চীন করে দেখাল পৃথিবীর সবাই মিলে যা করার চেষ্টা করে সফল হয় তা তারা নিজেদের সক্ষমতাতে একককভাবে করেই বহুগুণ ভালো ফলাফল এনে সফলতার স্বাদ নেয়। মঙ্গলে তারা তাদের রোবট পাঠিয়ে জানান দিল এক অসাধ্যকে তারা সাধন করেছে। নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে তারা।
আসল বাস্তবতা হলো, মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ খুবই প্রতিকূল। কিন্তু ভয়াবহ সেই প্রতিকূলতার মধ্যেও ঝুরং-এর এই অবতরণ ছিল লাল ফৌজের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং।
জানা যায়, মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করল বেইজিংয়ের মঙ্গলযান ঝুরং নামের রোভার। গত শনিবার(১৫ মে) রোভার রোবটের লাল গ্রহের বুকে সফলভাবে নামার খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। চীনের সিসিটিভি জানিয়েছে, মিশনটি ‘সফলভাবে পূর্ব-নির্বাচিত অঞ্চলে অবতরণ করেছে’।
থিয়ানওয়েন-১
চীনের প্রথম মঙ্গল অনুসন্ধানযান ‘থিয়ানওয়েন-১’-এর। এই মহাকাশযানটি গত বছরের ২৩ জুলাই লংমার্চ-৫ হেভি-লিফ্ট রকেটের সাহায্যে উৎক্ষেপণ করা হয়; গন্তব্য ছিল মঙ্গল গ্রহ— সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা যার সঙ্গে। ৪৮টি ছোট-বড় ইঞ্জিনের সাহায্যে ‘থিয়ানওয়েন-১’ মঙ্গলের উদ্দেশ্যে অতিক্রম করে প্রায় ৪৭ কোটি কিলোমিটার পথ।
মহাকাশযানটি মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায় চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি। তখন পৃথিবীর সঙ্গে মঙ্গলের দূরত্ব ছিল ১৯ কোটি ৩০ লক্ষ কিলোমিটার। সৌরজগতের এই দুটি গ্রহের মধ্যে তখনকার সরাসরি দূরত্ব এটি হলেও, পৃথিবী থেকে মঙ্গলে পৌঁছাতে ‘থিয়ানওয়েন-১’-কে পাড়ি দিতে হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি পথ। কারণ, পৃথিবী ও মঙ্গল উভয়ই নিজ নিজ কক্ষপথে তীব্র বেগে ঘুরছে। পৃথিবী থেকে কোনো মহাকাশযানকে মঙ্গলে পৌঁছাতে, অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। বর্তমানে মহাকাশযানটির অরবিটার (orbiter) অংশটি মঙ্গলকে যে কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে, সেই কক্ষপথে সেটি প্রবেশ করেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি।
থিয়ানওয়েন-১ মিশনের লক্ষ্য ছিল মঙ্গলে পৌঁছানো, মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করা, মঙ্গলে অবতরণের জন্য সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করা, মঙ্গলে অবতরণ করা এবং মঙ্গলের বুকে রোভারের (rover) চলাচল নিশ্চিত করা।
১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছালেও, তখনই সেটি মঙ্গলের বুকে অবতরণ করেনি। বিগত প্রায় তিন মাস এটি মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করেছে, মঙ্গলের একটি সুবিধাজনক জায়গা খুঁজে বেড়িয়েছে অবতরণের জন্য। বিজ্ঞানীরা মহাকাশযানটিকে এভাবেই প্রোগ্রামড করেছিলেন। মহাকাশযানটি সেভাবেই কাজ করেছে, সুবিধাজনক স্থান চিহ্নিত করেছে এবং মঙ্গলের বুকে ল্যান্ডার (lander)-কে অবতরণ করিয়েছে। আর এর মাধ্যমেই চীন মহাকাশ-গবেষণার ক্ষেত্রে সৃষ্টি করেছে আরেকটি নতুন ইতিহাস।
রোভার ঝুরং
মঙ্গলের বুকে থিয়ানওয়েন-১ মহাকাশযানের ল্যান্ডার অংশটি একটি রোভারও বহন করে নিয়ে গেছে। এই রোভারের নাম ‘ঝুরং’ (Zhurong)। রোভারের নামটি রাখা হয়েছে প্রাচীন চীনের আগুনের দেবতার নামে। এটি নির্দিষ্ট সময় পর ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, মঙ্গলের বুকে চলাফেরা করবে, ছবি তুলবে, মঙ্গলের ভূমির ম্যাপিং করবে, বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করবে।
মনে রাখতে হবে, থিয়ানওয়েন-১ মহাকাশযানের অরবিটার অংশ মঙ্গলকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। ঝুরং-এর সঙ্গে পৃথিবীর কমান্ড সেন্টারের সংযোগ থাকবে এই অরবিটারের মাধ্যমে।
ঝুরং রোভারটির দৈর্ঘ্য ১.৮৫ মিটার ও ওজন প্রায় ২৪০ কিলোগ্রাম। এর আছে ৬টি চাকা ও চারটি সোলার প্যানেল (এই প্যানেলই রোভারের জন্য প্রয়োজনীয় সৌরশক্তির সৃষ্টি করবে)। মঙ্গলের বুকে এটি প্রতিঘণ্টায় ২০০ মিটার পথ অতিক্রম করতে পারবে। রোভারটিতে সংযুক্ত আছে ক্যামেরা, রাডার, সেন্সরসহ ৬টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি।
