চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দোরগোড়ায় আমরা। এই শিল্পবিপ্লবের সফল বাস্তবায়ন হলে প্রতিষ্ঠানে মানুষের পরিবর্তে রোবট ও মানুষবিহীন উন্নতমানের প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। এতে করে শিল্প বিপ্লবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে কর্মবাজারে। অটোমেশন প্রযুক্তির ফলে ক্রমশ শিল্প কারখানা হয়ে পড়বে যন্ত্রনির্ভর। যার ফলে বিশ্বব্যাপী মানুষ কর্মহীনতার ঝুঁকিতে পড়বে।
গত কয়েকশত বছর ধরেই মেশিন মানুষের কাজের জায়গাগুলো দখল করে নিচ্ছে। ফরচুন ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৫০০টি নেতৃস্থানীয় কোম্পানি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ছেড়ে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতে; অর্থাৎ যন্ত্র এখন মানুষকে নিয়োগ দিচ্ছে।
বর্তমানে বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি, হেলথ-কেয়ার, কাস্টমার-কেয়ার সহ প্রায় সবখানেই মেশিন, রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশনের জয়জয়কার। গার্মেন্টস শিল্পে বর্তমানে মেশিনের জয়জয়কার। অথচ উনিশ শতকের শেষের দিকেও রঙ করা, সুতা কাটা, বুননের কাজগুলো সাধারণ শ্রমিকদের দ্বারা পরিচালিত হতো। পূর্বে জাহাজ শিল্পে যে পরিমাণ শ্রমিক প্রয়োজন হতো, তার প্রায় অধিকাংশ কমে গেছে ভারি ভারি মেশিনের কল্যাণে। বর্তমানে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কল্যাণে চালকবিহীন গাড়িও রপ্তানি হচ্ছে।
মহামারি ও রোবটের উত্থান
এই করোনা মহামারিও রোবটের উত্থানকে ত্বরান্বিত করছে। ছোট বা বড় নানা ধরণের প্রতিষ্ঠান সামাজিক দূরত্ব বাড়াতে রোবটের ব্যবহার বাড়াচ্ছে এবং পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে আসতে হয় এমন কাজের কর্মী কমাচ্ছে। এছাড়া কর্মীরা যেসব কাজ বাড়িতে থেকে করতে পারবে না এমন কাজ করতেও রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।
আমেরিকার সবচেয়ে বড় রিটেইলার ওয়ালমার্ট মেঝে পরিষ্কার করতে রোবট ব্যবহার করছে। দক্ষিণ কোরিয়া তাপমাত্রা পরিমাপ করতে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করতে রোবট ব্যবহার করছে।
এ সময়ে যেসব কোম্পানি পরিষ্কার এবং জীবাণুনাশক পণ্য তৈরি করে তাদের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে গেছে। ইউভিডি রোবটস নামে একটি ডেনিশ কোম্পানি যেটি আল্ট্রাভায়োলেট-লাইট-ডিসইনফেকশন রোবট তৈরি করে, তারা চীন এবং ইউরোপের হাসপাতালগুলোতে শত শত মেশিন সরবরাহ করেছিল। যেসব মুদি দোকান কিংবা রেস্তোরাঁ টেকঅ্যাওয়ে বা খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা দিয়ে থাকে সেগুলোতে এসব রোবটের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলবে, আশা করা হচ্ছে যে এসব প্রযুক্তির ব্যবহারও তত বাড়বে। হয়তো দেখা যাবে যে স্কুল কিংবা অফিস পরিষ্কার করছে রোবট।
খাবার সরবরাহ হচ্ছে আরেকটি খাত যেখানে স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকার কারণে রোবটের ব্যবহার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ম্যাকডোনাল্ডসের মতো ফাস্ট-ফুড চেইনগুলো খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহতে পরীক্ষামূলকভাবে রোবট ব্যবহার করছে।
আমাজন এবং ওয়ালমার্টের মতো প্রতিষ্ঠানের গুদামে কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য রোবট এরইমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর মহামারির পর এই দুটি কোম্পানিই বাছাই, শিপিং এবং প্যাকেটজাত করার জন্য রোবটের ব্যবহার আরো বাড়ানোর চিন্তা করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় ভোক্তারা তাদের নিজেদের নিরাপত্তা এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। অটোমেশনের দিকে ঝোঁকাটাই তাদের সবাইকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তাই ভোক্তারাও একে সমর্থন দিচ্ছে।
অর্থনীতিতে রোবটের সংযুক্ততা নিয়ে লেখালিখি করা ফিউচারিস্ট মার্টিন ফোর্ড এ প্রসঙ্গে বলেন, মানুষ সাধারণত বলে যে, তারা তাদের পারস্পরিক যোগাযোগ বা মিথষ্ক্রিয়ার জন্য মানবিক ছোঁয়া চান। কিন্তু কোভিড-১৯ সেই ধারণাকে বদলে দিয়েছে। কোভিড-১৯ ভোক্তাদের পছন্দের ধরণকে পাল্টে দিতে যাচ্ছে এবং এটি স্বয়ংক্রিয়তা বা অটোমেশনের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ
