করোনা মহামারি জুড়ে লকডাউনের মধ্যেও শপিং মল, মার্কেট, খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ১৪ মাস ধরে। অনলাইন এবং বিকল্প পদ্ধতিতে উদ্যোগ থাকলেও তা কেবল মাত্রই শহরকেন্দ্রিক। মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই সুযোগ নিতে পারছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে মহামারীর চেয়েও সন্তানদের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা শিক্ষার্থীরা ভুগছেন নানাবিধ মানসিক সমস্যায়। পুরো এক বছরের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষতি আমাদের তেমন ভাবিয়ে তুলেছে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, এ ক্ষতি কলকারখানা, রাস্তাঘাট, গণপরিবহন, হোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন কেন্দ্র কিংবা বইমেলা বন্ধ থাকার যে ক্ষতি, তার মতো সহজে প্রকাশ করা যায় না।
বারবার বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
করোনার সংক্রমণের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে। ফলে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। আবার করোনার বাস্তবতায় দফায় দফায় ছুটি বাড়াতেও হচ্ছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। ৩০ মের পর পর্যায়ক্রমে সবকিছু খুলে দিলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি বারবার পিছিয়ে অবশেষে ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ এবং ২৩ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু মার্চের শুরুতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকার আবারও স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে ২৩ মে নিয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, করোনার বর্তমান ঢেউ যদি দীর্ঘ বা তীব্র হয়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তে সরকারের অটল থাকা উচিত কি না।
ইউরোপের পথে কেন হাঁটলো না বাংলাদেশ?
আমাদের সরকার যেখানে শপিং মল, মার্কেট, গণপরিবহন খোলা রেখে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বদ্ধ পরিকর, সেখানে ইউরোপের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। করোনা বিপর্যয়ের মধ্যে তারা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে শিক্ষাখাতকে। নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন সহ আরও কিছু দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধই করা হয়নি।
জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলেও শিক্ষার্থীদের পরিচর্যার মধ্যে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সকল শিক্ষার্থী যাতে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা নিতে পারে, সেজন্য ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। বাড়িতে শিক্ষা সামগ্রী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ পৌঁছে দিয়েছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরেই প্রথম করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই স্কুল খুলে দেয় ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। স্কুল খুলে দিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে- অভিভাবকদের এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিল সরকারগুলো। পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোরভাবে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশও দেয়া হয়েছিল।
স্কুল খুলতে তারা কিছু বিধিবিধান তৈরি করে। বিধিবিধানের অন্যতম হচ্ছে, ৬ বছরের অধিক বয়সের সব শিক্ষার্থীকে স্কুলে সর্বক্ষণ মাস্ক পরার এবং দিনে অন্তত পাঁচবার হাত ধুতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১.৫ মিটার (৫ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। ক্লাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর কারণে শ্রেণিকক্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি শিক্ষকের উদ্যোগও নেয়া হয়।
কিন্তু ইউরোপের দেখানো পথ বেছে নেয়নি বাংলাদেশ। করোনা সংক্রমণ কমানোর নামে সবকিছু খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। যার ফলে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। ইউরোপে যেভাবে প্রতি শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দুই ভাগে বিভক্ত করে ক্লাস নেয়া হচ্ছে, সেভাবে বাংলাদেশেও সম্ভব ছিল। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যদিবস কমিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে রাখা যেত। কিন্তু সরকার সহজ অথচ বিপদজনক পথটাই বেছে নিয়েছে।
কিন্তু কেন! এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট কিছু বলেননি। তবে একমাত্র কারণ যে করোনা মহামারি নয়, তা শপিং মলে, মার্কেটে মানুষের ভীড় দেখলেই বোঝা যায়। এবার এর পেছনে কতোটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে আর কতোটা স্বাস্থ্য সুরক্ষা তা খতিয়ে দেখা দরকার। ছাত্র আন্দোলন দমাতে এমন সিদ্ধান্তও হতে পারে সরকারের। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুরো একটা জেনারেশনকে কতটা পিছনে নিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীই দূরবর্তী শিক্ষণসুবিধা পাচ্ছে না
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (বিআইজিডি)-এর যৌথভাবে পরিচালিত এক গবেষণার তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় অংশ হলো, ‘কভিড ইমপ্যাক্ট অন এডুকেশন লাইফ অব চিলড্রেন’। শহর ও গ্রামের ৬ হাজার ৯৯টি পরিবারের মধ্যে জরিপটি করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো স্কুলের ধরন, স্থান ও লিঙ্গ। হতদরিদ্র, মাঝারি দরিদ্র, ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র এবং দরিদ্র নয় এমন পরিবারগুলোর ওপর এই গবেষণা করা হয়।
