ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার গতি নিয়ে এগোচ্ছে। এটি আজ মঙ্গলবার সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। আগামীকাল সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে।
এরই মধ্যে ঝড়টির প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ টপকে ওই পানি প্রবেশ করছে। সুন্দরবনের দুবলার চরসহ জেলে পল্লিগুলোর বেশির ভাগ এলাকা এরই মধ্যে ডুবে গেছে।
হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চারটি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে পানিতে তলিয়ে যায়।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার হচ্ছে। তবে এটি এখনো ক্ষতির পর্যায়ে যায়নি।
হাতিয়ার সুখচর ও নলেরচরের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেঘনা নদীতে জোয়ার শুরু হয়। তবে সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং আগামীকাল বুধবার পূর্ণিমা হওয়ায় গতকাল সোমবারের মতো আজও জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। দুপুর নাগাদ বেড়িবাঁধের বাইরের বেশির ভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আজার উদ্দিন জাতীয় এক দৈনিককে বলেন, জোয়ারের পানিতে নলেরচরের তালুকদার গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানি ক্রমশ বাড়ছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর তারা পাননি।
তিনি জানান, জোয়ারের পানির তোড়ে স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর তীর সংরক্ষণ কর্মসূচির জিও ব্যাগ ভরাটের কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
অপরদিকে সুখচর ইউনিয়নের চর আমান উল্যাহ গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবারের মতো মঙ্গলবারও অস্বাভাবিক উচ্চতায় জোয়ার বইছে। স্থানীয় গছিনা গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় প্রবল বেগে জোয়ারের পানি ঢুকতে দেখেছেন তিনি। এতে ৬০-৭০টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমা দুটোর প্রভাবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে।
হাতিয়া উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের জোয়ারে পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের ১৮১ টি সাইক্লোন আশ্রয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে, দুর্গত মানুষদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।
বরগুনায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে বরগুনার নদ-নদীতে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ। স্বল্প উচ্চতার বেড়িবাঁধের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ও নাজুক বাঁধের কারণে এসব এলাকায় পানি ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উঁচু জোয়ারে কারণে বরগুনার বাইনচটকি, বড়ইতলা ও পুরাকাটা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কসহ গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে বরগুনার পশ্চিম গুলবুনিয়া, বড়ইতলা এবং ঢালভাঙা এলাকা ঘুরে দেখা দেছে, এসব এলাকার নদীতীরের লোকালয় সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ।
পাথরঘাটা পূর্ব রুপদোন এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় জোয়ারের চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে পড়েছে। এতে অনেকের বসবাসের ঘরটিও ধসে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের বাসিন্দা কাশেম বলেন, বরগুনা জেলার মধ্যে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পদ্মা এলাকা। এখানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। জিও ব্যাগ দিয়ে এখানে নদীর পানির প্রবাহ প্রতিহত করা চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। এখান থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে অন্তত সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে ফসলের মাঠসহ মাছের ঘের।
ভোলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভোলার চরফ্যাশনে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কুকরি-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১০টা থেকে নদী ও সাগরের মোহনা উত্তাল রয়েছে। এতে অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। এতে ৭/৮শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, অতি জোয়ারে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘেরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত থেকে মানুষের জীবন ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় জেলার ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কেল্লা তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৪০টি দ্বীপচরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সেখানকার তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাড়ছে বাগেরহাটের নদী-খালের পানি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটের নদী-খালের পানি বেড়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে শরণখোলার বলেশ্বর, মোরেলগঞ্জের পানগুছি, মোংলার পশুর, বাগেরহাটের ভৈরব, দড়াটানাসহ সব নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে এক দেড়-ফুট বেড়ে গেছে।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই পানি আরও বেড়ে যাবে।
পানগুছি নদীতীরের বাসিন্দা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সময় যত গড়াবে এই পানি তত বাড়বে।
শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর তীরের বাসিন্দা স্থানীয় ইউপি সদস্য হালিম শাহ বলেন, সকাল থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকালের থেকে অন্তত দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, সর্বশেষ পূর্ণ জোয়ারে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদীতে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে পানির উচ্চতা ছিল দুই দশমিক ১০ মিটার। এখনও পূর্ণ জোয়ার হয়নি তাতে এক দশমিক ৩৮ মিটার পানি রয়েছে।
ডুবে যাচ্ছে সাতক্ষীরা ও খুলনাঞ্চল
দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনার কয়রাসহ কয়েকটি উপজেলায় আগে থেকেই বেড়িবাঁধগুলো ভাঙা ছিল। সেখান দিয়ে এখন বসতি এলাকা এবং মাছের ঘেরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এসব এলাকার অধিবাসীরা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো উপকূলবাসীকে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে।
এ ব্যাপারে ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ ও কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার মানুষদের দ্রুত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া উচিত। কারণ ঘূর্ণিঝড়টি যদি কাল ভোরে আঘাত করে, তাহলে এই দুই জেলার নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে ডুবে যেতে পারে। অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বক্তব্য
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কিছুটা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। এটি দমকা বাতাস হিসেবে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে আরও শক্তিশালী হয়ে ভারতের উত্তর ওডিশা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পরিবর্তন না হলে এটি সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।
আগামীকাল দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত খুলনা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, সকাল ৮টায় ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর বঙ্গোপসাগরের কাছে চলে আসায় উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি হতে পারে দিনে ও রাতের যেকোনো সময়। এ ছাড়া সমুদ্র উত্তাল থাকায় ও আগামীকাল পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে। কাজেই ওই এলাকার অধিবাসীদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।
জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি এবং মাঠ পর্যায়ের সব সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক এক জরুরি সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তুতি তদারকি এবং সমন্বয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ৯৫৪৫৪১৫।
যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সহযোগিতায় এই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে খোলা অন্যান্য কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, “জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যে কোনো দুর্যোগে মানুষকে সচেতন, নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসাসহ মানসিকভাবে শক্তি যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
“সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান এক সাথে বসে করণীয় ঠিক করে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।”
হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসে তীব্র পানি সংকটের সমাধান এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি ওয়াসা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭৫৮
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