মঙ্গলের আবহাওয়া বিরূপ। এই আবহাওয়ায় কোনো মহাকাশযান সেখানে অবতরণ করানো যেমন কঠিন, তেমনি সেখানে কোনো রোভারের টিকে থাকাও কঠিন। আর তাই, ঝুরংকে ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে সেটি চরম আবহাওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ বন্ধ রাখতে ও অনুকূল আবহাওয়ায় আবার কাজ শুরু করতে পারে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুসারে চলে, তবে এই রোভার মঙ্গলের বুকে অন্তত তিন মাস টিকে থাকবে এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। ঝুরংয়ের আগে পাঁচটি রোভার মঙ্গলের বুকে চলাচল করেছে বা করছে। বলা বাহুল্য, এই পাঁচটি রোভারই যুক্তরাষ্ট্রের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ঝুরং নামের রোভার রোবটিতে মোট ছয়টি চাকা আছে। এটি মঙ্গলের ইউটোপিয়া প্লানিটিয়ায় তার মিশন শুরু করবে। বর্তমানে এটি মঙ্গলের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় অবস্থান করছে।
মঙ্গলে ঝুরং-এর অবতরণ
সাত মিনিটের রুদ্ধশ্বাস পর্ব পেরিয়ে গত ১৫ মে শনিবার সকালে লাল গ্রহ মঙ্গলে সুষ্ঠুভাবে নেমেছে চীনের রোভার ‘ঝুরং’।
সিনহুয়া জানিয়েছে, মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধের যে বিস্তৃত ভূখণ্ডকে ইউটোপিয়া প্লানিশা নাম দেওয়া হয়েছে, শনিবার ভোরে সেই এলাকায় অবতরণ করে ছয় চাকার সৌরবিদ্যুতচালিত রোবট যানটি।
তিন মাস ধরে সেখানে ভৌগোলিক তথ্য জোগাড় করবে এটি। সংগ্রহ করবে, পাথর ও তা বিশ্লেষণ করে তথ্য পাঠাবে পৃথিবীতে। মঙ্গলের কক্ষপথে অরবিটার পাঠানো, গ্রহটিতে ল্যান্ডার নামানো ও তার প্রান্তরে রোভার চালানো প্রথম চেষ্টাতেই এই তিনটি কাজ একসঙ্গে করতে পারাটা চীনের পক্ষে এক বড়সড় সাফল্য।
বিবিসি জানিয়েছে, এখন সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অন্তত ৯০টি মঙ্গলীয় দিবস সেখানে অবস্থান করবে ঝুরং। এই দীর্ঘ সময়ে নানা নমুনা সংগ্রহ করবে ওই রোভার। এটি খতিয়ে মঙ্গলপৃষ্ঠের গঠন দেখবে। বরফের সন্ধান করবে। যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে আসে তবে সেটিকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণও করবে ঝুরং।
তিন মাসের মিশন
ল্যান্ডার থেকে মঙ্গলের মাটিতে নামার পর শুরু হবে ঝুরংয়ের তিন মাসের অভিযান, যার লক্ষ্য সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহে কখনো প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল কি না, তা খুঁজে বের করা। এ লক্ষ্যে শক্তিশালী একটি রাডার ব্যবহার করে মঙ্গলের মাটি, মাটির নিচের পানি ও বরফ এবং বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করবে রোভারটি।
ছয় চাকাযুক্ত, সৌরশক্তি দ্বারা চালিত এবং প্রায় ২৪০ কেজি ওজনের এই চীনা রোভার মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ থেকে শিলা নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের সন্ধানে রয়েছে। এছাড়া মঙ্গলের মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে সেই তথ্য গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠানোর কাজ করবে এই রোভার।
মহাকাশযানটি ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল এবং সেখান থেকে বেশ কিছু ছবিও পাঠায় সে। মঙ্গলের কক্ষপথে অবস্থান করে ২২ কিলোমাটার দূরের দু’টি গহ্বরের ছবি তুলতে সক্ষম হয় চীনের এই মঙ্গলযান। অবশেষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার(১৪ মে) ঘোষণা করে যে, এটি ‘গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শঘাট পর্যায়ে’ (Crucial Touchdown Stage) পৌঁছেছে।
জটিল এই অবতরণ প্রক্রিয়াটিকে ‘সাত মিনিটের সন্ত্রাস’ বলা হয়েছে। কারণ রেডিও সংকেতগুলো মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে পৌঁছতে যত সময় নেয়, তার চেয়ে এটি দ্রুত ঘটেছে।
ঝুরংয়ের তোলা মঙ্গলের প্রথম ছবি প্রকাশ
অবতরণের পাঁচ দিন পর মঙ্গলগ্রহের ছবি পাঠিয়েছে চীনা রোবটযান ঝুরং। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তাসংস্থা সিনহুয়া নিউজে সেই ছবি প্রকাশ করেছে চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
