জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বে বন্যা, তাপদাহ সবকিছু মিলে করুণ অবস্থা। এরমধ্যে ভূমিকম্পের হারও বেড়েছে। আজ শনিবার (১৪ আগস্ট) ক্যারিবিয়ান সাগর অঞ্চলের দ্বীপ দেশ হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে বড় একটি ভূমিকম্প হয়েছে যা পুরো ক্যারিবিয়ান অঞ্চলজুড়ে অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। যদিও ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) বলছে, কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।
ভূমিকম্প মূলত দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় আঘাত হানে। এতে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। হাইতির প্রতিবেশী ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতেও এই কম্পন অনুভূত হয়। সূত্র: আল জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, আজ শনিবার হাইতির পাটি ট্রু দ্য নেভাস শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়, স্থানটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার পশ্চিমে। এই ভূমিকম্পে বহু হতাহত ও ব্যাপক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউএসজিএস।
১১ বছর আগে হাইতিতে ৭ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছিল এবারেরটি তারচেয়ে বড় ও ভূপৃষ্ঠের কম গভীরতায় উৎপত্তি হয়েছে। আগের ভূমকম্পটিতে দেশটিতে হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল, বহু ভবন ধসে পড়ে অনেক লোক গৃহহীন হয়েছিল।
ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় ওই অঞ্চলের লোকজন বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসেন, ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতাও জারি করা হলেও তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এর আগে বুধবার (১১ আগস্ট) ফিলিপাইনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় পোন্দাগুইতান ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কম্পনটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পরপরই ওই এলাকায় জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়, পোন্দাগুইতান থেকে ৬৩ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
ভূমিকম্পের পরপরই ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। ফিলিপাইনের ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানায়, সেদিনের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে মাঝারি ক্ষয়ক্ষতির উপর বেঁচে গেছে ফিলিপাইন।
এসডব্লিউ/ডব্লিউজেএ/২১৪০
আপনার মতামত জানানঃ