গবেষণায় শহরের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষণ ঘাটতির ঝুঁকি বেশি বলে পরিলক্ষিত হয়েছে, মেয়েদের ২৬ ও ছেলে শিক্ষার্থীদের ৩০ শতাংশ এই ঝুঁকিতে রয়েছে। দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের মাঝে যারা অতিদরিদ্র, সেসব পরিবারের মাধ্যমিক স্কুলগামী ৩৩ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থীর করোনা সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধাক্কায় স্কুল ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দূরবর্তী শিক্ষণের জন্য যেসব সুবিধা থাকা দরকার তা আছে বা ব্যবহার করছে মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
গবেষণায় বলা হয়, যদিও ৯৫ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে পুনরায় পাঠাতে আগ্রহী; তবুও অর্থনৈতিক অবস্থাটি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের মার্চ অবধি শিক্ষা খরচ বেড়েছে ১২ গুণ। ফলে শিক্ষার সুযোগপ্রাপ্তিতে সংকট তৈরি হয়েছে। স্কুলগামী ছেলেশিশুদের ৮ ও মেয়েশিশুদের ৩ শতাংশ কোনো না কোনো উপার্জন প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলে যেখানে শহরের তুলনায় মানুষের আয় পুনরুদ্ধারের ও কাজের ভালো সুযোগ রয়েছে, সেখানেও এই হার বেশি।
বাড়ছে আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা-প্রবণতা
গত একবছরে বাংলাদেশে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের মনস্তত্বের ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। অনলাইনভিত্তিক সেসব গবেষণায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও, প্রায় সকল জরিপেই উঠে এসেছে এদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা বিষণ্নতা, উদ্বেগ আর মানসিক চাপে ভুগছে।
প্রায় এক তৃতীয়াংশ অংশগ্রহণকারী এরকম মানসিক অসুবিধায় ভুগছে বলে উল্লেখ করেছে। এছাড়াও আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা-প্রবণতার মতো জটিল মানসিক ব্যাধিও লক্ষ করা গেছে।
দেশব্যাপী ৩৯৯৭ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে চালানো এক গবেষণায় উঠে এসেছে শতকরা ৫২.৮৭ ভাগের মধ্যে বিষণ্ণতার উপসর্গ এবং শতকরা ৪০.৯১ ভাগের মধ্যে দূর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক বৈকল্যের উপসর্গ ছিল। আঠার থেকে ২৮ বছর বয়সি ৩৩৩১ শিক্ষার্থীর মধ্যে চালানো আরেক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ১২.৮ ভাগের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে।
বিষণ্নতা, উদ্বেগ আর মানসিক চাপ ছাড়াও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অতিরাগ, জেদ এবং একাকীত্ববোধে ভোগার মতো মানসিক অসুবিধা দেখা যাচ্ছে। বন্ধ স্কুল আর লকডাউনের মতো কর্মসূচির ফলে তাদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়াও ব্যপকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। শিশুর সুস্থ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে পরিবার এবং স্কুল উভয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকে। যেহেতু স্কুল বন্ধ রয়েছে, তাই পরিবারের কাঁধে পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে। কিন্তু শিশুর বিকাশের জন্য কোনো পরিবারই আদর্শ নয়। প্রায় সকল পরিবারে কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতা আছে।
বাড়ছে শিশুশ্রম
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফ এক নতুন প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯ সংকটের ফলশ্রুতিতে আরও লাখ লাখ শিশুকে শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা গত ২০ বছরের অগ্রগতির পর প্রথম শিশুশ্রম বাড়িয়ে দিতে পারে।
এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্দিষ্ট কিছু দেশে দারিদ্র্য ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধিতে শিশুশ্রম অন্তত দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে। বাংলাদেশেও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে শিশু শ্রম।
দেশে দরিদ্রতা বৃদ্ধি, স্কুল বন্ধ ও সামাজিক সেবা প্রাপ্তি কমতে থাকায় অধিক সংখ্যায় শিশুদের কর্মক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বকে আমরা নতুনভাবে দেখতে চাই বলে আমাদের নিশ্চিত করা দরকার যে, শিশু ও তাদের পরিবারগুলো ভবিষ্যতে একই ধরনের ধাক্কা সামলে নিতে বিকল্প পথ খুঁজে পায়। মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সেবাসহ আরও ভালো অর্থনৈতিক সুযোগ ইতিবাচক এই পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।
মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় দেশে দেশে শিশু শ্রম বেড়ে যাওয়ার আলামত এরইমধ্যে পাওয়া গেছে। করোনার কারণে বিশ্বের ১৩০টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি শিশুর স্কুল বন্ধ রয়েছে। স্কুল চালু হলেও কিছু পরিবার তার শিশুসন্তানের শিক্ষার খরচ মেটাতে পারবে না। আর সেকারণে তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল বন্ধের ফলে সৃষ্ট তিনটি প্রধান সংকট হলো শিক্ষণ ঘাটতি, শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও বিভিন্ন স্তরের সামাজিক দূরত্ব। করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে আমলে নিয়ে পিপিআরসি-বিআইজিডির পরামর্শ হচ্ছে, শিক্ষার ঘাটতি ঠেকাতে, শিক্ষায় অনাগ্রহ কমাতে এবং অভিভাবকদের শিক্ষাসংক্রান্ত আশঙ্কা দূর করতে পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার। স্কুলগামী শিশুদের একটা বড় অংশ শিক্ষণ ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছে। সুতরাং, শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে শিশুদের খাপ খাওয়াতে পুনরায় স্কুল খোলার সময় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার একটি মিশ্র পদ্ধতি গ্রহণ করা দরকার।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/২০৩৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