মঙ্গলের মাকড়সার কথা অনেকেরই জানা। ২০০৩ সালেই সেই মাকড়সার প্রথম দেখা পাওয়া যায়। তারপর থেকেই শুরু হয় তার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা।
মঙ্গলগ্রহের মাকড়সাদের কথা প্রথম জানা যায় ২০০৩ সালে। মঙ্গলের দক্ষিণ গোলার্ধে অনেকগুলি এমন মাকড়সার দেখা মেলে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মাকড়সা মানে জীবন্ত মাকড়সা। বরং মঙ্গলগ্রহের খুব কাছ থেকে নেওয়া ছবি থেকে দেখা যায় মঙ্গলের গায়ে হুবহু মাকড়সার মত চিহ্ন।
যে মাকড়সার দাড়াগুলি প্রায় ১ কিলোমিটার করে লম্বা। এগুলো কি? এভাবে মঙ্গলের মাটি আকার নিল কীভাবে? তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন তখন থেকেই।
এবার পৃথিবীতে বসেই মঙ্গলের আবহাওয়া তৈরি করে সেই মাকড়সার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করলেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই তাঁরা জানতে পারলেন ওগুলি তৈরি হয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইডের বরফ দিয়ে। এমন অনেক মাকড়সার মত দেখতে লাল গ্রহের গায়ে ছড়িয়ে থাকা এই আজব ভূমি আকার কীভাবে এল তার একটা ধারনা বিজ্ঞানীরা পেয়ে গেছেন।
মঙ্গলে প্রতি শীতেই এই কার্বন ডাই অক্সাইডের বরফ তৈরি হয়। পরে যখন কড়া রোদ এসে পড়ে তখন সেই বরফ গলে জল হয়না, বরং সরাসরি বাষ্প হয়ে উবে যায়। যেমন ড্রাই আইসের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
এই বাষ্প যখন লাল গ্রহে উবে যায় তখন তা বাষ্পীভূত হওয়ার সময় তার ওপর থাকা মাটি ও বালি তুলে নিয়ে যায়। লাল গ্রহে যখন শীত কেটে যায়, বসন্ত আসে, তখন কার্বন ডাই অক্সাইড বরফ উবে যাওয়া অংশে ক্ষতচিহ্নের মত ফাটল দেখতে পাওয়া যায়।
এই ফাটলগুলিই পরবর্তী সময়ে মাকড়সার মত দেখতে লাগে। এভাবেই লাল গ্রহের বুকে এমন নানা অংশে মাকড়সার মত আকার দেখতে পাওয়া যায় বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
আপনার মতামত জানানঃ