ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ছাত্রদলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় টিএসসিতে অসহায়দের মাঝে খাবার ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করার কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর।
হামলায় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ প্রায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ আমান। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১২টায় পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণের কর্মসূচি ছিল। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়াতে খাবার তৈরি করতে একটু দেরি হচ্ছিল ৷ তাই নেতা-কর্মীরা টিএসসির ভিতরে এসে অবস্থান নেন।
এ সময় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান পিকুলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বহিরাগত অনেক নেতা-কর্মীসহ আমাদের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় আমাদের ছয়জন গুরুতর আহতসহ প্রায় ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে পিকুলকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি বারবার ফোন কেটে দেন।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, পিকুলের নেতৃত্বে হামলার সময়ে সেখানে ছিলেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা। হামলায় জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে আমির হামজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছাত্রদল সন্ত্রাসী সংগঠন ৷ এরা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে ঢুকে অরাজকতার চেষ্টা করে।
‘আমরা খবর পেয়েছি, আজকেও তারা বড় ধরনের অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করবে। এই সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আমরা হালকা ‘নাশতা পানি’ খাওয়াইছি।
কী ধরনের অরাজকতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “খুনি জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ক্যাম্পাসে মিলাদ মাহফিল, খাবার বিতরণ এগুলোই অরাজকতা।”
ঘটনার সময় পেশাগত দায়িত্বপালনে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা পোস্টের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আমজাদ হোসেন হৃদয়। আমজাদ বলেন, ‘ছাত্রদলের ওপর হামলা শুরু হলে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় আমির হামজা আমাকে থাপ্পড় দেন। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি আমার ওপর আরও চড়াও হন।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরণের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ। পূর্ব অনুমিত ব্যতিত তাদের (ছাত্রদল) এ ধরণের অপকর্ম ও স্বেচ্ছাচারী কাজের দায় বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না। তাদেরই নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করার কোন অপচেষ্টার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে না, বরং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী ঘটেছে সেটি খতিয়ে দেখতে পুলিশ, প্রক্টরিয়াল টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৪৩৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