অনন্য আজাদ : মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের (ইউডিএইচআর) ১৯তম অনুচ্ছেদটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘Everyone has the right to freedom of opinion and expression; this right includes freedom to hold opinions without interference and to seek, receive and impart information and ideas through any media and regardless of frontiers.’ [1]এটি এমন একটি ধারা যা সকল ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে সেন্সরশিপ বা আইনী অনুমোদনের ভয় ছাড়াই মতামত এবং ধারণাগুলি প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়। একই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ‘International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR)’ আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বীকৃত হয়েছে। The ICCPR states that the embodiment of these fundamental rights and their exercise carry ‘special duties and responsibilities’ and are ‘subject to certain restrictions’ when necessary ‘for the respect of the rights or reputation of others’ or ‘for protection of national security or of public order or public health and morals‘.[2] The aforementioned justification for such subjugation of personal right is based on the principle proposed by John Stuart Mill known as the ‘harm principle’ that propounds that ‘the only purpose for which power can be rightfully exercised over any member of a civilized community, against his will, is to prevent harm to others’[3].
২০১৮ সালে বাঙলাদেশের সংসদ ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট (ডিএসএ) পাস করেছে, যা পুরানো আইসিটি আইনের ‘Information and Communication Technology Act, 2006’ ৫৭ ধারার থেকেও কট্টর ও ভয়ংকর নিয়মনীতিতে সীমাবদ্ধ।[4] ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের বেশ কয়েকটি বিধান অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এর মধ্যে রয়েছে বিস্তৃত সামগ্রী-ভিত্তিক বিধিনিষেধ। ডিএসএর অধীনে কারো সরকার, মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মের সমালোচনা করার অধিকার নেই। যদি কেউ এ জাতীয় কাজ করে থাকে তবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং ৩ থেকে ১৪ বছর (ডিএসএ 2018) জেল কারাদন্ডের জন্য অ-জামিনযোগ্য জরিমানা করা হবে। সরকার প্রায় এক ডজন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এবং ব্লগগুলিও ব্লক করেছে যার দ্বারা এটি সম্ভাব্য নিন্দাকে চিহ্নিত করেছে। [5](Freedom of the Net 2018).
মত প্রকাশের স্বাধীনতা হল সরকারী সেন্সরশিপকে ভয় না করে কারও মতামত ও ধারণাগুলি প্রকাশ ও যোগাযোগ করার অধিকার। আইসিসিপিআর-তে বলা আছে, “the ideal of free human beings enjoying civil and political freedom and freedom from fear and want can only be achieved if conditions are created whereby everyone may enjoy his civil and political rights……”[6] অর্থাৎ, বলা যেতে পারে যে, প্রতিটি মানুষ মুক্ত ও স্বাধীন; এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা উপভোগ এবং সকল ধরণের ও রকমের ভয় থেকে মুক্ত থেকে জীবন অতিবাহিত করার অধিকার রাখে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার, এবং মানবাধিকার সর্বজনীন এবং অবিভাজ্য। এটি গণতন্ত্রের অন্যতম প্রয়োজনীয় ভিত্তি, এবং অন্যান্য মানবাধিকারের বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিল বা যন্ত্র দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রগুলিকে আবদ্ধ করে, এবং বাঙলাদেশ অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র, বিশেষত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার ‘Universal Declaration of Human Rights’ (ইউডিএইচআর) অনুচ্ছেদ ১৯ এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির অনুচ্ছেদ ১৯ ‘International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR)’ (আইসিসিপিআর)। ফলস্বরূপ, বাঙলাদেশ আইসিসিপিআরের ১৯ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী মানুষের মত প্রকাশের অধিকারের সম্মান এবং নিশ্চয়তা দিতে আবশ্যক।
Even The international covenant on Economic, Social and Cultural Rights (ICESCR) under Article 15(3), International Convention on the Elimination of All Forms of Racial Discrimination on Human Rights (ICERD) under Article 5(d), (vii) and (viii), Convention on the Rights of the Child (CRC) under Article 12 and 13, American Convention on Human Rights (ACHR) under Article 13, European Convention on Human Rights (ECHR) under Article 10 has been identified the freedom of expression in the covenant. These all treaties and covenants are concerned to freedom of expression.
