করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক, মৃত্যু ভয়, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক বিপর্যস্ততার কারণে বাড়ছে মানসিক সংকট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, আত্নীয় স্বজন বন্ধুদের সান্নিধ্য না পাওয়ায় বাড়ছে একাকিত্ব। অর্থাৎ হীনমন্যতা, একাকিত্ব থেকেই নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আত্মহত্যাকে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নেয়।
আত্মহত্যা একটা সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান। সমস্যাটা হয়তো সাময়িক এবং এর সমাধানও ভবিষ্যতে বিদ্যমান। তবে পরাজিত সৈনিকের ন্যায় সমস্যার মোকাবেলা না করে কাপুরুষের ন্যায় আত্মহত্যার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান প্রজন্মের মাঝে আত্মহত্যা একটি মহামারির ন্যায় দেখা দিয়েছে।
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আত্মহননের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। গত বছর সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ৯ জন। এক বছরে এত শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা এবারই প্রথম।
বেসরকারি একটি সংগঠনের সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সম্পর্কের অবনতি, পারিবারিক জটিলতা, পড়াশোনা নিয়ে হতাশা, আর্থিক সংকট—এসব আত্মহত্যার ঘটনার মূল কারণ।
বেসরকারি সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন তাদের এ-সংক্রান্ত সমীক্ষা প্রতিবেদনটি আজ শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরবে। ২০২১ সালের অর্ধশতাধিক জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক এবং অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবর বিশ্নেষণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে আঁচল ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে। এর আগে আলাদা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যা নিয়ে কাজ করেনি সংগঠনটি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তিন বছরের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ১৫ মাস স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তারা জরিপ করে। তাতে দেখা যায়, আত্মহত্যা করা ৫০ জনের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১০১টি। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে, ৬১.৩৯ শতাংশ, ৬২ জন। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন (১১.৮৮ শতাংশ), প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ (৩.৯৬ শতাংশ) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ জন (২২.৭৭) শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সবচেয়ে বেশি ৯ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারজন আত্মহত্যা করেছেন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে- তিনজন।
আত্মহননকারীদের বয়সভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২২-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। এ বয়সসীমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০টি আত্মহত্যার ঘটনা দেখা গেছে, যা মোট ঘটনার ৫৯.৪১ শতাংশ। অন্যদিকে ১৮-২১ বছর বয়সী ২৬.৭৩ শতাংশ, ২৭ জন। ২৬-২৯ বছর ৯.৯০ শতাংশ, ১০ জন এবং ২৯ বছরের ওপরে ৩.৯৬ শতাংশ, চারজন। আত্মহত্যাকারীদের বড় অংশই পুরুষ শিক্ষার্থী। ৬৫ পুরুষ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৬৪.৩৬ শতাংশ। নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৩৬ জন বা ৩৫.৬৪ শতাংশ।
মাসভিত্তিক আত্মহত্যা প্রবণতা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে আত্মহত্যার হার ১৪.৮৫ শতাংশ বা ১৫ জন এবং সবচেয়ে কম এপ্রিলে, যা ১.৯৮ শতাংশ বা দু’জন। এতে দেখা গেছে, গ্রীষ্ফ্মকালের চেয়ে শীতকালে আত্মহত্যার হার বেশি।
স্নাতক তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলক বেশি, ৩৬.৬৩ শতাংশ।
গত বছর সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ৯ জন। এক বছরে এত শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা এবারই প্রথম।
আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে সম্পর্কজনিত জটিলতার কারণে। এছাড়া, পারিবারিক বিরোধের কারণে ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, মানসিক চাপের কারণে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আর্থিক সংকটের কারণে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও পড়াশোনার জটিলতাজনিত কারণে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
মাদকাসক্তির কারণেও ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে উঠে এসেছে রিপোর্টে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ শিক্ষার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে না পারাকে আত্মহত্যা বেড়ে যাওয়ার প্রধান নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, আত্মহত্যার কারণগুলো বাইরে থেকে যতটা দেখা যাচ্ছে, সমস্যা তার চেয়েও গভীর। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার সুযোগ অপর্যাপ্ত হওয়ায় জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে শিক্ষার্থীরা সেটা সামলাতে পারেন না। প্রেমে বিচ্ছেদ হলে তারা যেমন ভেঙে পড়েন, তেমনি পরীক্ষায় খারাপ ফলাফলও তাদের আশাহত করে।
