযাপন করার। এখন তার বয়স ২৪। কিন্তু এর মধ্যেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন এ তরুণ।
দেশজুড়ে লির মতো অনেক তরুণ জানান, পড়াশোনা ও চাকরির ক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তারা। ইঁদুর দৌড়ের মতো তারাও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই জীবন কাটাতে চান। তাদের এ নতুন জীবন দর্শনকে বলা হচ্ছে ‘ট্যাং পিং’ বা ‘লাইয়িং ফ্ল্যাট’।
চীনা সার্চ জায়ান্ট বাইডু পরিচালিত একটি অনলাইন ফোরামে এ বছরের শুরুতে একটি পোস্টে এ শব্দটির খোঁজ পাওয়া যায়।
অনলাইন ফোরামের পোস্টে লেখা হয়, অ্যাপার্টমেন্ট ও আভিজাত্যের পারিবারিক মূল্যবোধের পেছনে ছুটে নিজের সারা জীবন ব্যয় করার পরিবর্তে মানুষকে একটি সাধারণ জীবনযাপন বেছে নেওয়া দরকার। যদিও পরে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়।
অন্যদিকে, লাইয়িং ফ্ল্যাটের আলোচনা বাড়তে থাকে পুরো চীনজুড়ে যেখানে তরুণরা ভালো, আকর্ষণীয় চাকরি বিশেষ করে প্রযুক্তি বা অন্য কোনো কায়িক শ্রমের চাকরি খুঁজতে ব্যস্ত। দেশটিতে প্রাইভেট কোম্পানি বেড়ে যাওয়ায় অন্য এক ধরনের কাজের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বেশিরভাগ প্রযুক্তি ফার্মগুলো সপ্তাহে কাজের চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এ লাইয়িং ফ্ল্যাট মুভমেন্ট, যেখানে এ প্রতিযোগিতার মধ্যে যেতে হবে না।
এই ফিনোমেনা শুধু চীনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পূর্ব এশিয়াজুড়ে তরুণরা স্বল্প বেতনে অধিক কাজ করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে তারা একধরনের হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের পর তরুণরা বাড়ির মালিক হতে পারেন। জাপানে তরুণরা এতটাই হতাশ যে তারা জানেন না ভবিষ্যৎ কোথায় এবং সে কারণে ভৌত অবস্থা এড়িয়ে চলেন। বেশিরভাগ তরুণ হতাশ হয়ে পড়ছেন এবং চাপ নিতে চাইছেন না। অনেকে বিয়ে কিংবা সন্তান নেওয়ারও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার কেইম্যুং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিম উন-তাইক বলেন, তরুণরা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তারা জানেনই না কেন তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
লি পড়াশোনা শেষ করেন আইন বিষয় নিয়ে। চীনের যতগুলো আইনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোর মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হন লি। বেইজিংভিত্তিক আন্তর্জাতিক ফার্মে চাকরি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশাও করেন। কিন্তু যখন চাকরির আবেদন করেন তখন অন্তত ২০টি ফার্ম থেকে প্রত্যাখ্যাত হন। পরে ট্রেইনি হিসেবে যুক্ত হন একটি দেশিও ফার্মে।
বেশিরভাগ তরুণ হতাশ হয়ে পড়ছেন এবং চাপ নিতে চাইছেন না। অনেকে বিয়ে কিংবা সন্তান নেওয়ারও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তিনি জানান, দেখলাম প্রচুর প্রতিযোগিতা। আমার মতো হাজার হাজার তরুণ চেষ্টা করছে। আমি হতাশ হয়ে পড়ি। প্রতিযোগিতায় যেতে নারাজ। তিনি নিজেই এ ট্যাং পিং-এর মধ্যে আছেন। সাধারণ জীবনযাপনই তার কাম্য এখন।
ট্যাং পিং হচ্ছে স্থিতাবস্থা নিয়ে লড়াই, উচ্চাকাঙ্ক্ষী না হওয়া, এত কঠোর পরিশ্রম না করা। এটি এতোটাই সাড়া ফেলেছে যে ডাউবেন নামে সামাজিক সংগঠন তৈরি হয়েছে, যারা মেনিফেস্টোতে বর্ণনা করছে ট্যাং পিং লাইফস্টাইল নিয়ে। এতে বলা হচ্ছে, আমি বিয়ে করবো না, না বাড়ি কিনবো না আমার বাচ্চা থাকবে। আমি কোনো ব্যাগ, পোশাক লোক দেখানোর জন্য কিনবো না।
এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন হাজারের বেশি তরুণ। হ্যাশট্যাগ দিয়ে চীনের উইবোতে সমানতালে চলছে টুইটও।
পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান না সিঙ্গাপুরের তরুণরা
মনে হতেই পারে সিঙ্গাপুর অবিবাহিতদের জন্য স্বর্গ। তরুণরা বিনাভাড়ার বাড়িতে থাকতে পারেন, কাজের লোকের সহায়তার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন কিংবা মাঝে মাঝে জীবনটাকে অন্যভাবে উপভোগ করতে পারেন। এ আরামপ্রদ জীবনের মাঝে গোপন বিষয়টি হলো তারা যদি বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে পারেন বা তাদের অনেকেই ৩০ বছরের মধ্যে ভালো কিছু করতে পারেন। আর সরকার তাদের পরিবারের মূল্য বুঝতে উৎসাহিত করে।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওয়ে-জুন জিন ইয়ুং বলেন, আবাসননীতি তরুণদের জন্য এক ধরনের জটিলতা তৈরি করেছে। দেশটির ৮০ ভাগ লোক সরকারের ভর্তুকি দেওয়া বাড়িতে বসবাস করে। কিন্তু একজন তরুণ ৩৫ বছর বয়স না হলে কিংবা বিয়ে না করলে বাড়ি পাবেন না।
দি ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে ১৯৯০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছরের নিচে তরুণ, যারা একাই বাস করছে অথবা পরিবারের বাইরের লোকজনের সঙ্গে বসবাস করছে তাদের সংখ্যা ৩৩ হাজার চারশ থেকে ৫১ হাজার তিনশ’তে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা সরকারি বাড়ি পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হননি, বাধ্য হয়ে ব্যক্তিগত খরচে থাকছেন।
আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, ২০১৪ সালে গড়ে ৯০ জন ভাড়াটিয়া ছিল। ২০১৯ সালে এসে সেখানে ৬৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
এটি একটি বড় কারণ হতে পারে যে সিঙ্গাপুরের তরুণরা দেরিতে বিয়ে করেন। ১৯৮০ সালে যেখানে তরুণ-তরুণীরা ২৪ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে বিয়ে করেন সেটি এখন ২৯ থেকে ৩০ বছরে চলে এসেছে। অনেক তরুণ এটাও মনে করেন বিয়েই সব সমস্যার সমাধান নয়। আবার সিঙ্গাপুরে সমকামী বিয়েও বৈধ নয়।
এছাড়া করোনা মহামারিও তাদের ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা তৈরি করছে। কারণ করোনায় সবকিছুতে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে অনেকে হতাশায় ভুগছেন।
অন্যদিকে, প্রথমত তরুণদের বাবা-মাকে অবহিত করতে হয় সবকিছুর জন্য। দ্বিতীয়ত তাদের অবশ্যই নিজের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে সব কাজে।
তবে আলাদা থাকার কারণে সম্পর্ক আরও ভালো হতে পারে এমনটা ভাবছেন কেউ কেউ। এরকম এক দম্পতি বলেন, তারা বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার পর সর্ম্পক আরও ভালো হয়েছে। সর্ম্পক শীতল হয়ে গেলে তারা আবার মনোযোগী হতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে বাবা-মা দেখতে আসলে তারা দু’জনই খুশি হন। ভালো সময় কাটাতে পারেন।
বাবা-মা সারাজীবন সন্তানকে বাচ্চা মনে করেন। কিন্তু যখন তারা দেখতে পান তাদের সন্তানরা সবকিছু নিজেই করছে তখন এটা বিশ্বাস করতে পারেন যে তারা আসলে সবকিছু করতে পারে।
দীর্ঘ বিরতিতে মানসিক অবসাদগ্রস্ত দেশের শিক্ষার্থীরা
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দীর্ঘসময় স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন থেকে দূরে থাকার ফলে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিবর্তন এসেছে তাদের আচরণেও। তবে শিক্ষার্থীদের এই অবসাদ কাটাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদেরকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীরা। স্বাভাবিক অবস্থায় ক্যাম্পাসে আসা, ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেওয়া, সহপাঠীদের সাথে আড্ডা