অবতরণ স্থানেই বসে আছে রোভারটি। পেছনের দিক দেখানো এই ছবিতে ঝুরংয়ের সোলার প্যানেল দেখা যাচ্ছে।
রোবটযানটির কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরাতে তোলা ওই ছবিতে ঝুরংয়ের কাঠামোর কিছু অংশ ও সোলার প্যানেল দৃশ্যমান হয়েছে, পাশাপাশি লালগ্রহ মঙ্গলের ভূমির কিছু অংশও উঠে এসেছে। সিনহুয়া নিউজে প্রকাশিত সেই ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেটের সামনে বসে থাকা আগ্রহী জনগণ, এই সেই ছবি, যার জন্য আপনারা অপেক্ষা করেছিলেন।’
তাদের ওয়েবসাইটে দুটি ছোট ভিডিও-ও পোস্ট করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, রোভারের বাইরের খোলস বা ক্যাপসুল যখন মূল মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেই মুহূর্তটি।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোযান থেকে রোভার ‘ঝুরং’ মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করছে। এসময় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন চীনের মহাকাশ সংস্থার কর্মীরা। অবতরণের ছবির পাশাপাশি মঙ্গলের মাটি ও পাথরের ছবিও পাঠায় রোভারটি।
মঙ্গলের বুক থেকে যেসব ছবি ঝুরং তুলেছে তার থেকে এটা পরিষ্কার যে অবতরণের পর রোভারটি তার গুরুত্বপূর্ণ যান্ত্রিক সরঞ্জামগুলো সুশৃঙ্খলভাবে এবং ঠিকমত নির্ধারিত জায়গাগুলোতে বসাতে পেরেছে।
এর মধ্যে রয়েছে সৌর প্যানেলগুলো ঠিকমত খুলতে পারা, যে প্যানেলগুলো রোবটটির কাজ করার জন্য সৌরশক্তি সরবরাহ করবে, রয়েছে মূল যান তিয়ানওয়েন-১ এবং চীনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অ্যান্টেনা চালু করা এবং রোবট থেকে একটি পাটাতন নামানো যে পাটাতন বেয়ে কিছুদিনের মধ্যে ঝুরং নিচে নামবে এবং চলাচল করে ছবি ও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে।
চীনের মাইলফলক সৃষ্টি
মঙ্গলে এতদিন পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে লাল গ্রহে রোভার নামাতে পারল চীন। গ্রহটিতে চীনের এটিই প্রথম অভিযান। ১৯৭৩ সালের পর থেকে নাসা ছাড়া আর কোনো মহাকাশ সংস্থা মঙ্গলে অবতরণে সফল হয়নি।
মহাকাশ অভিযানে রাশিয়া-আমেরিকার অনেক পরে দৌড় শুরু করেও চীন এখন বিশ্বের মহাকাশ চর্চায় একেবারে প্রথম সারিতে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই তারা মানুষ পাঠিয়েছে মহাকাশে। এ ছাড়া মহাকাশে তাদের নিজস্ব স্টেশন গড়ার জন্য তার প্রথম মডিউলটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে ক’দিন আগেই। সেটিকে নিয়ে যাওয়া রকেট লং মার্চ-বি-এর ১০০ ফুট লম্বা একটি খণ্ড অবশ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ক’দিন পরেই সফল হল চীনের মঙ্গল অভিযান ‘নিহাও মার্স’।
চলতি বছরেও যুক্তরাষ্ট্র একটি রোভার মঙ্গলের বুকে অবতরণ করিয়েছে। শুধু তাই নয়, একই মিশনে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো একটি ড্রোন হেলিকপ্টারও (যেটির নাম Ingenuity) পাঠিয়েছে মঙ্গলে। যতদূর জানা যায়, বর্তমানে মঙ্গলকে কেন্দ্র করে ৮টি অরবিটার ঘুরছে ও সক্রিয় আছে। আর মঙ্গলের বুকে সক্রিয় আছে তিনটি রোভার, যুক্তরাষ্ট্রের কিউরিওসিটি (Curiosity) ও পারসিভারেন্স (Perseverance) এবং চীনের চুরং।
মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চীনের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। তবে, এক্ষেত্রেও চীন একটি দিকে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। চীন মাত্র একটি মিশনে তিনটি লক্ষ্য পূরণ করতে যাচ্ছে, মঙ্গলকে প্রদক্ষিণের মাধ্যমে গ্রহটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা; মঙ্গলের বুকে মহাকাশযানের অবতরণ ঘটানো এবং মঙ্গলের বুকে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি রোভার মোতায়েন করা। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও একই মিশনে এই তিনটি লক্ষ্য পূরণ করেনি কখনও। চীন প্রথম দুটি লক্ষ্য ইতোমধ্যেই পূরণ করেছে। এখন রোভার ঝুরং যদি ঠিকঠাক মতো কাজ শুরু করে, তবে তৃতীয় লক্ষ্যটিও পূরণ হবে এবং চীন পৌঁছে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৫০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