দুই হাজার দুই সালের অক্টোবর মাস। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছে এক বছর হলো। দেশে তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছিল। বিবিসি বাংলা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে মানুষের মনে আতঙ্ক, উদ্বেগ, ক্ষোভ আর হতাশা জন্ম নিয়েছে। ঢাকার রাস্তায় একের পর এক ওয়ার্ড কমিশনারদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছিল।
এছাড়াও হত্যা এবং ডাকাতিসহ নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বেসামাল হয়ে পড়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় সরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার।
কারণ, তার আগের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হওয়া বিএনপি সেটি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। ঢাকার রাস্তায় একের পর এক ওয়ার্ড কমিশনারকে গুলি করে হত্যা সেটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল।
অভিযোগ ওঠে, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেসব ওয়ার্ড কমিশনার বিএনপির মনোণয়ন পেয়েছিল তাদের অনেকই ছিল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
পরিস্থিতির ক্রমাবনতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিচলিত করে তোলে। দুই হাজার দুই সালের ১০ই অক্টোবর সরকারের এক বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বীকার করেন যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলের আলোচিত-সমালোচিত পাঁচটি দিক সন্ত্রাস নির্মূলে আরো সময় চাইলেন খালেদা জিয়া। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেন।
“যে দ্রুততার সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে দেশবাসী আশা করেছিলেন সেটা হয়নি,” জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেন খালেদা জিয়া।
এগারোই অক্টোবর বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দাবি করেন, সরকার সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না।
সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যাই বলুন কেন, পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল সেটি তারা বুঝতে পেরেছিলেন।
একইসাথে তারা এটাও অনুধাবন করেন যে পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পুলিশকে দিয়ে সেটি আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি সরকার পুলিশ এবং প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল করেও পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি।
বিএনপি সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদের বই ‘বাংলাদেশ: অ্য স্টাডি অফ দি ডেমোক্রেটিক রেজিমস’ বইয়ের বাংলা অনুবাদ ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্র: ১৯৯১ থেকে ২০০৬’ বইতে সে কথা উঠে এসেছে।
মওদুদ আহমদ লিখেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রেখে যাওয়া পুলিশ বাহিনী পরিবর্তন করে বিএনপি’র অনুগতদের দিয়ে তা পূর্ণ করলেও তাতে কোন কাজ হয়নি।”
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে সন্ত্রাস নির্মূলে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এমন প্রেক্ষাপটে ২০০২ সালের ১৬ই অক্টোবর মধ্যরাত, কার্যত ১৭ই অক্টোবর থেকে সারাদেশে একযোগে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।
মধ্যরাতে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে অভিযান শুরু হয়। সেনা অভিযান শুরু আগে পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি।
সেনা সদস্যদের গাড়ি যখন রাস্তায় নামে তখনই সবাই বুঝতে পারে যে অভিযান শুরু হয়েছে। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল যে এটি সেনাবাহিনী-পুলিশ-বিডিআরের যৌথ অভিযান। প্রকৃতপক্ষে পুরো অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। প্রথম দিনের অভিযানে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় সেনাবাহিনী।
তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রথম দিনের অভিযানে প্রায় ১৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল বিএনপি নেতাকর্মী।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তিনজন কমিশনারকেও আটক করা হয় এসময়। এছাড়া চট্টগ্রামেও দুজন ওয়ার্ড কমিশনারকে আটক করা হয়। বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন গ্রেফতারের তালিকায়।
অভিযানের প্রথম দিনে বগুড়ায় এক বিএনপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে তার সমর্থকরা। এ সময় সেনাবাহিনী গুলি চালালে একজন রিকশাচালক নিহত হন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় যে প্রথম দিনের অভিযান সফল হয়েছে। পুলিশের বরাত দিয়ে দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দিনের অভিযানে সেনাবাহিনী যাদের আটক করেছে তাদের তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি এবং আদালতেও তোলা হয়নি।
গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, অভিযান চালানোর সময় সেনা সদস্যরা আসবাবপত্র ভাংচুর এবং পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। বন্দীদশা থেকে যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন জিয়া
আকস্মিক সেনা অভিযানে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা বিস্মিত হয়ে পড়েন। কারণ, এই অভিযানের বিস্তারিত বিষয়টি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়া অনেকেই জানতেন না।
যদিও মন্ত্রিসভার একটি বিশেষ বৈঠকে সেনাবাহিনী নামানোর বিষয়ে জানানো হয়। কিন্তু বৈঠক শেষ হবার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন যে সেনা সদস্যরা তাদের অপমান অপদস্থ করছে।
অভিযান শুরুর পর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। তবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান (প্রয়াত) এবং আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ (প্রয়াত) সেনাবাহিনীর অভিযানকে সমর্থন করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। সেনাবাহিনীকে দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে বলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়ে সেনাবাহিনী নামিয়েছে। অভিযান শুরুর কয়েকদিন পরে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী নামিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তবে সেনাবাহিনীর অভিযানকে সমর্থন দেয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
