দলের যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে নেত্রকোনায় বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন তারা। রবিবার (৩০ অক্টোবর) কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাপার অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এ উপলক্ষে শনিবার রাতে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন খান।
ডক্টর রফিুকল ইসলাম হিলালী রবিবার মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে জানান, শহীদ জিয়ার আদর্শের দল বিএনপি দেশে গণতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই গণতন্ত্র মুক্তিকামীরা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পতাকাতলে আসতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য বিএনপির কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি দেশে গণতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন-সংগ্রাম চালাচ্ছে। তাই গণতন্ত্র মুক্তিকামীরা জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পতাকাতলে আসতে শুরু করেছেন। গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জাতীয় পার্টির অন্তত ৫১ জন নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। অতীত কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় কোনো অসন্তোষ না থাকায় তাঁদের বিএনপিতে যোগদানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও গত ১৩ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৪২ জন নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগদান করেন।’
বিএনপিতে যোগ দেওয়া নেতারা হলেন কেন্দুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল কবির, উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, কান্দিউড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, কান্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জুয়েল মিয়া ও আশুজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন। তাদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছেড়ে আসা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করে কোনও মূল্যায়ন পাইনি। বড় নেতাদের কাছে আমাদের মতের কোনও মূল্য নেই। তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি।’
জাতীয় পার্টি ছেড়ে আসা ইকবাল কবির বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নিজস্ব কোনো নেতৃত্ব নেই। ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তির দল হিসেবে এখন সবাই মূল্যায়ন করে। এ ছাড়া আমরা পারিবারিকভাবে বিএনপি। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপিতে যোগদান করেছি।’
বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া জানান, শনিবার রাতে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাপার অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এ উপলক্ষে একই দিন রাতে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন খান
তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসা জামাল উদ্দিন ও জুয়েল মিয়া।
এসডব্লিউ/এসএস/১৯৩০
আপনার মতামত জানানঃ