মূলত ২০২১ সালে যখন পরিবেশ বিপর্যয় আর মহামারি নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ব, মোড়লেরা তখন মনোযোগ দিয়েছে যুদ্ধের ময়দানে। রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ বাড়িয়েছে। মস্কো বেশ কড়া ভাষায় দাবি করেছে নেটো যেন রাশিয়ার ঘরের পাশে তাদের সদস্য দেশগুলোতে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করে। চীন আরও উচ্চ কণ্ঠে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে প্রয়োজন হলে লড়াই করে তারা তাইওয়ান পুনর্দখল করবে।
একইসঙ্গে ২০২১য়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিক পর্যায়ে যুদ্ধ বেঁধেছে। ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতে ২০১৪ সাল থেকে প্রাণ হারিয়েছে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়ায় বিদ্রোহ কিছুটা ছাই চাপা আগুনের মত স্তিমিত রয়েছে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে চোখে পড়ার মত।
তবে সবথেকে বেশি মনোযোগ কেড়েছে ইউক্রেন। সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের। ইউরোপে আবারও যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব। ইউক্রেনের সীমান্ত জুড়ে রাশিয়ার সেনা। উদ্বিগ্ন আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলি। চলছে পারস্পরিক আক্রমণ ও হুঁশিয়ারি।
এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে আবার এক বিশ্বযুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দিয়েছেন বাইডেন।
চুপ নেই রাশিয়াও। তবে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তারা। বলা যায়, আট বছর পর আবার ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক কোন্দল।
কিন্তু কেন রাশিয়া ইউক্রেন নিয়ে এতোটা চিন্তিত কিংবা এই রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক অস্থিরতার শুরু কোথায়? কী নিয়েই বা পশ্চিমের দেশ ও রাশিয়ার সঙ্ঘাতের শুরু? এই সমস্ত প্রশ্ন এখন বিশ্ব রাজনীতির টেবিল গরম করছে।
ইউক্রেন যেভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে
রাশিয়ার মতো এত বড় এবং শক্তিধর রাষ্ট্র কেন ইউক্রেন নিয়ে এত চিন্তিত! এই বিস্ময়ের সঙ্গে জড়িত রাশিয়ার নিজস্ব কিছু স্বার্থ। ক্রিমিয়ার সেভেস্তাপোলে রাশিয়ার নৌ-ঘাঁটি রয়েছে। এটাই রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে ঢোকার একমাত্র পথ। তাই ইউক্রেন নেটো-তে যোগ দিলে এই সুযোগ আর রাশিয়ার হাতে থাকবে না।
ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বের কথা চিন্তা করে রাশিয়া কোনও ভাবেই চায় না ইউক্রেন নেটোয় যোগ দিক। তা ছাড়া, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলির সীমান্ত রয়েছে।
গোটা রাশিয়ায় সারা বছর সচল রাখা যায় এমন গুরুত্বপূর্ণ উষ্ণ জলের বন্দর আর কোথাও নেই। সেটা রয়েছে ক্রিমিয়ায়। শুধু কী তাই। বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার প্রবেশপথই তো এই বন্দর। তাই ইউক্রেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়বে পুতিনের দেশ।
এখন ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঝোঁক তাই চিন্তায় ফেলছে পুতিনকে। আবার আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি এবং নেটো-মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত পশ্চিমি জোট রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নিয়েই শুরু হয়েছে আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধ।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেন স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। যদিও সেখানে বসবাসকারীদের মধ্যে গড়ে উঠল দুই শিবির। রাশিয়া সীমান্তের কাছে উপস্থিত ইউক্রেনে বহু রুশ নাগরিক বসবাস করেন। তারা রাশিয়ার পক্ষে। অন্য পক্ষ আবার পশ্চিমি দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকতে চেয়েছে। তারা চায় ইউক্রেন নেটো-তে যুক্ত হোক।
২০১৪ সালে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে গেলে তাকে চাপ দিতে শুরু করে রাশিয়া। অবশেষে আর চুক্তি হয়নি। এ দিকে পুতিনের চাপে কেন এত বড় বাণিজ্য চুক্তি থেকে ইউক্রেন বঞ্চিত হল এ নিয়ে দেশের মধ্যে শুরু হয়ে গেল সঙ্ঘাত।