খরচ কমাতে এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে রোবটের দিকে ঝুঁকছে শিল্প প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিকদের পেছনে অনেক অর্থ খরচ হয়। কিন্তু মানুষের বদলে রোবট দিয়ে কাজ করালে খরচ অনেক কমে যাবে। একবার একটা রোবট কিনে নিলে সেটা দীর্ঘমেয়াদি কাজে ব্যবহৃত হবে যা মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
এছাড়া রোবটের কোনো সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন নেই, তাদের কোনো ছুটির দরকার হয় না। এমনকি রোবট কখনও অসুস্থও হয় না। তারা কখনও ভালো সুযোগ বা চাকরির কথা বলে চাকরি ছাড়বে না, কোনো অভিযোগ করবে না। এমনকি খাবারের জন্যও কোনো বিরতি নেবে না। অর্থাৎ একটি রোবট দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই সমানতালে কাজ করতে সক্ষম যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
এ কারণেই টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যাপলের হার্ডওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ইতোমধ্যে ৬০ হাজার কর্মী ছাটাই করে তার পরিবর্তে রোবটকে কর্মী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। বিগত বছরগুলোতে চীনের কারখানাগুলোতে রোবট ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০.৮%।
ম্যাককিনস গ্লোবাল ইন্সটিটিউটের তথ্যমতে, আমেরিকা এবং জার্মানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সহ পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ ২০৩০ সালের মধ্যে চাকরিশূন্য হবে। প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি কর্মঘণ্টা স্বয়ংক্রিয় মেশিন বা রোবটের আওতায় চলে যাবে।
গবেষণাটির মতে, চাকরি হারানো মানুষদের যে শুধু নতুন চাকরি খুঁজতে হবে তা নয়, তাদের মধ্যে প্রায় ৩৭৫ মিলিয়ন মানুষকে নিজেদের পেশা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো পেশা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ, পৃথিবীব্যাপী প্রায় ১৪% শ্রমিক যে ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করতো, সেগুলো তাদের জন্য হারিয়ে যাবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষাবিদ তাদের ‘দ্য ফিউচার অফ এমপ্লয়মেন্ট’ শিরোনামের একটি গবেষণা পত্রে দেখিয়েছে যে, “টেলিমার্কেটার, ট্যাক্স প্রস্তুতকারক, স্পোর্টস রেফারি সহ প্রায় ৭০২টি প্রচলিত পেশা সাইকোলজিস্ট, দন্তচিকিৎসক, চিকিৎসাবিদের মতো পেশাগুলোর থেকে বেশি ঝুঁকিতে আছে।”
যেভাবে মানুষকে সরিয়ে জায়গা করে নিচ্ছে রোবট
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্যাক্স প্রস্তুতকারকদের পেশাগুলো শীঘ্রই অটোমেশনের আওতায় চলে যাবে। বর্তমানে আমেরিকার সবচাইতে বড় ট্যাক্স প্রস্তুতকারক কোম্পানি এইচ এন্ড আর ব্লক তাদের কাজে আইবিএম-এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্লাটফর্ম ‘আইবিএম ওয়াটসন’ এর সেবা গ্রহণ করছে।
এছাড়া পৃথিবীতে প্রথম চালকবিহীন গাড়ির দেখা মেলে ২০০৪ সালে। তবে সেটি ছিল খুবই স্বল্প পরিসরে। সফলতার মুখ দেখা প্রথম চালকবিহীন গাড়িটি মাত্র সাত মাইল পথ পাড়ি দিতে পেরেছিল। এটি ছিল মূলত আমেরিকা সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের মানুষবিহীন ট্রাক নির্মাণের একটি প্রজেক্টের অংশ।
এর কয়েক বছর পর টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন যে, তারা তাদের গাড়িগুলোতে চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর ‘টেসলা মডেল এস’ গাড়িটির মাধ্যমে কোম্পানিটি চালকবিহীন গাড়ির দুনিয়ায় পা রাখে।
পরবর্তীতে উবার এবং লিফ্ট এর মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোও চালকবিহীন গাড়ির প্রতি আগ্রহ দেখায়। বর্তমানে এই প্রযুক্তিটি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে কোনো গাড়ি প্রস্ততকারী কোম্পানিই এটিকে উপেক্ষা করতে পারছে না। ফোর্ড, জেনারেল মটরস, নিসান, টেসলা, মার্সিডিজ সহ সকল কোম্পানিই বর্তমানে চালকবিহীন গাড়ি তৈরিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
বর্তমানে চিকিৎসকরাও আইবিএম ওয়াটসনের সাহায্যে খুব সহজেই লক্ষ লক্ষ কেস স্টাডি, জার্নাল ঘাঁটাঘাঁটির মাধ্যমে কোনো একটি বিশেষ রোগের চিকিৎসা নির্ণয় করতে পারে। সম্ভাবনা থেকেই যায়, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি চিকিৎসকদের সাহায্য করার বদলে, নিজেই তাদের চাইতেও ভালো চিকিৎসক হিসেবে আবির্ভূত হবে!
