সম্প্রতি সময়ে দেশের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মামুনুল হক। নারী কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে পকেটমার, হত্যার হুমকি, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা, কী নেই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে! ১৭টি মামলা আর সিআইডি তদন্ত মামুনুলের রাজনৈতিক জীবনকে বড়সড় প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক অবস্থান নয়, সরকার যতটা কঠোর হচ্ছে তার বিরুদ্ধে, তাতে কোমর সোজা করে দাঁড়ানো দায় হয়ে যাবে মামুনুক হকের। একই সাথে সমান বিপাকে হেফাজতে ইসলাম। দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার, কেন্দ্রীয় অনেক নেতার পদত্যাগ, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হেফাজত বিরোধী বিক্ষোভ, মামুনুলে নারী কেলেঙ্কারি সহ তার গ্রেফতারে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে মহাবিপদে পড়েছে হেফাজত। এখন তারা সব দিক থেকেই চাপের মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থায় হেফাজতের অস্তিত্বই এক ধরনের সংকটের মধ্যে পড়েছে। তবে সরকারের সাথে হেফাজতে ইসলামের এই বৈরিতায় ‘কলাটেরাল ড্যামেজ’ যে মামুনুল হক, তা নিয়ে সংশয় নেই।
মামুনুল হকের গ্রেফতার
রবিবার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের যৌথ অভিযানে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার তোলা হয় আদালতে। দেয়া হয় ৭ দিনের রিমান্ড।
যেভাবে গ্রেফতার করা হয়
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে মাদ্রাসায় কতজন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় মামুনুল হকের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এরপরই পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিম তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালান।
মাদ্রাসার গেটে সার্বক্ষণিক পাহারা বসিয়েছিলেন মামুনুল হক। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের শতাধিক পুলিশ প্রথমে ওই মাদ্রাসাটা ঘিরে ফেলে। এ সময় মাদ্রাসার ভেতরে দেড় শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন। পুলিশের অভিযানে প্রথমে তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত পুলিশ দেখে হাল ছেড়ে দেন।
পরে মামুনুল হককে দোতলার ওই কক্ষ থেকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। প্রথমে তাকে মিরপুর সড়কে পুলিশের তেজগাঁও ডিভিশনের ডিসি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৭টি মামলার আসামী মামুনুল হক
দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত এই হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে শুধু রাজধানীতেই ১৭টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করে। আর বাকি দুটির মধ্যে এক যুবলীগ নেতা ও একজন সাধারণ মানুষ বাদী হয়ে দায়ের করেন।
সূত্র মতে, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর ১৫টি মামলায় মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে।মামলাগুলোর বাদী হয়েছে পুলিশ। সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল পল্টন থানায় যুবলীগের এক নেতা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আর মোহাম্মদপুর থানায় আরেকটি মামলা করেন সাধারণ এক ব্যক্তি।
ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, মামুনুল হক ডিবির মতিঝিল বিভাগে ৮টি মামলা, লালবাগ বিভাগে দুটি ও তেজগাঁও বিভাগে একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এসব মামলা তদন্তাধীন। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় একটি ও পল্টন থানায় ৪টি মামলায় আসামি মামুনুল হক। এসব মামলার মধ্যে ১৫টি হয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনার পর।
তবে মামুনুল হককে গত বছর মোহাম্মদপুরে একটি ভাংচুরের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান ডিসি হারুন অর রশিদ। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মতিঝিল, পল্টন ও নারায়ণগঞ্জে আরও কয়েকটি মামলা আছে। সূত্র মতে, পরে ওই মামলাগুলো সমন্বয় করা হবে।
রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ছিল মামুনুলের
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া তাবলীগের সাদপন্থীদের মারধরের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। জোশের কারণে ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতায় বিশিষ্ট নাগরিকদের মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন মামুনুল হক।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রিমান্ডে থাকা মামুনুল হক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ।
জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি কওমি মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা।
ডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীদের উসকানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।
বৈবাহিক জটিলতা
এদিকে মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ রোববার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। এই তিনটি বিয়ের মধ্যে একটির কাবিন করেছেন। বাকি দুইটির কাবিননামা করেননি বলে মামুনুল বলেছেন।
তদন্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, তিন স্ত্রীর মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি তার ছোট স্ত্রী। মেঝ স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা এবং বড় বা প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বা। মেঝো ও ছোট স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের কোনো কাবিননামা হয়নি বলে মামুনুল তাদের বলেছেন।
মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) আইন অনুযায়ী, প্রতিটি বিয়ে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। কার সঙ্গে কার, কত তারিখে, কোথায়, কত দেনমোহর ধার্য, কী কী শর্তে বিয়ে সম্পন্ন হলো, সাক্ষী ও উকিলের নাম প্রভৃতির একটা হিসাব সরকারি নথিতে লিখে রাখাই হলো নিবন্ধন। বর্তমান আইন অনুযায়ী বিয়ে নিবন্ধন করার দায়িত্ব মূলত বরের। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় কাজি ও পাত্রের দুই বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় ধরনের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া, মো. শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি তার বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপিকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে বোনকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের স্ত্রী বলে উল্লেখ করেন।
জান্নাতুলের ভাই পরিচয় দেওয়া মো. শাহজাহান জিডিতে বলেছেন, মামুনুল হক তার বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপিকে বিয়ে করেছেন বলে তাকে ডেকে বিয়ের চুক্তিনামা দেখিয়েছেন। তবে তার বোনের কোনো সন্ধান তারা পাচ্ছেন না। বোনকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের জন্য জিডিতে তিনি আইনি সহায়তা চেয়েছেন।
মোবাইল-মানিব্যাগ চুরির অভিযোগ
সোমবার হেফাজত নেতা মামুনুল হককে আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল হক। রিমান্ড আবেদনে মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মোবাইল ও মানিব্যাগ থেকে টাকা চুরির অভিযোগ আনা হয়।
গত বছরের ৬ মার্চ মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদে রাত সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। সূত্র মতে, মাওলানা মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার ছাত্র আসামি ওমর এবং ওসমান বাদী ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের কাছ থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ডসহ বাদীর মানিব্যাগ নিয়ে যান। বাদীকে পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করলে হত্যা করার হুমকিও দেয়া হয়।
সিআইডি এবং মামুনুল হকের ভবিষ্যৎ
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মাওলানা। আজ পুলিশের রিমান্ডে। এরপর সিআইডি। ১৭টা মামলা। এক মাসেই বদলে গেছে মামুনুল হকের জীবন। নিজের দলের ধর্মের মানুষ তার বিপক্ষে কথা বলছে। একের পর এক আসছে অভিযোগ। অন্যদিকে পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত হেফাজতে ইসলাম। কোন পথ কি আদৌ দেখছেন মামুনুল হক! আইনি জটিলতা থেকে বের হতে হতেই হয়তো পাল্টে যাবে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অবস্থান। তাই মামুনুল হকের ভবিষ্যৎ যে অন্তত তার হাতে নেই সেটা স্পষ্ট।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির এই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় যারা উপস্থিত ছিল, মদদ দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ফুটেজ ফরেনসিক করা হবে। ফরেনসিক করে যাদের পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় আনব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসব মামলা প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’
সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন। প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। আমরা সব মামলা স্টাডি করছি। যদি অন্য কোনো মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়। আগেই তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মামুনুল হককে একে একে সবগুলো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঢাকার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে ঢাকার বাইরে মামলাগুলোতেও গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। ফলে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার চেষ্টা করলেও সহসাই তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। একটি মামলায় জামিন পেলে তাকে আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। এই ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই ও মুন্সিগঞ্জে দুটি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাঁচটি মামলা এবং চলতি বছরে মামলা হয়েছে ১০টি। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলাও আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মামুনুল হকের। গত বছরের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বাঁধা দিতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মাওলানা মামুনুল হক। এরপর স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা আসার বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলাম। মোদিবিরোধী আন্দোলতে বেপরোয়া তাণ্ডবের পরপরই নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে নারীসঙ্গীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনার পর একে একে তার একাধিক নারীর সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ থাকার বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। এখন দেখার বিষয় সময়ের সাথে আর কী কী বের হয়ে আসে সরকারের অনেকটা নিজ হাতে খুঁড়ে রাখা এই গর্ত থেকে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/২১৩৭
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