১৯৬৯ সালে ‘আমেরিকান ফেব্রিকস’ নামক ম্যাগাজিনের একজন রিপোর্টার লিখেছিলেন, “পৃথিবীর আদি ফেব্রিক বা কাপড়সমূহের মধ্যে ডেনিম অন্যতম হলেও এর যৌবন চিরন্তন।”
সতেরো শতকের ডেনিম উত্তর আধুনিককালেও ভরা যৌবনা। দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশন দুনিয়ায় ডেনিমের আবেদন এতটুকু খোয়া যায়নি। বরং হাল আমলে বিভিন্ন নকশায় তা নতুন রূপ পেয়েছে। বিশ্বের সব অঞ্চল, আবহাওয়া, বয়স, শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এ পোশাক এখনও তুমুল জনপ্রিয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সমস্ত বৈচিত্র্যময় পোশাকের মধ্যে ডেনিম সর্বাধিক সম্ভাব্য আইটেম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশের ডেনিমের খ্যাতি এখন পৃথিবী জুড়ে, প্রধানত ইউরোপীয়ান দেশগুলোতে।
ডেনিম এক প্রকার ফেব্রিক যা ১০০% কটন টুইল বা স্টেচ টুইল দ্বারা তৈরি। এখনকার অধিকাংশ মানুষের কাছেই ডেনিমের গুরুত্ব, বিশেষ করে জিন্স প্যান্টের গুরুত্ব অধিক। হাল আমলের ফ্যাশন জিন্স ব্যাতিরেকে কল্পনা করাটা একটু কঠিন। বিশেষ করে ছাত্র ও তরুন সমাজ তাদের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা ফাইভ পকেট ও রিভেট বিশিষ্ট জিন্সের প্যান্ট ছাড়া কল্পনা করতে পারে না। ইতিহাসবিদ, ডিজাইনার, সাংবাদিক, মুভি স্টার, লেখক থেকে শুরু করে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছেই ডেনিম ফেব্রিক সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডেনিমের ইতিহাস
১৮৭০ সাল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ছুটছে স্বর্ণের নেশায়, যা ইতিহাসে গোল্ড রাস নামে পরিচিত। তখন পুরো পশ্চিমজুড়ে আবিষ্কৃত হচ্ছিল স্বর্ণের খনি। ঠিক তখনই মোটা সুতার বুননে তৈরী কাপড়ের নীল রঙের একটি প্যান্ট বাজারে ছেড়ে হুলস্থুল ফেলে দেয় LEVI’S নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
হাজারো কর্মীদের কাছে পরিধেয় বস্ত্র হয়ে উঠে এই নীল জিন্স যার আরেক নাম ডেনিম। ফ্রান্সের নিমস শহরে সুতার মোটা বুননে এই কাপড় তৈরী হয় ১৫ শতকে। সেখান থেকেই মূলত এই ডেনিম নামের উৎপত্তি।
তখন নাবিকরা এই কাপড়ের পোশাক পড়তেন। কিন্তু ডেনিম জনপ্রিয় হয় মূলত মার্কিন খনি শ্রমিকদের হাত ধরে। শ্রমিকদের কাছ থেকে জিন্স পোশাক আপন করে নেয় প্রতিবাদী ঘরানার আমেরিকার পপ তরুন সমাজ।
১৯ শতকের গোড়ার দিকে জিন্স পড়ার কারনে এইসব প্রথাবিরোধী তরুনদের রেস্টুরেন্ট, এমনকি বড় মার্কেটগুলোতে ঢুকতে দেওয়া হত না। কিন্তু পপ সাম্রাজ্য বিকাশের সাথে সাথে আমেরিকার তরুনদের কাছে জিন্স হয়ে উঠে ফ্যাশনের অন্যতম একটি মাধ্যম। এভাবে ৬০ আর ৭০ দশক অতিক্রান্ত হয়।
৮০-এর দশকে প্রথম ডিজাইনের জিন্স বাজারে আসে। এভাবে ডেনিম জায়গা করে নেয় ঝলমলে র্যাম্প আর ফ্যাশনের মূল ধারায়। এই বিবর্তনে প্যান্টের গন্ডি পেরিয়ে ডেনিম ছড়িয়ে পড়ে জ্যাকেট ও টি-শার্টে।
ডেনিম প্রথম পত্রিকার প্রচ্ছদ হয়েছে ১৯৪৩ সালে। ফরাসি পত্রিকা মাদামোয়াজেলে। মেরিলিন মনরো পরেছেন ১৯৫২ সালে। মজার ব্যাপার হলো ডেনিম দিয়ে সুইম স্যুট হয়েছে ১৯৫৮ সালে। ১৯৬০ ব্রিজিট বার্দো যে স্কিনি জিনস পরেছেন তা কদিন আগেও ছিল চলতি ধারা। যা হোক, জিনস পরেননি কে? অড্রে হেপবার্ন, এলভিস প্রিসলি, ম্যাডোনা, লেডি ডায়ানা থেকে ব্র্যাট পিট তালিকা অশেষ।
কোন কাপড়কে বেসিক ফ্যাব্রিক হিসেবে ব্যবহার করে কোন ডাকসাইটে ডিজাইনার যখন কোন পোশাক তৈরি করেন তখনই বলতে গেলে সেটা জাতে ওঠে। ডেনিমের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। ১৯৮০ সালে এই কাণ্ডটি ঘটান কেলভিন ক্লেইন। তাঁর ডিজাইন করা জিনস পরে জগৎ মাতান ১৫ বছরের ব্রুক শিল্ড। পরবর্তীতে যিনি হয়ে ওঠেন হলিউডের প্রিয়মুখ। সেই ব্লু জিনসের চাহিদা আজও রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে জনপ্রিয় হচ্ছে নানা ওয়াশের জিনস।
বিশ্ববাজারে ডেনিমের অবস্থান
মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান টেকনিভোর মতে, বিশ্বে ডেনিমের বাজার ৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলারের৷ ২০২০ সাল নাগাদ এই শিল্পের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫ ভাগ৷ এশিয়া-প্রশন্তমহাসাগরীয় অঞ্চল ডেনিমের সবেচয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বাজার৷
