তবে কি হারিয়ে যাওয়া পৃথিবীর সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। প্রশান্ত মহাসাগরের তলায় সেই ছবি আরও নিশ্চিত করছে বিজ্ঞানীদের। একেবারে জলের নিচে বেশকিছু অন্য ধরণের স্থাপত্য তারা দেখেছেন। তাহলে এই স্থাপত্য কে তৈরি করল। কীভাবে এতবছর ধরে জলের নিচে এই স্থাপত্য অক্ষত রয়েছে। এইসব প্রশ্নই এখন বিজ্ঞানীদের মনে আসছে। যেভাবে জলের নিচে জলের স্রোত বইছে তাতে সেখান থেকে জলের নিচে গিয়ে এই ধরণের শিল্প করা সম্ভব নয়। তার মানে হল এই কারুকার্য আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল।
বহু বছর ধরে জলের নিচে কীভাবে ছিল এই স্থাপত্য। এতদিন ধরে জলের প্রবল স্রোতে কেন তার কোনও ক্ষতি হল না। সেই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে বিজ্ঞানীদের মনে। এমনকি বহুবার ধরে সমুদ্রের নিচে ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানেও অক্ষত ছিল সমস্ত স্থাপত্য। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে স্থাপত্য মাটির নিচে পাওয়া গিয়েছে সেটি মাটির অনেক নিচে তৈরি করা হয়েছিল। তখন এখানে সমুদ্র ছিল না। তাই এগুলি ভালভাবে তৈরি করা গিয়েছে। পরবর্তীকালে সমুদ্র যখন এই জায়গাকে গ্রাস করে নেয় তখন এগুলি তার নিচে চলে গেলেও বেশি ক্ষতি হয়নি। জলের তোড়ে এগুলি ভেসে যায়নি বরং মাটি কামড়ে থেকেছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করছেন সাগরের তলায় কোনও সভ্যতা থাকা আহামরি কিছুই নয়। বর্তমানে যে সভ্যতা পৃথিবীর উপরে রয়েছে সেগুলি কোনও এক সময়ে জলের নিচে চলে যাবে। তবে সেই সভ্যতার ভিত যদি শক্ত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলি অনেক হাজার বছর পরেও অক্ষত থাকবে। প্রশান্ত মহাসাগরের ক্ষেত্রেও একই জিনিস কাজ করেছে। জল এমন একটি তরল যেটি তার সামনের যেকোনও বস্তুকে গ্রাস করে নেয়। তবে সেটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে পারে না।
তবে এই স্থাপত্যর নমুনা যতদিন না পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এর সঠিক সময় নিয়ে অনুমান করা যাবে না। পৃথিবীর একেবারে মাটির সঙ্গে যেহেতু এই স্থাপত্য রয়েছে তাই সেখানে জলের তোড় এতটাই যে সেখানে গিয়ে এর নমুনা সংগ্রহ করা একটি অতিমানবীয় কাজ বলেই মনে করা হচ্ছে। টোকনোটনিক প্লেটের অপসারণ হয়ে প্রতি সময়তেই বিবর্তন হয়েছে পৃথিবী। সমুদ্রের নিচেও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। তাই এই সভ্যতার ভিত কত কোটি বছর আগে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে এখন গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
আপনার মতামত জানানঃ