সমুদ্র বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকার কাছে একটি নতুন প্রজাতির প্রাণির সন্ধান পেয়েছেন। একটি ফলের নামে তারা প্রাণিটির নামকরণ করেছেন।ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক গ্রেগ রাউস ইনসাইডারকে বলেন, অ্যান্টার্কটিক স্ট্রবেরি ফেদার স্টার হলো একটি সামুদ্রিক প্রাণী যার ২০টি ‘বাহু’ রয়েছে। এটি মোট ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
রাউস গবেষক এমিলি ম্যাকলাফলিন এবং নেরিড উইলসনের সাথে নতুন প্রজাতির প্রাণিটি সম্পর্কে, গত মাসে ইনভার্টেব্রেট সিস্টেমেটিক্সে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন। এলিয়েনের মতো প্রাণিটিকে দূর থেকে স্ট্রবেরির মতো দেখায় না।
কিন্তু আপনি যদি এর শরীরের কাছে আসেন-তাহলে বাহুগুলির শীর্ষে একটি ছোট নাব দেখতে পাবেন। এর সাথে স্ট্রবেরির আকার এবং আকৃতির মিল রয়েছে।
এছাড়াও প্রাণীটির দেহে অজস্র শুঁড় রয়েছে। এদের বাহুগুলির সম্মুখে ছোট নখ রয়েছে যা সমুদ্রতলের মাটি ধরে রাখতে ব্যবহৃত হয়। বাহুগুলির পালকগুলি ছড়িয়ে থাকে এবং প্রাণির গতিশীলতায় সহায়তা করে। নতুন পাওয়া প্রজাতির আনুষ্ঠানিক নাম হলো Promachocrinus fragarius. এটি ক্রিনোইডিয়া শ্রেণির অন্তর্গত।
যার মধ্যে রয়েছে তারামাছ, সামুদ্রিক আর্চিন এবং সামুদ্রিক শসা। ফ্র্যাগারিয়াস ল্যাটিন শব্দ “ফ্রাগাম” থেকে এসেছে যার অর্থ স্ট্রবেরি। কিন্তু এই প্রাণির আরও নমুনা খোঁজার জন্য দক্ষিণ মহাসাগর বরাবর অনুসন্ধান করে, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের দল চারটি নতুন প্রজাতি শনাক্ত করেছে যা অ্যান্টার্কটিক ফেদার স্টার গোষ্ঠীর অধীনে পড়তে পারে।
রাউস বলেন, অ্যান্টার্কটিক স্ট্রবেরি ফেদার স্টার বিশেষভাবে এর ‘বাহু’র সংখ্যার কারণে আলাদা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই গোত্রের প্রাণিদের ১০টি বাহু থাকে।
এই আবিষ্কারের সাথে, গবেষকরা অ্যান্টার্কটিক স্ট্রবেরি ফেদার বিভাগের অধীনে আটটি প্রজাতির সন্ধান পেলেন। গবেষণাপত্র অনুসারে, অ্যান্টার্কটিক স্ট্রবেরি ফেদার স্টার ভূপৃষ্ঠের ২১৫ ফুট থেকে প্রায় ৩,৮৪০ ফুট নীচে কোথাও পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, স্কট ওয়ারিং যিনি এ অবজেক্টটি আবিষ্কার করার পর বিশ্বাস করেন যে, গভীর ভূগর্ভস্থ এ কাঠামোটি এলিয়েন সভ্যতাই নির্মাণ করেছে। তিনি আরো বলেন যে, অথরিটি এ তথ্য জনগণের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন।
স্কট আরো বিশ্বাস করেন যে, তিনি এন্টারটিকায় আরো একটি ইন্টারেস্টিং ফিচার খুঁজে পেয়েছেন। ওই স্থাপনাটি দেখতে যীশু খ্রিস্টের মুখের মত। এটি প্রমাণ করে যে, প্রাচীন এলিয়ান সভ্যতা একবার দক্ষিণ মেরুতে সমৃদ্ধ জীবন যাপন করেছিল।
তবে এই বিষয়টি শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির মতামত। অন্য বিশেষজ্ঞরা স্কুট এর সাথে একমত নাও হতে পারেন। এই বিষয়টির আরো যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে। এ ধরনের তথ্য বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে আগ্রহ এবং উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
ভবিষ্যতে ইউএফও এবং বহির্জাগতিক জীবন নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তারা আমাদের চারপাশের মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এসডব্লিউএসএস/২১৪০
আপনার মতামত জানানঃ