কোভিড-১৯ এর মধ্যেও, ২০২২ সালে ডেনিম জিনসের বৈশ্বিক বাজার আনুমানিক ৬৪.৫ বিলিয়ন ডলার; যা কিনা ২০২৬ সালের মধ্যে ৭৬.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি বছরে আমেরিকায় ডেনিম জিন্সের আনুমানিক বাজার ১৫.৮ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান বৈশ্বিক বাজারের ২৪.৬ শতাংশ দেশটির দখলে। এদিকে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন জানিয়েছে তাদের ডেনিম জিন্সের বাজার চলতি বছরের শেষে প্রায় ১৫.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
এখন মার্কিনিরা এই ডেনিমে তৈরী পোশাক সবচেয়ে বেশি পরিধান করে। গোটা বিশ্বে যত ডেনিম তৈরী হয় তার এক তৃতীয়াংশ মার্কিনিরা ক্রয় করে। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এশিয়ার মধ্যে জাপান আর কোরিয়াতে এই কাপড়ের কদর বেশী।
বিশাল এই ডেনিম বাজারের অর্ধেকের বেশী নিয়ন্ত্রন করছে এশীয় বাজারগুলো। এই তালিকায় চীন ও ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। ইউরোপ বিশ্বে ডেনিম রপ্তানীর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের ডেনিমের বিশ্বজয়
ডেনিম শিল্প বাংলাদেশের নীরব বিপ্লব। ২০০৪ সালের প্রথম দিকে মাত্র চারটি কারখানায় উৎপাদন শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশে ডেনিমের শুভ সূচনা হয়। বর্তমানে প্রায় ৩১ টি কারখানায় ডেনিম ফেব্রিক উৎপাদন চলছে।
ফ্যাশন দুনিয়ায় ঢাকাই ডেনিমের উচ্চ কদর। বাংলাদেশ ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে ডেনিম রপ্তানি করে ১৩৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। ২০২১ সালে মোট ৭৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ডেনিম রপ্তানি করা হয়েছিল।
ডেনিম পোশাকের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ডিজেল, কেলভিন ক্লিন, জি স্টার, লেভির মতো বড় সব ব্র্যান্ড বাংলাদেশের ডেনিমের ক্রেতা। বিশ্ববাজারে চাহিদা তৈরি করতে সক্ষম হওয়ায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ধরনের মূল্য সংযোজন করছে ডেনিম। প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানি আয়ে ডেনিমের অবদান এখন ১৫ শতাংশের মতো।
পোশাকের বাইরেও অন্যান্য কিছু পণ্যেও ডেনিমের ব্যবহার আছে। কয়েক বছর ধরে এ পোশাকের কল্যাণেই তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। যদিও রপ্তানির বর্তমান হিসাব ঠিক সুখকর নয়
এ মুহূর্তে ডেনিমের বিশ্বচাহিদার ৩০ শতাংশের একাই জোগান দেয় বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ দেশের ডেনিমে মোট চাহিদার চার ভাগের একভাগ বাংলাদেশ থেকে যায়। দেশের মোট ডেনিম রপ্তানির ৭০ শতাংশ যায় এ জোটের দেশগুলোতে। ২০১৮ সালে ডেনিম রপ্তানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে শীর্ষস্থান দখল করে বাংলাদেশ৷ চীনকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশের এই শীর্ষ অবস্থান অর্জন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ডেনিম রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে বাংলাদেশ নিজের অবস্থান আরও জোরদার হয়েছে। ২০২২ সালের প্রথম তিনমাসে যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম রপ্তানি ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত দুই বছরে, বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল অফিস (ওটেক্সা) ৪ মে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানুয়ারি-মার্চ মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি থেকে সর্বোচ্চ ১৯৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। এছাড়া মেক্সিকো ১৬৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ১১৬ মিলিয়ন ডলার, ভিয়েতনাম ১০৭ মিলিয়ন ডলার এবং চীন ৯০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।
রয়েছে আরও সম্ভাবনা
বাংলাদেশে ডেনিমের বাজার সম্পর্কিত বিভিন্ন সমীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৯৮৯ সালে প্রথম হংকং ও ফিলিপাইনের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ডেনিম পোশাক তৈরির দুটি কারখানা স্থাপন করে।
১৯৯২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ বিশ্বের ১১তম ডেনিম সরবরাহকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর আগের বছরের তুলনায় সরবরাহ ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়াই মেলে এ স্বীকৃতি। পরে ১৯৯৬ সাল থেকে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশীয় ডেনিম কাপড়ের ওপর নির্ভর করতে শুরু হয়।
