বর্তমানে গণমাধ্যমগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগমকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রচার হচ্ছে। দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে আটক ও হেনস্তার ঘটনায় আলোচনায় আসেন তিনি।
তবে এ ঘটনাকে আরও বিতর্কিত করে এবার কাজী জেবুন্নেসা বেগমকে নিয়ে সংবাদ না করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার (১৯ মে) তথ্য মন্ত্রণালয়কে এই চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে এতে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবনের মর্যাদাহানি হচ্ছে। এ কারণে অনতিবিলম্বে বিষয়টি সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে কাজী জেবুন্নেসা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সম্পর্কে অসত্য সংবাদ, ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রচার করা থেকে বিরত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে জেবুন্নেসার নামে যে সকল ছবি ও ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে সে সকল ছবি ছবি ও ভিডিও কাজী জেবুন্নেসা বেগমের নয়। ওই অনভিপ্রেত ভিডিওর সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তার নাম করে এসব প্রচার করায় অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপণ্ণ হচ্ছেন এবং পেশাগত জীবনে মর্যাদাহানি হচ্ছে তার।
সেই চিঠিতে তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে ‘প্রধান তথ্য কর্মকর্তা’র স্থলে ‘মহাপরিচালক’ উল্লেখ করা হয়েছে। যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতার পরিচয় ফুটে উঠেছে বলে গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন।
রোজিনাকে আটকে রাখার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা। ‘হেনস্তাকারী’ হিসেবে তার নাম উল্লেখের পাশাপাশি তাকেও ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসেবে সোশাল মিডিয়ায় অনেকে চিহ্নিত করছেন।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, “কাজী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে গত সোমবার রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগ তুলে আটকে রাখা হয়েছিল প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনাকে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে তার বিরুদ্ধে মামলাও করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ওই মামলায় রোজিনা এখন কারাগারে রয়েছেন।
রোজিনা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার সহকর্মীরা পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির খবর ছাপায় তিনি কর্মকর্তাদের আক্রোশের শিকার হয়েছেন। এদিকে সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে জড়িত হিসেবে অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছার নামও আসছে সোশাল মিডিয়ায়।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১২৪০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