দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এখন প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১৪০ জন। আগের বছর ছিল ১ হাজার ১২৫ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস-২০২০’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের ফল প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস জরিপের ফল প্রকাশ করেন প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের বছর ছিল ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। তার আগের বছর ছিল ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এখন প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১৪০ জন। আগের বছর ছিল ১ হাজার ১২৫ জন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৮২ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। নারী ৮ কোটি ৪০ লাখ। দেশে এখন খানার গড় আকার ৪ দশমিক ৩ জন। খাওয়ার পানির ব্যবহার করছে ৯৮.৩ শতাংশ মানুষ। টয়লেট সুবিধা আছে ৮১.৫ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০২০ সালের হিসাবে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ বছরে ৮ মাস, যা ২০১৯ সালে ছিল ৭২ বছর ৬ মাস। এছাড়া ২০১৮ সালে গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর ৩ মাস, ২০১৭ সালে ৭২ বছর এবং ২০১৬ সালে ৭১ বছরে ৬ মাস।
প্রত্যাশিত গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি। ২০২০ সালে পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭১ বছর ২ মাস। ২০১৯ সালে ছিল ৭১ বছর ১ মাস। ২০১৮ সালে ৭০ বছর ৮ মাস, ২০১৭ সালে ৭০ বছর ৬ মাস এবং ২০১৬ সালে ছিল ৭০ বছর ৩ মাস।
অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০২০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে গড় আয়ু ৭৪ বছর ৫ মাস, ৭৪ বছর ২ মাস, ৭৩ বছর ৮ মাস, ৭৩ বছর ৫ মাস এবং ৭২ বছর ৯ মাস।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বাড়েনি। নমুনা এলাকায় এই হার ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় মহিলারা ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে। অন্যদিকে গ্রামে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ মহিলা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার বেড়েছে।
প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ সহজেই চিকিৎসা নিতে পারছেন। তাছাড়া খাদ্যগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে। পুষ্টিগ্রহণের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে গড় আয়ু বেড়েছে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৫৭
আপনার মতামত জানানঃ