বিদেশি অস্ত্রসহ মুন্সিগঞ্জ যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এলানকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার(০৪ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের মধ্যকোটগাঁও এলাকা থেকে এলানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার (৫ মার্চ) দুপুরে ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ ডিবি পুলিশ।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে বলে ডিবির ওসি মোজাম্মেল হক নিশ্চিত করেছেন ।
মুন্সিগঞ্জ ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক শুক্রবার দুপুরে জানান, সাইফুল ইসলাম এলানের বিরুদ্ধে সদর থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে আটক করা। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার কাছে অস্ত্র রয়েছে। পরে তার বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
আটক সাইফুল ইসলাম এলান (৫২) মধ্য কোটগাঁও এলাকার বাসিন্দা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ থানায় অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা মামলাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেনকে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানিয়ারচালা নাজমুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।।
ওয়ান-টেন নামের জুয়ার আসরের মূলহোতা গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন (৪৫)। তিনি গোপনে রাজনীতির পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন সদরের বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসর চালাতেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কিছুতেই থামছে না ছাত্রলীগ-যুবলীগ। ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, ক্যাসিনো, জুয়া, চাঁদাবাজি, জমি দখল, নারী নির্যাতন, টেন্ডারবাজি আর নির্মাণকাজ থেকে কমিশন দাবিসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ এ দুই সংগঠনের একশ্রেণির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে রয়েছেন অসংখ্য বিতর্কিত নেতাকর্মী। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সরকারের ব্যাপক অর্জনের মধ্যেও সমালোচনা হচ্ছে। বিতর্কিত এসব নেতার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন একশ্রেণির সংসদ সদস্য। এ কারণে তাদের দাপট অনেক বেশি। স্থানীয় থানা ও প্রশাসন যুবলীগ-ছাত্রলীগের এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না। কোনো কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে গেলে ঐ কর্মকর্তাকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মকর্তা বলে বদলিসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। সরকারের সমালোচনা ঠেকাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০৪০
আপনার মতামত জানানঃ