এমনকি অনুচ্ছেদ ১৫ (৩) এর অধীনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারসমূহের (আইসিইএসসিআর), অনুচ্ছেদ ৫ (ডি), (vii) এবং ( viii) মানবাধিকার সম্পর্কিত বর্ণবাদী বৈষম্যের সমস্ত ফর্ম নির্মূলের আন্তর্জাতিক কনভেনশন (আইসিইআরডি), ১২ ও ১৩ অনুচ্ছেদের অধীনে শিশু অধিকার সম্পর্কিত কনভেনশন (সিআরসি), অনুচ্ছেদ ১৩ এর অধীনে আমেরিকান কনভেনশন (এসিএইচআর), অনুচ্ছেদ ১০ এর অধীনে মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় কনভেনশন (ইসিএইচআর) চুক্তিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এই সমস্ত চুক্তিগুলি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত।
আঞ্চলিক মানবাধিকার ব্যবস্থাতে (Regional human rights systems) আঞ্চলিক কিছু উপকরণ এবং প্রক্রিয়া রয়েছে- যা মানবাধিকার সুরক্ষা এবং প্রচারে মূল ভূমিকা পালন করে। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং আমেরিকাতে তিনটি প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক মানবাধিকার সিস্টেম বা ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে এশিয়ায় কোনও আঞ্চলিক মানবাধিকারের কোন সিস্টেম বা ব্যবস্থা নেই। যে কারণে অঞ্চলটিতে ঘটে যাওয়া লঙ্ঘনের সঠিক সংখ্যা যাচাই করা কঠিন। তবে ইউএন মনিটররা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, আর তারা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর সর্বজনীন পর্যায় পর্যালোচনাতে (Universal Periodic Review ) প্রতিক্রিয়া জানান।
এদিকে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারটি মৌলিক তবে এটি চূড়ান্ত অধিকার নয়। তবে এর অর্থ এই নয় যে রাষ্ট্র কোনও কারণ ছাড়াই প্রকাশের অধিকারকে সীমাবদ্ধ করতে পারে।
Under Article 19(3) of the ICCPR (a) For respect of the rights or reputations of others; (b) For the protection of national security or of public order (ordre public), or of public health or morals, the state may allow limiting the rights provided for by law, in pursuit of a legitimate aim, necessary and proportionate in a democratic society.
(ক) অন্যের অধিকার বা সম্মানের সম্মানের জন্য; (খ) জাতীয় সুরক্ষা বা জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য (ordre public), বা জনস্বাস্থ্য বা নৈতিকতার জন্য- রাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক সমাজে প্রয়োজনীয় এবং আনুপাতিক বৈধ লক্ষ্য অনুসরণে আইন দ্বারা প্রদত্ত অধিকার সীমাবদ্ধ করার অনুমতি দিতে পারে। এগুলি সেই ভিত্তি যার ভিত্তিতে বাঙলাদেশ বৈধভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করতে পারে। কিন্তু বাঙলাদেশের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বা সীমাবদ্ধ করার মতো কোন পরিস্থিতি এখনও আসে নি। আইসিসিপিআর-এর সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে বাঙলাদেশ ব্যক্তিদের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ বাঙলাদেশ এই সম্মেলনের নির্দেশনা অনুসরণ করে না। যা সম্পূর্ণ চুক্তিবিরুদ্ধ।
আন্তর্জাতিক চুক্তির অংশ হিসাবে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মানবাধিকার সুরক্ষা এবং সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রগুলির নির্দিষ্ট কিছু বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু বাঙলাদেশ সরকার; তারা তাদের বাসিন্দাদের অভ্যন্তরীণ অধিকার লঙ্ঘন করার পাশাপাশি মুক্ত মত প্রকাশের মৌলিক অধিকারের স্পষ্ট আন্তর্জাতিক মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জাতীয় পরিস্থিতি দেখা দিলে সমাজও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মানুষজন তাদের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায়, নীরব হয়ে যায়, কোনও বিক্ষোভে অংশ নিতে পারে না, ব্লগার ও লেখক এবং সাংবাদিকদের তাদের কাজের জন্য গ্রেপ্তার বা হত্যা করা হতে পারে, সমাজকল্যাণে বাধাগ্রস্থ হতে পারে। মূলত, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যতীত গণতন্ত্র প্রয়োগ করা যায় না।
এই ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের মূল পদ বা সূচিগুলোর (contains) বিস্তৃত এবং অস্পষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে- যা বেশ সমস্যাযুক্ত এবং দুর্বল। আইনটি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কর্তৃপক্ষকে প্রবেশের, শারীরিকভাবে সন্দেহভাজনদের অনুসন্ধানের, সন্দেহজনক হতে পারে এমন কোনও সরঞ্জাম বা উপাদান জব্দ করার এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়।
According to the UN Human Rights Committee, Article 9(3) requires that “pre-trial detention should be an exception and bail should be granted, except in situations where the like hood exists that the accused would abscond or destroy evidence, influence witnesses or flee the jurisdiction of the state party.” [7]
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির মতে, অনুচ্ছেদে ৯ (৩) এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যে “প্রাক-বিচারের আটকের ব্যতিক্রম হওয়া উচিত এবং জামিন মঞ্জুর করা উচিত, শুধুমাত্র এমন পরিস্থিতিতে যেখানে আসামি পলাতক বা প্রমাণ নষ্ট করে, সাক্ষীদের প্রভাবিত করবে বা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যাবে।” অর্থাৎ এই ক্ষেত্রেও ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট আন্তর্জাতিক নিয়ম অবলম্বন করে নি।
And the DSA alleges that online crime as not only cognisable but also non-bailable, which is incompatible with article 19(3) of the ICCPR.[8] There are some limit forms of expression as protected under international law, while others create unusually broad limits on expression. Specially the most problematic sections are 8,21,25,28,31,32,43 and 53.
