করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫০৮ জনে দাঁড়াল। একই সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্ত হন আরও ২০৫ জন। ফলে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৫৪৫ জনে। করোনা শনাক্তের হার ১২ শতাংশের বেশি। বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ২০৫ জনের করোনা পজিটিভ আসে। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যাদের করোনায় শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে শহরের ১৬৪ জন। বিভিন্ন উপজেলার ৪১ জন।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে শহরের ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। বাকি ৯ হাজার ৮০২ জন উপজেলার। চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল প্রথম একজন রোগী করোনায় আক্রান্ত হয় মারা যান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী ঘোষিত কঠোর লকডাউনের পর গতকাল চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযানে ১২ মামলায় মোট ৪ হাজার ৯২০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দোকানপাট খুললেও ক্রেতা কম
চট্টগ্রাম নগরের শপিং মল ও দোকানপাটে ক্রেতা তুলনামূলক কম। দোকানিরা দোকান খুললেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে করোনাভীতি কাজ করায় ঈদের বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম। ফলে বেচাবিক্রিও কম।
নগরের পৌর জহুর হকার্স মার্কেটে সাধারণ সময়ে দিনভর ক্রেতাদের ভিড় থাকে। কিন্তু চার দিন ধরে সেখানে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম লক্ষ করা যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কাপড়ের দোকানগুলো প্রায় ক্রেতাশূন্য। কিছু দোকানে অল্প কয়েকজন ক্রেতা ছিল। ক্রেতার ভিড় না থাকায় অলস সময় পার করছিলেন দোকানমালিক ও বিক্রয়কর্মীরা।
আজমীর স্টোরের নাজিম উদ্দিন বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ক্রেতা আসতে পারছেন না। সাধারণত ঈদের বাজারে গ্রাম থেকে অনেক লোক কেনাকাটা করতে শহরে আসেন। কিন্তু গাড়ি না চলার কারণে এখন মানুষ আসতে পারছেন না।
খাজা গার্মেন্টস নামের একটি দোকানের ব্যবস্থাপক ফরহাদুল মুরাদ বলেন, এবারের ঈদের বাজারের অবস্থা ভালো নয়। করোনা বাড়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ভীতি কাজ করছে। ক্রেতা না থাকায় বেচাবিক্রি তেমন হচ্ছে না। অবশ্য কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা যায় টেরিবাজারে। সেখানকার বিপণিবিতানের দোকানগুলোতে কমবেশি ক্রেতার উপস্থিতি দেখা যায়।
করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে অনীহা লক্ষ করা গেছে। আজ ও অনেক দোকানের বিক্রয়কর্মীর মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। জীবাণুনাশক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারও দেখা যায়নি দোকানগুলোতে। ক্রেতা অল্প হলেও তাদের মধ্যে মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা গেছে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৬১৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