সেনা সদস্যরা তালিকাভুক্ত অপরাধীদের বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাড়িতেও অভিযান চালায়।
জাতীয় সংসদের তৎকালীন চিফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের (প্রয়াত) ঢাকার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এসময় চিফ হুইপ সে বাড়িতেই ছিলেন। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানের গাড়ি বহর সাভার অতিক্রম করার সময় সেনা সদস্যরা সেটি থামিয়ে তল্লাশি করেন। পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা (প্রয়াত) প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে সেনা সদস্যদের আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সাদেক হোসেন খোকা অভিযোগ করেন, তিনজন ওয়ার্ড কমিশনারকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছে এবং আরো অনেকের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। ফলে আতঙ্কিত কমিশনাররা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বাসায় তল্লাশি চলে। আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, আব্দুল জলিল (প্রয়াত), শাহ এ এম এস কিবরিয়া (প্রয়াত), আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। বাসা তল্লাশির পর শেখ সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
এসব ঘটনার পরে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন সন্ত্রাস দমন না করে সেনাবাহিনীকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন সরকার সেনাবাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে না দিয়ে বিতর্কিত করছে।
তবে তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী বলেন, দল-মত নির্বিশেষে সব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে পারলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে।
সেনাবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় যাদের আটক করে তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনের বেশি হেফাজতে মৃত্যু খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবরে দেখা যায়, হেফাজতে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের এক-তৃতীয়াংশ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এছাড়া আওয়ামী লীগেরও বেশ কিছু মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মী ছিল এই তালিকায়। তৎকালীন আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ তার বইতে লিখেছেন, হিসেবভেদে এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪০ থেকে ৬৫ জন।
সেনা হেফজতে থাকা অবস্থায় ঢাকার উত্তরা থানার তৎকালীন বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী ও কর্মী জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে এ দুজনের খবর সবার আগে জানা গেছে।
সরকারের তৎকালীন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা খন্দকার মনিরুল আলম বিভিন্ন সময় সংবাদ সম্মেলন করে সেগুলোকে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মৃত্যু হয়েছে বলে তুলে ধরেন।
সেনাবাহিনী ৮৪দিন অভিযান পরিচালনার পর তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। যেদিন থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার শুরু হয়, তাদের আগের দিন ‘যৌথ অভিযান দায়মুক্তি অধ্যাদেশ ২০০৩’ জারি করা হয়।
এর মাধ্যমে অপারেশন ক্লিনহার্ট-এর অবসান ঘটে।
তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা যায়, অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালে ১২ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া দুই হাজার আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৩০ হাজার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এই অভিযানে প্রায় ২৪ হাজার সেনা সদস্য, সাড়ে তিনশ নৌ, প্রায় এক হাজার বিডিআর, প্রায় সাতশ আনসার ও পুলিশ নিয়োজিত ছিল।
অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দাবি করে বিএনপি সরকার। কিন্তু তারপরেও এই অভিযান বন্ধ করার জন্য চাপ প্রবল হয়ে উঠে।
তৎকালীন আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ তার বইতে লিখেছেন, “বেশিরভাগ অপরাধী বিএনপির হওয়ায় পার্টির ভেতর থেকেই সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের জন্য চাপ আসছিল। তাছাড়া, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমালোচনা বেশ জোরালো হয়েছিল। ফলে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবার আশংকা দেখা দিয়েছিল।”
এ অধ্যাদেশে বলা হয়, ১৬ই অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৯ই জানুয়ারি পর্যন্ত যৌথ বাহিনী যত কাজ করেছে সেগুলো নিয়ে আদালতে কোন মামলা করা যাবে না। হেফাজতে যেসব মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের বিচার চাওয়ার পথও বন্ধ করা হয় এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে।
আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল এক সংবাদ সম্মেলনে দায়মুক্তি অধ্যাদেশের কড়া সমালোচনা করেন। জলিল (প্রয়াত) সেসময় বলেন, মানুষের আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার খর্ব করা হয়েছে এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে।
এছাড়া বামপন্থী দলগুলোও দায়মুক্তির সমালোচনা করেছিল। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এর সমালোচনা করে। তবে অপারেশন ক্লিনহার্ট শেষ করে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবার পর পালিয়ে থাকা অপরাধীরা আবারো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।
তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্টে জানা যায়, সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবার পর বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীরা আনন্দ-উল্লাসও করেছে। অপারেশন ক্লিনহার্টের জন্য দায়মুক্তি আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে জেড আই পান্না নামে একজন মানবাধিকার আইনজীবী হাইকোর্টে রিট মামলা করেন। তার যুক্তি ছিল এ ধরনের দায়মুক্তি আইন বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থী। সেই রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট ঐ দায়মুক্তি আইনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
আপনার মতামত জানানঃ