সিলেট নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় বাসায় ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মামলার পর রোববার রাতে শ্রমিক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাদ্রাসা সুপার ধর্ষণ করেছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে এর ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া এক শিক্ষার্থী। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক পোশাক শ্রমিক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সমকালের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার জানিয়েছেন, গত শনিবার সন্ধ্যার পর বাসার দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা দেলোয়ার দুই সহযোগীর সহায়তায় ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ধর্ষক দেলোয়ার ও তার সহযোগী হারুন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ধর্ষণের শিকার নারী মামলা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ধর্ষক দেলোয়ার নিজেকে শ্রমিক লীগের নেতা বলে পরিচয় দিত।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের ওই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক আবাসিক ছাত্রীকে রোববার রাতে দুই দফা ধর্ষণ করে বলে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর মাদ্রাসার সুপার পলাতক। এ ঘটনায় গতকাল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসাটিতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান মজনুসহ এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসা সুপারকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া এক ছাত্র। ধর্ষণের এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছে তার এক বন্ধু। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ওই ধর্ষক। গত শনিবার উপজেলার ধারাবাশাইল গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদার ঠান্ডার মাছের ঘেরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা কোটালীপাড়া থানায় পূর্ণবর্তী গ্রামের মহসিন হাওলাদার খনুর ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলী হোসাইন ও একই গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদার ঠান্ডার ছেলে মাসুদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় চার যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। তারা হলো- একটি বাসের হেলপার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন, মুছাপুর ২নং ওয়ার্ডের রইসল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম, রামপুর ৭নং ওয়ার্ডের বাঞ্ছারাম এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মক্কানগর এলাকার মৃত মমিনুল হকের ছেলে নছিমন চালক মহিউদ্দিন। স্থানীয়রা জানান, সাইফুলের বাড়ির একটি ঘর থেকে রাতে এক নারীর গোঙানির শব্দ পেয়ে ঘরের ভেতর গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হক জানান, ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই কিশোরী একজন ভাসমান পতিতা। কিশোরীসহ আটক চার যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী :গাজীপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রায় সাড়ে চার মাস পর মামলা হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর এলাকার সুলতান উদ্দিনের ছেলে রোমান বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই মেয়েকে গত ২২ মে ধর্ষণ করে। হঠাৎ করেই মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন হতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় ওই ছাত্রী ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় রোববার রাতে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত রোমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকায়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে টানা ১৫ দিন ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি রোববার রাতে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের রইস উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসানকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর এলাকায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে নাজমুল হাসান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী :কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। পরে গত ১২ আগস্ট মেয়েটি একটি পুত্রসন্তান প্রসব করে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম তারেকুর রহমান তারেক। সে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত রেজাউর রহমান চৌধুরীর ছেলে। স্থানীয় সালিশ বৈঠকে তারেক মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা রোববার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলা করেছেন।
বরগুনায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা :জেলার তালতলী উপজেলার শারিকখালী গ্রামের সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শিশুর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক সোহেল প্যাদাকে আসামি করে রোববার রাতে তালতলী থানায় মামলা করেন। এতে বলা হয়েছে, সোহেল প্যাদা লুকোচুরি খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে শিশুটিকে হত্যার হুমকিও দেয় সোহেল। দু’দিন পর শনিবার শিশুটি ব্যথা সহ্য করতে না পেরে নানিকে জানায়। ওইদিন রাতে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত জানানঃ