অবস্থা এমন দাঁড়াল যে, ইয়ানুকোভিচ সরকারের পতন হল এবং তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। এর মধ্যে ইউক্রেনে বসবাসকারী রুশরা ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধাচারণ শুরু করলে তার সুযোগ নেয় রাশিয়া। পুতিন ক্রিমিয়া দখল করেন এবং তাকে রাশিয়ার ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালে দক্ষিণ ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়া নিজেদের দেশে অন্তর্ভুক্ত করার অনেক আগেই অবশ্য এই ইউক্রেন-সঙ্কটের সূত্রপাত। সে জন্য ফিরে তাকাতে হবে একটু পিছনে। তখন, ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। গোড়া থেকে ইউক্রেনের একটা অংশ চায় পশ্চিম ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। তারা চায় ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করুক।
আর চায় প্রতিরক্ষার জন্য নেটো সামরিক জোটের সদস্য হোক। অন্য অংশ ঠিক এর উল্টোপথে। এরা জাতিগত ভাবে রুশ, ভাষাও রুশ। ইউক্রেন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ থাকার সময় ’৫৪ সালে রাশিয়ার মধ্যে থাকা ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের অধীনস্থ করা হয়।
কিন্তু সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ ধারণাও করতে পারেননি যে, কয়েক দশকের মধ্যে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে সাধের সোভিয়েত ইউনিয়ন। আঁচ করতে পারেননি, ক্রিমিয়ার উপর মস্কোর আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। যে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া, ইউক্রেন জটিলতা চলবে বছরের পর বছর।
চীন-রাশিয়া জোট
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়াকে দুর্বল করা এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তারের এমন কোনো সুযোগ নেই, যেটা গ্রহণ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলোকে ন্যাটোর সদস্যপদ ও নানা আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে এবং ভূরাজনৈতিক চক্রান্ত করে রাশিয়ার জন্য একের পর এক সমস্যা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এত সব সুস্পষ্ট প্ররোচনা সত্ত্বেও রাশিয়ার বিদেশনীতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রায়োগিক ও বাস্তবধর্মী। মার্কিন আধিপত্যের বিপরীতে বৈশ্বিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় চীনের সঙ্গে মৈত্রীর পথ বেছে নেয় রাশিয়া। এ মৈত্রী অবশ্য নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের বাইরে নয়। এই মৈত্রীর অর্থ হচ্ছে রাশিয়া তার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তাদের চাপিয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনকে দর-কষাকষির হাতিয়ার বা মাধ্যম করেছে।
সম্প্রতি রাশিয়া ও চীনের সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধবিমানের যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটা ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট খোলার চেষ্টার অংশ ছিল মহড়াটি।
আমেরিকাকে উপেক্ষা করেই চিন তেল এবং গ্যাস কেনা নিয়েই রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় চারশো বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করে। যা সেই সময়ে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভরাডুবি থেকে থেকে বাঁচিয়েছিল। আবার যখন ইউক্রেন নিয়ে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি শুরু হয়েছে, তখন আবার চিনকে পাশে পেতে চায় রাশিয়া।
প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালীন আমেরিকান কৌশল নির্ধারণে পেন্টাগনের নীতি বিষয়ক প্রধান মিশেল ফ্লুওরনয় বলছেন গত দুই দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর নজর ছিল শুধু মধ্য প্রাচ্যে- মধ্য প্রাচ্য নিয়ে তারা এতটাই ব্যস্ত থেকেছে যেসময় তাদের প্রতিপক্ষ দেশগুলো সামরিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।
