একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর একজন ব্যক্তির রক্তে কমপক্ষে আট মাস পর্যন্ত করোনার অ্যান্টিবডি থাকে। এ নিয়ে গবেষণা শেষে মঙ্গলবার ইতালির গবেষকরা এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
ইতালির মিলান শহরের সান রাফাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘রোগের তীব্রতা, রোগীদের বয়স কিংবা অন্যান্য রোগের উপস্থিতি নির্বিশেষে করোনায় আক্রান্তদের দেহে কমপক্ষে আট মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডির উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে তারা।
গত বছর প্রথম দফার প্রকোপের সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন ১৬২ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। উল্লিখিত ওই হাসপাতালটির গবেষকরা ইতালির আইএসএস ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণাটি করেছেন।
প্রথমে গত মার্চে ও এরপর এপ্রিলে দুই দফায় এবং গত বছরের নভেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা এসব মানুষের তৃতীয় দফায় রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। সেখানেই এই তথ্য দেখা গেছে। অবশ্য এসব রোগীর মধ্যে ২৯ জন মারা গেছেন।
আইএসএস’র সঙ্গে সান রাফাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সংক্রমণ ঠেকাতে পারে এমন অ্যান্টিবডির উপস্থিতির বিষয়টি দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। তবে আট মাস পরেও অনেকের শক্তিশালী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি ছিল।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ন্যাচার কমিউনিকেশন্স’ বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর আক্রান্ত ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরির বিষয়টিতে জোরারোপ করা হয়েছে।
দেশে করোনায় মৃত্যু ৪০ জনের
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা) ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪০ জনের।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৭.৪৫ শতাংশ। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯২৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা) দেড় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কমসংখ্যক মৃত্যু হয়। এ সময়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। আজ এই সংখ্যা আবার কিছুটা বাড়াল।
এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৭ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪৫ জনের। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১৮ হাজার ২৪৯ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/২৩৪০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