বাংলাদেশে গরুর মাংসের চাহিদা আছে, দাম বেশি অথচ চাহিদার তুলনায় গরুর সংখ্যা কম। বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত সুরক্ষিত নয়। কারন হল ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিশ্ছিদ্র করা সম্ভব নয়। এর উপর আছে সীমান্তরক্ষীদের উপরি আয়, ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীদের জন্য গরু চোরাচালান এক লোভনীয় ব্যাবসা। কোটি কোটি টাকার গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাচালানের মাধ্যমে আসে, যা বাংলাদেশের গরুর মাংসের ৫০% এর ও বেশী চাহিদা পূরন করে থাকে । ঈদের সময় এই চোরাচালান আরো বেশী পরিমাণে হয়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান করা গবাদিপশু আটকের ঘটনা কয়েক বছর ধরে দ্রুত কমছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে গরু চোরাচালানের ঘটনা কার্যকরভাবেই মোকাবিলা করছে ভারত।
বাংলাদেশে গরু চোরাচালান কার্যকরভাবেই কমাতে পেরেছে ভারত। ছয় বছর আগের তুলনায় যা ৮৬ শতাংশ কম। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য পর্যালোচনা করে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ২০১৫ সালে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬০২টি গবাদি পশু আটক করে। ৬ বছর পর এসে ২০২১ সালের প্রথম ১১ মাসে (নভেম্বর পর্যন্ত) মাত্র ২০ হাজার ৪১৫টি গবাদিপশু চোরাচালানের সময় আটক করে তারা। অর্থাৎ ছয় বছরে গরু আটক কমার এই হার প্রায় ৮৬ শতাংশ।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু চোরাচালান মোকাবিলায় ২০১৮ সাল ছিল মোড় ঘোরানো বছর। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সীমান্তে ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৯টি গরু আটক করে বিএসএফ। ২০১৮ সালে তা ৫০ শতাংশ কমে ৬৩ হাজার ৭১৬টিতে নেমে আসে। গত দুই বছরে এ সংখ্যা আরও দ্রুত কমে ২০১৯ সালে হয় ৪৬ হাজার ৮০৯টি ও ২০২১ সালে ২০ হাজার ৪১৫টি।
২০১৪ সালের মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার গোসুরক্ষায় ও গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ মনোযোগ দেয়। ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে বিএসএফ কর্মীদের উদ্দেশে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, তিনি এই বাহিনীকে গরু চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবহার করতে চান, যাতে বাংলাদেশ গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়।
রাজনাথ সিংয়ের এমন মন্তব্যের পর গবাদিপশু পাচার বন্ধ করতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারি শুরু করে বিএসএফ। এ কাজের জন্য তারা অতিরিক্ত সদস্যও মোতায়েন করে। নদীপথে গবাদিপশু পরিবহনকারী চোরাকারবারি ঠেকাতে বাড়ানো হয় স্পিডবোটে টহল। এই ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধীদের ওপর প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্রের ব্যবহারও শুরু করে বিএসএফ। গত বছর ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিএসএফ গবাদিপশু পাচারকারীদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
তবে বিএসএফের সূত্রগুলো বলেছে, গবাদিপশু চোরাচালান অনেকটাই আটকে যাওয়ার পেছনে অন্য কারণও রয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ বিএসএফ কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগে আমরা গবাদিপশু জব্দ করার পর শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতাম, যা তারা পরে নিলামে বিক্রি করত। তখন নিলাম করা গবাদিপশুগুলো প্রায়ই একই চোরাকারবারিরা কিনে নিত।’
নাম প্রকাশ না করা ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালে এসে এই নিলাম প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়। জব্দ করা গরুর দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশের নেওয়ার কথা থাকলেও তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা করেনি। তাই বিএসএফ কিছু এনজিওর সহায়তায় জব্দ পশুর দেখভাল শুরু করে। পরে সেগুলো গো-আশ্রয়ণে পাঠিয়ে দেয়। বিএসএফকে এর জন্য খরচও বহন করতে হয়েছে। এ উদ্যোগে চোরাকারবারি আটকের সংখ্যাও কমেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ বছরের পর বছর নিজস্ব দুগ্ধ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়িয়ে এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি করছে। এটিও সীমান্তে গবাদিপশুর চোরাচালান সীমিত করেছে। আরেক বিএসএফ কর্মকর্তা বলেন, হরিয়ানা জাতের গরু এখন সীমান্তে খুব কমই আটক করা হচ্ছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশ ও বিহারের লোকেরা এখনো এ জাতের গরু চোরাচালানে সক্রিয় আছেন। রাজ্য সরকারগুলো এগিয়ে এলে বিএসএফকে গরু চোরাচালান ঠেকানোর কাজ আর করতে হবে না।