উদাহরণস্বরূপ, ২৮ অনুচ্ছেদে অপরাধের স্পষ্ট ও নির্ভুল সংজ্ঞা নেই; যা মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে রেখেছে। অর্থাৎ এই ত্রুটিপূর্ণ অনুচ্ছেদের দ্বারা অপব্যবহারের সুযোগ চূড়ান্ত। যে কাউকে কে কোন কিছুর ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। এমনকি এমন কিছু বিভাগ রয়েছে যা আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত অভিব্যক্তিগুলিকে সীমাবদ্ধ করে, অন্যদিকে অতিরিক্ত বিস্তৃত সীমাবদ্ধতার সংজ্ঞা দেয়।
বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন হ্রাস করার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি প্রয়োজন তা হল সরকারের স্বদিচ্ছা। সরকারকে (উদাহরণস্বরূপ কূটনীতির মাধ্যমে) এই বিষয়টি বুঝতে হবে যে দেশের স্থায়িত্ব ও মৌলিক অধিকারকে নিশ্চয়তা দেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষা একটি প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা। মানবাধিকার সংস্থা যেমন জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বা অন্য যে কোনও সংস্থা যা প্রত্যক্ষভাবে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে তারা বাঙলাদেশ সরকারকে তার নাগরিকদের মানবাধিকারসেবা দিতে সহায়তা করতে পারে।
বাঙলাদেশ রাষ্ট্র যুক্তি দেখায় যে,‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ও আগ্রহের মধ্যে একটি ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে … তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ বাতিল করে ডিজিটাল সুরক্ষা বিল, ২০১৮ অনুমোদিত হয়েছে।‘’ [9] অন্যদিকে, জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্টার, (The Special Rapporteur from the United Nations ) বলেছে, ‘৫৭ ধারা আইনী নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে, যাতে সংবেদনশীল ইস্যুতে জনগণের বিতর্কগুলিতে অংশ নিতে ভয় পেয়েছিল এবং এর প্রয়োগ ব্যাপক ছিল এবং শাস্তি ফৌজদারি আইনের অধীনে আরও কঠোর হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ’ [10] এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে,“The government must have proper safeguards for the public to seek redress if they feel their rights are violated and their opinions censored by the state unfairly.”[11] আরেকদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ‘The Digital Security Act 2018 is more draconian and abusive than the Information Communication and Technology (ICT) Act.’ [12]পরিশেষে, বাঙলাদেশ সরকার মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতার মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সূত্র :
[1] Universal Declaration of Human Rights, Article 19 (https://www.un.org/en/universal-declaration-human-rights/#:~:text=Article%2019.,media%20and%20regardless%20of%20frontiers.)
[2] International Covenant on Civil and Political Rights (https://www.ohchr.org/Documents/ProfessionalInterest/ccpr.pdf)
[3] Mill, John. ‘Editorial.’ Vidhigya, vol. 9, no. 2, INMANTEC Institutions, July 2014, p. I.
[4] Digital Security Act (https://www.cirt.gov.bd/wp-content/uploads/2018/12/Digital-Security-Act-2018-English-version.pdf)
[5] [5] Several news portals blocked originally in 2016 operate freely on different domains (https://freedomhouse.org/report/freedom-net/2018/bangladesh)
[6] International Covenant on Civil and Political Rights (https://www.ohchr.org/Documents/ProfessionalInterest/ccpr.pdf)
[7] Michael and Brian Hill v Spain, Communication No. 526/1993, U.N. Doc. CCPR/C/59/D/526/1993 (2 April 1997).
[8] Permissible purpose (https://humanrights.gov.au/our-work/4-permissible-limitations-iccpr-right-freedom-expression#:~:text=Article%2019(3)%20provides%20that,rights%20and%20reputations%20of%20others’.&text=freedom%20from%20arbitrary%20interference%20with,article%2017%20of%20the%20ICCPR).)
[9] UN General Assembly Human Rights Council Working Group on the Universal Periodic Review, ‘National report submitted in accordance with paragraph 5 of the annex to Human Rights Council resolution 16/21 Bangladesh’ (26 February 2018), A/HRC/WG.6/30/BGD/1, para. 33. (https://www.ohchr.org/EN/HRBodies/UPR/Pages/BDIndex.aspx)
[10] UN General Assembly Human Rights Council Working Group on the Universal Periodic Review, ‘Compilation on Bangladesh- Report of the Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights’ (19 March 2018), A/HRC/WG.6/30/BGD/2, para. 30. (https://www.ohchr.org/EN/HRBodies/UPR/Pages/BDIndex.aspx)
[11] Bangladesh: New Digital Security Act is attack on freedom of expression (https://www.amnesty.org/en/latest/news/2018/11/bangladesh-muzzling-dissent-online/)
[12] Bangladesh: New Arrests Over Social Media Posts (https://www.hrw.org/news/2019/05/17/bangladesh-new-arrests-over-social-media-posts)
আপনার মতামত জানানঃ