দেওয়া, রিহার্সাল, বিভিন্ন সংগঠনের মিটিং, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, টিউশনি, এসাইনমেন্ট করাসহ নানা রকমের কর্মচঞ্চলতায় শিক্ষার্থীরা সময় পার করলেও বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন হওয়ায় পাল্টে গেছে তাদের জীবন প্রক্রিয়া। মেজাজ খিটখিটে থাকা, অস্বাভাবিক আচরণ করা, হতাশাগ্রস্ত হওয়াসহ বেশ কিছু মানসিক জটিলতায় ভুগছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে ঘোষিত ছুটিকে শুরুতে শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ বা পনেরো দিনের ছুটি ভেবে উৎফুল্ল মনে নিজ নিজ বাড়িতে যায়। তবে সময়ের সাথে সাথে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। অপরদিকে প্রথম এক-দুইমাস বাড়িতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামীণ পরিবেশকে উপভোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো সময় কাটালেও ছুটি বাড়ার সাথে সাথে তাদের মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়া, একঘেয়েমি জীবন বিরক্তিকর মনে হওয়াসহ বেশকিছু কারণে ধীরে ধীরে তারা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অপরদিকে গ্রামে দুর্বল নেটওয়ার্ক সংযোগ, ডেটা কেনার অসামর্থ্য, ডিভাইস না থাকাসহ বেশ কিছু কারণে অনলাইন ক্লাস থেকেও পিছিয়ে পড়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ফলে পড়াশোনা ও অনার্স শেষ করার অনিশ্চয়তা নিয়েও তাদের মধ্যে অনেকটা হতাশা ও বিষাদ তৈরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মানসিক অবসাদ সম্পর্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, হতাশা এখন অবশ্যই খারাপের দিকে। বিভিন্ন ডেটাও তাই বলে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে হলে পরিবার, শিক্ষক, মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। বাসায় শিক্ষার্থীদের পরিবার তাদের দিকে সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখতে পারে। পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পগুজবসহ বিনোদনের ব্যবস্থা করা গেলে এসব শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সার্বিকভাবেই মানুষের মানসিক অস্থিরতা বেড়েছে। মহামারিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের দূরত্ব সৃষ্টির ফলেও শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়। শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। কারণ সরাসরি দেখা করার কোনো সুযোগ এখন নেই। তাই অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সাথে নিজ নিজ বিভাগ, অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, সংগঠন বা ছাত্রকল্যাণ থেকেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে তাদের সমস্যা ও অনুভূতি জানার মাধ্যমে তাদেরকে কাউন্সেলিং করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যাগুলো শেয়ার করলে অনেকটা প্রশান্তি পাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান বলেন, দীর্ঘসময় ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও অবসাদ তৈরি হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। এক বছর দুই মাস ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা ঘরের ভেতর বন্দি আছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রথম ও শেষ সমাধান হলো যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের আবারও আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া। তাদের সামাজিক জীবন ও ক্যাম্পাস জীবন স্বাভাবিক করতে হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৫১৪
আপনার মতামত জানানঃ