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ২০১৫ সালে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬০২টি গবাদি পশু আটক করে। ৬ বছর পর এসে ২০২১ সালের প্রথম ১১ মাসে (নভেম্বর পর্যন্ত) মাত্র ২০ হাজার ৪১৫টি গবাদিপশু চোরাচালানের সময় আটক করে তারা। অর্থাৎ ছয় বছরে গরু আটক কমার এই হার প্রায় ৮৬ শতাংশ।
ভারতের ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গরু আটকের হার কমার সঙ্গে বিএসএফের ওপর চোরাকারবারিদের হামলাও কমেছে। চোরাকারবারিদের হামলায় ২০১৫ সালে ১০৩ জন বিএসএফ সদস্য আহত হন। এ সংখ্যা ২০২১ সালে ৬৩–তে নেমেছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা কমে গেছে।
সাম্প্রতিককালের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে বিএসএফ প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে ২১৯টি গুলি চালায়। ২০২১ সালে এটি বেড়ে ২৪৪ হয়। প্রকৃত পক্ষে, এটি শুধু দুই বছরে ২০০-এর নিচে ছিল—২০১৭ (১৩৯) ও ২০১৮ (৭৭) সালে। সবচেয়ে বেশি ৩৫৫টি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে ২০১৬ সালে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গরু চোরাচালান সীমান্ত হত্যার প্রধান কারন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। গরু চোরাচালান বন্ধের সহজ উপায় হল এই ব্যবসাকে বৈধতা দেওয়া। এতে করে সীমান্ত হত্যা কমে যাবে, উল্লেখযোগ্য পরিমান অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা হবে এবং ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে। বাংলাদেশ সব সময়ই ভারত থেকে বৈধভাবে গরু আমদানী করতে আগ্রহী। কিন্তু ভারত সরকার গরু রফতানী করতে আগ্রহী নয় যদিও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীরা একে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে।
২০০৬ সালে বি এস এফ এর ডিরেক্টর জেনারেল এ কে মিত্র গরু চোরাচালানের পরিবর্তে বৈধভাবে বাংলাদেশে গরু রফতানীর আহবান জানান। বি, ডি আর বিদ্রোহে নিহত তৎকালীন ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও একই ধরনের মনোভাব পোষণ করেন। প্রথম কারন ধর্মীয়। গরু ভারতীয়দের কাছে পবিত্র প্রানী এবং অনেক স্থানে দেবতা তূল্য। ভারত থেকে বৈধ ভাবে গরু ধর্মীয় কারনে রফতানী করা হয় না ভারতীয়দের এই বক্তব্যও গ্রহনযোগ্য নয়, কারন ভারত ২০০৫ সাল হতে বাৎসরিক ১০ লক্ষ গরু সরকারীভাবে পাকিস্তানে রফতানী করে আসছে।
বাংলাদেশ-ভারত যদিও বন্ধুরাষ্ট্র, তবুও এ দুই দেশের সীমান্তে রাষ্ট্রীয় হত্যা হয় গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে এই গুলির ঘটনা একতরফা। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতীয় কোনো নাগরিক গুলিবিদ্ধ না হলেও ভারতের পক্ষ থেকে নিয়ম করেই গুলি চালিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থার মতে, ২০০০-২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কমপক্ষে ১,১৮৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে সীমান্তে মোট ৪৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ৷ এর মধ্যে ৪২ জনকে গুলি করে এবং ছয় জনকে হত্যা করা হয় নির্যাতন চালিয়ে৷ অপহরণ করা হয় ২২ বাংলাদেশিকে৷
ওই সময়ে ২৬ জন বিএসএফ-এর গুলি ও নির্যাতনে গুরুতর আহত হন৷ অপহৃতদের মধ্যে মাত্র পাঁচ জনকে ফেরত দেয়া হয়েছে৷ বাকিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে জানা যায়নি৷
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু, বাস্তবতা তা বলে না। বেশ কয়েক বছর আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) ‘ট্রিগার হ্যাপি’ নামে একটি প্রতিবেদনে এ ধরনের বেশ কয়েকটি মামলার উল্লেখ করেছে। যাতে বেঁচে যাওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন যে বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে বা সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়। বিএসএফ আরও দাবি করেছে যে দুর্বৃত্তরা গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের সদস্যরা গুলি চালায়। তবে কোনও অপরাধের সন্দেহে প্রাণঘাতি অস্ত্রের ব্যবহার ন্যায়সঙ্গত হয় না।