তিনি জানান, কৌশলগত দিক দিয়ে আসলেই আমরা একটা দুর্বল জায়গায় রয়েছি। আমরা অর্থাৎ আমেরিকা, ব্রিটেন এবং আমাদের মিত্র দেশগুলো, আমরা বিশ বছর ধরে শুধু নজর দিয়েছি সন্ত্রাস ঠেকাতে আর বিদ্রোহ সামলাতে, ইরাকে আর আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে সময় কাটিয়েছি। এখন চোখ খুলে আমরা দেখছি আমরা একটা খুবই গুরুতর, বিশাল একটা শক্তিমত্তার প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়েছি।
তিনি অবশ্যই এখানে রাশিয়া আর চীনের প্রতি ইঙ্গিত করছেন। ব্রিটিশ সরকারের একটি প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় এই দুই দেশকে “চরম ঝুঁকি” এবং দীর্ঘমেয়াদের জন্য তাদের পশ্চিমের “কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী” বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
ইসলামপন্থী যুক্তরাষ্ট্র এবং নড়বড়ে ইউরোপ
রাশিয়া ও চীনের পরস্পরের সমর্থনের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে বেকায়দায় ফেলেছে বেশ ভালোভাবেই। এজন্য নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রকে নীতি ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যদিও ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান থেকে সরে আসার সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে; আবারও পুরোনো পথে ফিরে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
এখন রাশিয়া ও চীনের যৌথ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে, ইসলামপন্থীদের সঙ্গে আমেরিকানরা আবারও সম্পর্ক গড়ে তুলবে কি না। যাদের সন্ত্রাসী-জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা, আবার তাদের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাধা লাগতে পারে।
এ সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না; বরং এটি এখন খুবই প্রবল। ইসলামপন্থীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রতার চিন্তাভাবনা অনেকের কাছেই আজগুবি মনে হতে পারে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইসলামপন্থীদের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিকল্প নেই।
যুক্তরাষ্ট্র মূলত দুটি ফ্রন্টে এখন কাজ করছে। একদিকে রাশিয়াকে নিজের সীমার মধ্যে বেঁধে ফেলা, অন্যদিকে চীনের প্রভাব সংকুচিত করা। পূর্ব ইউরোপ দিয়ে রাশিয়াকে আটকানোর নানা চেষ্টাই যুক্তরাষ্ট্র করছে। বেলারুশ ও ইউক্রেনে কয়েকবারই যুদ্ধ বাধানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
কিন্তু ইউরোপের অনিচ্ছা ও নির্লিপ্ততার কারণে এটা এখনো সম্ভব হয়নি। ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্স নতুন করে কোনো যুদ্ধে যেতে আগ্রহী না বলেই মনে হচ্ছে। নিতান্তই বাধ্য না হলে ব্রিটেন বাদে ইউরোপের অন্যান্য দেশ নতুন কোনো যুদ্ধে নাও যেতে পারে।
অর্থনৈতিক মন্দার পর করোনা অতিমারির ধাক্কা সামলাতেই ইউরোপ এখন ব্যস্ত। তাদের অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে। এ ছাড়া রাশিয়ার ওপর ইউরোপের জ্বালানি, মূলত গ্যাসের নির্ভরতা আছে। বিকল্প জ্বালানি উৎস নিশ্চিত না করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে।
আর ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের পর জার্মান ও ফরাসিরা নিজেদের মতো করে ইউরোপের রাজনীতি সাজাতে চাইছে। সম্প্রতি জার্মানিতে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারে যুদ্ধবিরোধী সবুজ দলের শরিকানা আছে। এ কারণে জার্মানিতে সরকারের ভেতর থেকেই বাধা আসবে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে ইউরোপ আর আগের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অনুগামী হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
ব্রিটেন থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। কিন্তু এর বাইরেও ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী মিত্র। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের সামরিক উপস্থিতি বৃহৎ আকারে থাকলেও এর নৈতিক ভিত্তি তৈরিতে কাজ করেছে জার্মানি, ফ্রান্সসহ অন্য দেশগুলো। পুরো ইউরোপের সমর্থন না পেলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নতুন কোনো যুদ্ধে জড়ানো কঠিন হবে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৫৫০
আপনার মতামত জানানঃ