চলমান ডলার–সংকট ঠেকাতে দামি গাড়ি, প্রসাধনী, স্বর্ণালংকার, তৈরি পোশাক, গৃহস্থালি বৈদ্যুতিক সামগ্রী বা হোম অ্যাপ্লায়েন্স, পানীয়সহ বেশকিছু পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি পর্যায়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে, এসব পণ্য আমদানিতে এখন থেকে আমদানিকারকেরা ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের ঋণসুবিধা পাবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার রাতে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে বিলাসজাতীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের পুরো আমদানিমূল্য আমদানিকারকদের ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এসব পণ্য আমদানির জন্য ব্যাংক কোনো ধরনের ঋণ দিতে পারবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, করোনার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব এবং বহির্বিশ্বে সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার লক্ষ্যে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন হার পুনর্নির্ধারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মোটরকার (সেডানকার, SUV, MPV ইত্যাদি), ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স, স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার, মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, প্রসাধনী, আসবাব ও সাজসজ্জা রসামগ্রী, ফল ও ফুল, নন–সিরিয়াল ফুড (যেমন অশস্য খাদ্যপণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়, যেমন টিনজাত (Canned) খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, সফট ড্রিংকস ইতাদি), অ্যালকোহল–জাতীয় পানীয়, তামাক, তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্যসহ অন্যান্য বিলাসজাতীয় পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।
এ ছাড়া শিশুখাদ্য, অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ–সরঞ্জামসহ চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, উৎপাদনমুখী স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সরাসরি আমদানীকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল, কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সরকারি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ব্যতীত অন্য সব পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।
নতুন যানবাহন কেনা বন্ধ, বৈঠকের সম্মানী পাবেন না সরকারি কর্মচারীরা
গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ তিনটি আলাদা পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে সব ধরনের নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কমিটি বৈঠকে অংশ নিলে সরকারি কর্মচারীরা এত দিন যে সম্মানী পেতেন, তা–ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পের ব্যয় করতে হবে গুরুত্ব অনুযায়ী। পরিপত্রগুলোয় কিছু খরচ স্থগিত ও কিছু সীমিত করতে বলা হয়েছে। আর এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে।
তিনটি আলাদা পরিপত্রের একটি হচ্ছে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কিছু ব্যয় স্থগিত ও হ্রাসকরণ। এতে বলা হয়েছে, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও সংবিধিবদ্ধ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এগুলো হচ্ছে, সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে মোটরযান, জলযান ও আকাশযান। জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাব খাতে যে বরাদ্দ আছে, তার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। দেশের ভেতরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
অন্য এক পরিপত্র এডিপিভুক্ত প্রকল্পের ব্যয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে বলা হয়েছে। এ জন্য এ বি ও সি নামে তিনটি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাগুলোর চিহ্নিত প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে বলে বলা হয়েছে।
বি শ্রেণির প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অনূর্ধ্ব ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। তবে সি শ্রেণির প্রকল্পের অর্থ ছাড় আপাতত স্থগিত থাকবে।
এদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন কমিটির সম্মানী বাবদ ব্যয়ও স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব ধরনের প্রকল্প ও কর্মসূচির ক্ষেত্রে আর আমদানি বাবদ অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি)—এসব বৈঠকে অংশ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সবাই এত দিন ভালো অঙ্কের সম্মানী পেয়ে আসছিলেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১১ মাস ধরে কমছে
রেমিট্যান্স কমায় ও আমদানি ব্যয় বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এখন তা কমে গত ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে আমদানি ব্যয় আরও বাড়ছে। আগামী কয়েক মাসেও এ ব্যয় বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ মাসেই আরও কয়েকটি বড় দেনা শোধ করতে হবে। এতে রিজার্ভ আরও কমে যেতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল চার হাজার ১৮৭ কোটি ডলার। ২০২০ সালের নভেম্বরে এর চেয়ে কম চার হাজার ১২৭ কোটি ডলার রিজার্ভ ছিল। নভেম্বরের পর থেকে আর কখনো এত কমেনি। ওই বছরের ডিসেম্বর থেকে রিজার্ভ বেড়েছে। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত বেড়ে চার হাজার ৮০৬ কোটি ডলারে উঠেছিল। গত বছরের আগস্ট থেকে রিজার্ভ কমছে।