২০০০-২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কমপক্ষে ১,১৮৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ।
এইচআরডাব্লিউ, অধিকার ও এএসকের প্রতিবেদন এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, অপরাধী হিসেবে সীমান্তে হত্যার শিকার ব্যক্তিরা হয় নিরস্ত্র থাকে অথবা তাদের কাছে বড়জোর কাস্তে, লাঠি বা ছুরি থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীদের পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে পিঠে গুলি করা হয়েছিল।
এইচআরডাব্লিউ আরও উল্লেখ করেছে, তদন্ত করা মামলার কোনোটিতেই বিএসএফ প্রমাণ করতে পারেনি যে হত্যার শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাণঘাতী অস্ত্র বা বিস্ফোরক পাওয়া গেছে; যার দ্বারা তাদের প্রাণ সংশয় বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
সুতরাং, বিএসএফের মেরে ফেলার জন্য গুলি চালানোর দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে মানুষের জীবনের অধিকার লঙ্ঘন করে। যা ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের বেআইনিভাবে হত্যায় বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি নয়াদিল্লিতে খুবই কম গুরুত্ব পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যের বিবরণ বাংলাদেশকে দেয়নি ভারত। ভারত সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট অনুমোদন না থাকলে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বিএসএফকেও ফৌজদারি কার্যবিধির বাইরে রাখা হয়। বিএসএফ সদস্যদের এমন জবাবদিহিতার বাইরে থাকাই সীমান্ত হত্যার ঘটনাগুলোকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলেন, ভালো প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে চলাচলকারীদের সঙ্গে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আচরণ করে। ভারত সরকারের এটা নিশ্চিত করা উচিত যে তার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান করছে এবং আইনের শাসন অনুসরণ করছে। বিএসএফ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে জাতিসংঘের সাধারণ নীতিমালা মেনে চলার জন্য প্রকাশ্যে আদেশ দেওয়া উচিত। বিএসএফের নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত তার সদস্যদের বিচার করতে পারেনি। ভারত সরকার বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে নির্যাতনের মামলাগুলো তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারত সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল দফায় দফায় বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সীমান্তে হত্যা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতে, ২০১৮ সালে যেখানে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা ছিল ১১, সেখানে ২ বছরের ব্যবধানে তা চারগুণ ছাড়িয়ে গেছে। ভারত সরকারের সবুজ সংকেত ছাড়া এভাবে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার কথা নয় বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। ভারত সরকার যেহেতু বাংলাদেশকে কৌশলগত বন্ধু হিসেবে তুলে ধরে, সেক্ষেত্রে সীমান্তে হত্যার নির্দেশ কে দিচ্ছে, কিংবা সেই হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কে ভারত সরকারকে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশকে এটা খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিই সীমান্তে হত্যার সংখ্যা হ্রাস করতে পারে। গোটা দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা এ প্রশ্নে একমত যে, কেবল ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বাংলাদেশের সরকার বাধ্য করতে পারলেই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সীমান্ত হত্যার পেছনেও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সন্দেহ রয়েছে। ভারত ছোট দেশকে সব সময় ছোট করেই রাখতে চায়। তাই সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক শুধু কাগজে কলমে। তাই ভারতের ক্ষমতাসীনদের মধ্যে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৩৩
আপনার মতামত জানানঃ