ইতিমধ্যেই মানুষের হাতের মতো দেখতে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সার্জিক্যাল রোবট তৈরি করেছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক। এই রোবটের নাম দেয়া হয়েছে ভার্সেস। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ মেডিকেল রোবটিকস জানিয়েছে, নাক, কান, গলা, হার্নিয়া, কলোরেক্টাল ও প্রস্টেট অপারেশনে এই রোবটের সাহায্য নেয়া যাবে। বর্তমানে অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো আকারে এই রোবটের তিন গুণ বেশি বড়।
রোগীর শরীরে ছোটখাটো ছিদ্র করার জন্যও সার্জনদের ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হয়। তবে ভার্সেস ব্যবহার করলে আর প্রচলিত ওপেন সার্জারির প্রয়োজন হবে না। এতে করে রোগীর ব্যথা ও জটিলতা অনেকাংশেই কমে যাবে। সেরে উঠতেও কম সময় লাগবে। অপারেশন থিয়েটারে একটি থ্রি-ডি স্ক্রিনে গাইডলাইন দেয়া থাকবে। সার্জনরা সেই গাইডলাইন দেখে রোবটটিকে নির্দেশনা দেবেন।
এছাড়া জাহাজ নির্মাণ সহ বিভিন্ন শিল্পে ওয়েল্ডিং-এর কাজ হয় প্রচুর৷ এই কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকদের চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এই কাজে মানুষের স্থান দখল করছে রোবট। তৈরি পোশাক কারখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা প্রায়ই ঘটে৷ সেই আগুন নেভাতে ছুটে যান দমকল কর্মীরা৷ ভবিষ্যতে শীঘ্রই তাদের সঙ্গে যোগ দেবে রোবট৷ উঁচু ভবন নির্মাণ ও পেইন্টের কাজে ব্যবহার বাড়ছে রোবটের। এমনকি গোয়েন্দার কাজে, ডুবুরি হিসাবে মানুষের পরিবর্তে রোবট জায়গা করে নিচ্ছে।
এখানে তৈরি হচ্ছে একটি প্রশ্ন। সেটা হলো- বর্তমানে যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত এবং কয়েক দশক ধরে পেশাদারিত্ব চালিয়ে যাবে, তারা কীভাবে ভবিষ্যতের অটোমেশন দুনিয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের পেশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্য কোনো কাজ, যেগুলো সম্পাদন করতে রোবটের চাইতে মানুষের উপর বেশি নির্ভর করতে হবে, সেরকম কাজ খুঁজে বের করা এবং সেগুলোতে দক্ষতা অর্জন করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফটের প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং গবেষক জনাথন গ্রুডিন বলেন, “মানুষ শুধু কোনো কাজ করার জন্য দক্ষতাই অর্জন করবে না বরং যতদিন পর্যন্ত তারা প্রযুক্তিগত শিক্ষা অর্জন করবে, ততদিন পর্যন্ত মানুষই ভবিষ্যতের চাকরি, কাজের অবস্থানগুলো তৈরি করবে।”
রোবট কি মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকির?
চাকরি হারানো সহ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ভয় স্বাভাবিকভাবেই ঝেঁকে বসছে। মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এমনটি অনুরোধ করছেন খোদ প্রফেসর স্টিফেন হকিং।
টাইমস ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টিফেন হকিং বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আধিপত্য বিস্তার রোধে উপায় মানবজাতিকে খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তি এত ভয়ংকর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে যে, আমরা পারমাণবিক যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যেতে পারি। আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যুক্তি এবং কারণ দর্শানোর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে পারি।”
২০১৫ সালের স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কর্মদক্ষতাই হলো আমাদের জন্য আসল হুমকি। অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিটি কাজেই অতিরিক্ত দক্ষ। যদি আমরা তাদের দক্ষতাকে মোকাবেলা না করতে পারি; তাহলে আমাদের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে।”
শুধু স্টিফেন হকিং নয়। আমেরিকার প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেসলা’র সিইও এলন মাস্কও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। ২০১৪ সালে এক সম্মেলনে মাস্ক বলেন, “আমি মনে করি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত। যদি আমাকে অনুমান করতে হয়-যে আগামীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকি কোনটি। আমি বলবো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।”
রোবটের আধিপত্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের মতে, “পৃথিবী তার নিজস্ব গণ্ডিতে ঘূর্ণায়মান। পৃথিবীতে উপস্থিত প্রতিটি বস্তু বা প্রাণ নিজস্ব চক্র বা প্রক্রিয়ার ভেতরে অবস্থান করছে। সেই প্রক্রিয়ায় যদি কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে পুরো গঠনতন্ত্রই ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে পুরো গণ্ডি। মানুষের জায়গা যদি রোবট নিয়ে নেয়; তাহলে পৃথিবীর গঠনতন্ত্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। যার প্রভাব পড়বে পুরো সৃষ্টি জগতে। অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মানুষসহ সকল প্রাণীকুল।”
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৯৫৩
আপনার মতামত জানানঃ