টানা ১১ মাস ধরে কমে যাচ্ছে। ওই সময়ে ৬১৯ কোটি ডলার কমেছে। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে রিজার্ভ তিন হাজার কোটি ডলারের বৃত্ত পার হয়ে চার হাজার কোটি ডলারের ঘরে প্রবেশ করে। ৪ হাজারের বৃত্ত আর অতিক্রম করতে পারছে না। চার হাজার ৮০৬ কোটি ডলারে উঠে আবার নামতে শুরু করেছে, যা এখনো অব্যাহত আছে।
এদিকে এ মাসের প্রথম ৫ কার্য দিবসের মধ্যে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ২০০ কোটি ডলারের বেশি শোধ করতে হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত আমদানির বিল তো রয়েছেই। ফলে রিজার্ভ আরও কমে যেতে পারে।
আকুর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাকিতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করে। প্রতি মাস পরপর আকুর দেনা পাওনা সমন্বয় করা হয়। আকুর সদস্য দেশগুলোতে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে। ফলে প্রতি কিস্তিতেই দেনা পরিশোধ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে রিজার্ভ কমলেও এখনো স্বস্তিদায়ক। রেমিট্যান্স বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি সংস্থা থেকে কম সুদের ঋণও নেওয়া হচ্ছে। এগুলো পেলে রিজার্ভ আবার বেড়ে যাবে। ফলে রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। এদিকে আগামী জুলাই পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি খোলা আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। মে মাসে ৫৯৭ কোটি ডলার, জুনে ৬১৩ কোটি ডলার এলসি খোলা হয়েছে। জুলাইয়ে ৬১১ কোটি ডলারের এলসি খোলা হতে পারে। এলসি খোলা বাড়লে আমদানিও বাড়বে। তখন রিজার্ভে চাপ আরও বাড়বে।
এদিকে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে এলসি মার্জিনসহ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতেও আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ কারণে বিশেষ করে বিলাসী পণ্য আমদানিতে আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।
রেমিট্যান্স কমলো ৩৫ হাজার কোটি টাকা
প্রণোদনা বাড়ানোসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম।
২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। রোববার (৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের রেট ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে বেশি থাকে। তখন বৈধ চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বেশি আসে। এখন এক ডলার রেমিট্যান্সের বিপরীতে ব্যাংক ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা দিচ্ছে। সঙ্গে যোগ হচ্ছে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। সব মিলিয়ে ৯৫ থেকে ৯৬ টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু খোলা বাজারে ডলার ৯৮ থেকে ৯৯ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ভিন্ন পথে রেমিট্যান্স এলে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে, এ কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কম।
রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর বলেন, কয়েকটি কারণে রেমিট্যান্স কমছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, গত বছর যে রেমিট্যান্স এসেছিল, তা ছিল আর্টিফিশিয়াল (কৃত্রিম)। অর্থাৎ যেসব অর্থ হুন্ডিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে আসত, গত বছর করোনার কারণে বিশ্বে যাতায়াত বন্ধ থাকায় ওই অর্থটা ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে, যার কারণে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এখন আবার যাতায়াত শুরু হয়ে গেছে। ওই অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে এখন আর আসছে না। তাই রেমিট্যান্স কমেছে।
তিনি বলেন, আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে এখন কার্ব মার্কেটের সঙ্গে ব্যাংকের মানি এক্সচেঞ্জ রেটের ব্যবধান অনেক বেশি; ৭ থেকে ৮ টাকা। এ ব্যবধান থাকলে ব্যাংকিং চ্যানেলে লোকজন রেমিট্যান্স পাঠাবে না। তাই যেকোনো মূল্যেই হোক কার্ব মার্কেটের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের রেট সমন্বয় করতে হবে; ব্যবধান এক-দু টাকায় নামিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার না বুঝেই শুধু প্রণোদনা দিচ্ছে। প্রণোদনা দিলে রেমিট্যান্স বাড়বে এটা মনে করা সম্পূর্ণ বোকামি। এসব প্রণোদনা দিয়ে কোনো লাভ নেই; শুধু শুধু হাজার কোটি টাকা জলে ফেলছে সরকার। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো আমরা যদি বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সহজ করি এবং ডলারের রেট সমন্বয় করি পাশাপাশি বিদেশে দক্ষ লোক পাঠানোর পদক্ষেপ নিই তাহলেই রেমিট্যান্স বাড়বে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গেল জুন মাসে ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এ অঙ্ক আগের মাসের চেয়ে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার কম। চলতি বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। আর আগের বছরের জুন মাসের তুলনায় ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার কম। গত বছর জুন মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৩ দশমিক ৪৫ টাকা ধরে)। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ হিসাবে গেল অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার অর্থাৎ দেশীয় মুদ্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এসডব্লিউ/এসএস/১৬৫৫
আপনার মতামত জানানঃ