তানসেন রোজ বলেন, ভালো-মন্দ যাই ঘটুক, সেটি জীবনেরই অংশ। আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে ধৈর্যশীল হতে হবে। জীবনটা অনেক মূল্যবান।
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবমুখী কিছু জ্ঞান যেমন- আর্থিক ব্যবস্থাপনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ক্যারিয়ারবিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন আত্মহত্যা কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তানসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনাগুলো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, এখনই পদক্ষেপ নিতে না পারলে পরে আমাদের অনুশোচনা করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমরা উদাসীন। বড় ধরনের ক্ষতি কমাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার। প্রতিটি জেলায় আত্মহত্যা সেল গঠন করে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সমন্বিতভাবে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা তৈরি করতে হবে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম বলেন, হতাশামুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রচারণা, প্রতিরোধ, চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সমন্বিত পদক্ষেপই পারে আত্মহত্যা কমাতে।
করোনায় বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা
করোনার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে এসব প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপের বিষয়। হতাশা, একাকিত্ব, মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। উদ্বেগ আর মানসিক চাপ ছাড়াও এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা। যেমন অতিরাগ, জেদ এবং একাকিত্ববোধে ভোগার মতো মানসিক অসুবিধা। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী ঝুঁকে পড়ছে মোবাইল ও ইন্টারনেটে। এতে করে অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি তৈরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। মোবাইল না পেয়ে রাগে কিংবা ক্ষোভের কারণে আত্মহত্যার ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে দেশে।
করোনার কারণে স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বন্ধ আছে বিনোদনের প্রায় সব ব্যবস্থা, নেই ঘুরতে যাওয়ার মতো অবস্থা। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি অবস্থা শিশুদের মানসিক বিকাশে সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনোবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। পড়ালেখা, ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা, যা তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা। দিন দিন তারা আর্থিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় জেঁকে বসেছে হতাশা। শিক্ষা, চাকরি ও আর্থিকসহ সব ক্ষেত্রে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তা। অভাব ঘরে হানা দেয়ায় কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষ যখন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন তুচ্ছ কারণেও আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান, আত্মহত্যা করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় কাজ করে। ব্যক্তিবিশেষে ক্ষেত্রগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে। নিজের স্বার্থে আঘাত লাগা, চাহিদার সঙ্গে প্রাপ্তির ব্যবধান, অসহায়ত্ব, কর্মহীনতা, নৈতিক মূল্যবোধ একেবারে ফুরিয়ে যাওয়া, অর্থসংকট ও চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে না নিতে পারাসহ বেশ কয়েকটি কারণে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। বিশেষ করে করোনার ঘরবন্দি সময়ে মানসিক অস্থিরতা এর জন্য অন্যতম দায়ী।
তারা বলেন, করোনার সময়ে যেভাবে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে গেছে তা সত্যিই শঙ্কিত করে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। পরিবারে জ্যেষ্ঠদের খেয়াল রাখতে হবে, তাদের ছেলে-মেয়ে কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে। না হলে যে কেউ ভুল পথে পা বাড়াতে পারে। কারণ আত্মহত্যা করার পেছনে পরিবার, সমাজ ও দেশেরও দায় রয়েছে। মানুষ কেন আত্মহত্যা করে, তা নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা হওয়া দরকার।
আত্মহত্যা ঠেকানোর জন্য পরিবার এবং সমাজকে প্রধান দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এক্ষেত্রে পরিবারগুলোকে প্রধান দায়িত্ব নিতে হবে, তবে পরিবারকেও নিজেদের আচরণ এবং প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
তারা কিছু পদক্ষেপের কথা বলেছেন— পরিবারের ছোটদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক বাড়াতে হবে, তাদের বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সন্তানদের খেলাধুলা করা এবং সামাজিক মেলামেশা করার সুযোগ বাড়িয়ে দিতে হবে। সন্তানকে চাপ মোকাবেলা করতে শেখাতে হবে, পড়াশোনা বা খেলাধুলা নিয়ে সন্তানের ওপর চাপ প্রয়োগ না করা। ব্যর্থতা মেনে নেয়া নিজেরাও শিখতে হবে, বাচ্চাকেও শেখাতে হবে। ব্যর্থতা জীবনের অংশ এটা বুঝতে হবে। তিরস্কার করা বা তাদের মর্যাদাহানিকর কিছু না বলা, মনে আঘাত দিয়ে বা সবসময় সমালোচনা না করা, সমবয়সী অন্যদের সঙ্গে তুলনা না করা। আত্মীয়, বন্ধু এবং আশেপাশের পরিবারসমূহকেও এ বিষয়ে সচেতন করা।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৫৪৫
আপনার মতামত জানানঃ