এরপর রপ্তানি বাজারে ডেনিম কাপড়ের চাহিদা বিবেচনায় টেক্সটাইল খাতের দ্বিতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৯৮ সালে সুইস-জার্মান প্রতিষ্ঠান বেনিনজারের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেনিমের জন্য বিশেষায়িত কারখানা সাশা ডেনিম স্থাপন করেন।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে ১৭ কোটি পিসের বেশি ডেনিম পোশাক বিক্রি করে আয় করেছে প্রায় ৯৪ কোটি ডলার। একই সময়ে চীন একই বাজারে বিক্রি করে মাত্র সাড়ে ১১ কোটি পিস। ডেনিমের বিশাল বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উদ্যোক্তাদের মতানুযায়ী বাংলাদেশের ডেনিমই বিশ্বসেরা।
বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশি ডেনিমের। উন্নতমানের ডেনিম রপ্তানি, বিশ্বমানের কারখানা এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের ফলে এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর ডেনিম কাপড় উৎপাদনে দেশের সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি গজ। আর ডেনিম চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬০-৬৫ কোটি গজ। চাহিদার অর্ধেকের কম কাপড় উৎপাদিত হছে।
পাট থেকে ডেনিম কাপড় তৈরি বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে। ইনস্টিটিউট পাট ও তুলা একই রকম আঁশ জাতীয় দ্রব্যের সংমিশ্রণে সাশ্রয়ী মূল্যে সুতা উৎপাদনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বল্প মূল্যে উন্নতমানের জুট ডেনিম কাপড় তৈরি করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের এক বিপুল সম্ভাবনাময় প্রকল্প।
নতুন প্রযুক্তি
নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে গতানুগতিকের তুলনায় উৎপাদন খরচও প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎপাদনের মাধ্যমে গুণগত মানের পাশাপাশি পণ্যের মূলমান বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের ডেনিম ও পোশাক প্রস্তুতকারীরা।
নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে গতানুগতিকের তুলনায় উৎপাদন খরচও প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। এমনকি কিছুক্ষেত্রে বাংলাদেশই হবে অত্যাধুনিক এসব প্রযুক্তির প্রথম ব্যবহারকারী। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে পানি ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কমিয়ে আরও পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে পণ্য ওয়াশ করা সম্ভব হবে।
অনেকক্ষেত্রে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সহযোগী হিসেবে বেছে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম এলইইডি প্ল্যাটিনাম সার্টিফাইড ডেনিম উৎপাদনকারী এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড প্রথম থেকে টেকসই পরিবেশবান্ধব টেক্সটাইল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠান জিনোলজিয়া এসএলের সঙ্গে একটি অত্যাধুনিক ইকো-ল্যাব স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
প্রতিষ্ঠানের মতে, পরিবেশবান্ধব ল্যাব স্থাপন করতে প্রাথমিকভাবে ১২ মাসের জন্য দুই লাখ ৭০ হাজার ইউরো খরচ হবে, যা নিয়মিত হালনাগাদ করার প্রয়োজন পড়বে। সংশ্লিষ্টদের মতে, চুক্তির উদ্দেশ্য হলো যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ডেনিম শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।
উল্লেখযোগ্য কিছু চ্যালেঞ্জ
১। ডেনিম শিল্পের আমাদের প্রতিযোগি দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক কিছু সমন্বয় করেছে। যেমন: জ্বালানি তেলের দাম ভারত ও শ্রীলংকা নিয়মিত সমন্বয় করে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও আমাদের দেশে উল্টে বাড়ে।
২। ডেনিম এক্সপোর প্রবর্তক ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন মনে করেন, “বাংলাদেশকে ডিজাইন উন্নয়ন এবং নতুনত্বের মাধ্যমে ডেনিমে অবস্থান সংহত করতে হবে। এই খাতে এমন আরো বিনিয়োগ এবং গবেষণা বাড়াতে হবে ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে মাথায় রেখে।”
৩। ভারত ও মিয়ানমারের বিশ্ববাজার সম্প্রসারণের দিকে মনোনিবেশ।
৪। গ্রেডিং পণ্য সিস্টেমগুলির কারণে বিশ্বব্যাপী খুচরা বিক্রেতাদের কম দামের পণ্য ক্রয়।
৫। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত বন্দর সুবিধা নেই, যার কারণে বিদেশী ক্রেতার আগ্রহ কমে যেতে পারে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৬৩০
আপনার মতামত জানানঃ