রোহিঙ্গাদের ঈদের আনন্দ পুড়লো আগুনে। আগামীকাল ঈদ। আর আজ কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে ৩৫টি ঘর পুড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উখিয়া পান বাজার সংলগ্ন বালুখালী ক্যাম্প-৯ জি-টু ব্লকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে এপিবিএনের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দলসহ ক্যাম্পের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-৮ এর অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান জানিয়েছেন, বালুখালী ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় আমাদের লোকজন। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ৩৫টি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, তা জানা যায়নি এখনও।
বালুখালী ক্যাম্পের নেতা সুলতান আহমদ বলেন, সন্ধ্যায় হঠাৎ ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। এ ঘটনায় ৩০ থেকে ৪০টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে এখনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে এই ক্যাম্পে গত ২২ মার্চ আগুনে পুড়ে মারা যান ১১ জন রোহিঙ্গা। সে সময় প্রায় ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।
এরপর বালুখালীর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নতুন করে বসতঘর তৈরি করেন রোহিঙ্গারা।
সেখানে কর্মরত দেশি-বিদেশি এনজিও ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে নতুন ঘর তৈরি করতে বাঁশ, দড়ি, ত্রিপল, পলিথিন, টিনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামসুদ্দৌজা এ প্রসঙ্গে বলেন, নতুন করে ঘর তৈরির কাজ শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ক্যাম্প ইনচার্জ) তদারকি করছেন।
প্রসঙ্গত, ক্যাম্পের বসত ঘরগুলো ঝুপড়ির মতো লাগোয়া হওয়ায় এবং সে সময় বাতাসের গতি বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়।
এদিকে, এই ঈদ কেমন ভাবে উদযাপন করছে রোহিঙ্গারা তা নিয়ে কৌতূহল আছে বহির্বিশ্বেও। জানা যায়, ঈদের নামাজ আদায়ের সার্বিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কোরবানীর পশু জবাই সবই করা হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ঈদে তাদের ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিন ও মাছ ধরার জালসহ নানা সামগ্রী দেয়া হয়। এছাড়া দেয়া হয় কোরবানির জন্য ২৩৫টি গরু। ঈদে কোরবানির গরু পেয়ে আনন্দমুখর পরিবেশ এখন ভাসানচরে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/২২৫৫
আপনার মতামত জানানঃ