বিশ্বে এখনো কমেনি করোনার প্রকোপ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা। গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১১ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে ডেলটা ও ওমিক্রন ধরন সম্মিলিতভাবে করোনার সংক্রমণের একটি বিপজ্জনক সুনামি চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওমিক্রন ও ডেল্টার জোড়া আঘাত কোভিড-১৯ সংক্রমণের সুনামি সৃষ্টি করতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের চাপ প্রয়োগ করবে। ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে নতুন করে রেকর্ডসংখ্যক মানুষের করোনা শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল বুধবার ডব্লিউএইচওর মহাসচিব তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসের কাছ থেকে এসব মন্তব্য এলো।
ফ্রান্সে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এযাবৎকালে এক দিনে সর্বোচ্চ দুই লাখ আট হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক গড়ে রেকর্ড ২ লাখ ৬৫ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া ডেনমার্ক, স্পেন, পর্তুগাল, গ্রিস, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে দৈনিক করোনা শনাক্তে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে।
বিশ্বজুড়ে রেকর্ডসংখ্যক সংক্রমণের নেপথ্যে থাকা করোনার দুটি ধরনের (ডেলটা ও ওমিক্রন) প্রকোপকে ‘যুগল হুমকি’ বলে সতর্ক করেছেন ডব্লিউএইচওর প্রধান।
তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ডেলটার পাশাপাশি একই সময় আরও সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের বিস্তারে করোনা শনাক্তের সুনামি নিয়ে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
ডব্লিউএইচওর মহাসচিব বলেন, নতুন করে শুরু হওয়া করোনার এই প্রকোপ পরিশ্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সাংবাদিকদের বলেন, উন্নত দেশগুলোর টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপক কর্মসূচি করোনা মহামারিকে আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে। কারণ দরিদ্র ও টিকাদানের হার কম—এমন দেশগুলোর পরিবর্তে টিকার সরবরাহ ধনী দেশগুলোতে যাচ্ছে। এই বিষয়টি করোনাভাইরাসকে অধিক বিস্তার লাভ ও মিউটেশনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে এখন দিনে নতুন করে প্রায় ৯ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
নভেম্বরে সাউথ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একটি অংশে এখন এটিই করোনাভাইরাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধরন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯২ দেশের ৪০ শতাংশ নাগরিককেও টিকা দেয়া হয়নি। তেদ্রোস আহ্বান জানান, দেশগুলো নতুন বছরের জুলাইয়ের আগেই যাতে ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দিতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে।
ডব্লিউএইচওর তথ্যে, গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ।
পুরো ইউরোপে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় জার্মানিতে সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বড়দিনের পর সামাজিক অনুষ্ঠান উদযাপনেও সীমাবদ্ধতা দিয়েছিল দেশটি।
পর্তুগালেও ২৬ ডিসেম্বর থেকে নাইট ক্লাব ও বার বন্ধ রাখা হয়েছে।
সুইডেনে ক্যাফে ও বারে লোকসমাগম কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পেশাজীবীদের বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি সিএনএনকে বলেছেন, জানুয়ারির শেষ দিকে দেশটিতে ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়া (পিক) দেখা যেতে পারে।
ওমিক্রন ও ডেল্টার জোড়া আঘাত কোভিড-১৯ সংক্রমণের সুনামি সৃষ্টি করতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের চাপ প্রয়োগ করবে। ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কায় ভারত
ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি ‘তৃতীয় ঠেউ’-এর সংকেত দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে ১৩ হাজার ১৫৪ জন। সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।
কার্যত একদিকে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, অন্যদিকে রাজ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। মুম্বাইয়ে নববর্ষ উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গোটা শহরে বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যা ৭ জানুয়ারি, ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে শহরের যেকোনো খোলা স্থানে, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ব্যাঙ্কুয়েট হল, বার, ক্লাব ইত্যাদিতে সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতে ওমিক্রনের সংক্রমণও বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬১-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে দিল্লিতে (২৬৩) এবং মহারাষ্ট্রে (২৫২) সর্বাধিক আক্রান্ত পাওয়া গেছে। কর্ণাটকে ওমিক্রনের ৫ জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে. এছাড়া পাঞ্জাবেও ১ জন শনাক্ত হয়েছে।
দেশের অনেক রাজ্যে বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে, কিছু রাজ্যে তা বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে দিল্লিতে বুধবার ৯২৩টি নতুন করোনা সংক্রমণ রেকর্ড করেছে, যা এক দিন আগে শনাক্ত হওয়া ৪৯৬-এর দ্বিগুণের কাছাকাছি। মুম্বাইতে ২ হাজার ৫১০টি করোনা সংক্রমণ নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং বেঙ্গালুরুতে ৪০০, কলকাতায় ৫৪০ এবং চেন্নাইতে ২৯৪ জনের নতুন করে করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ছয় মাস পর প্রথমবারের মতো রাজস্থানে ১০০-র বেশি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। দেশব্যাপী করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার ৪০-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৮২ হাজার।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর বুধবার থেকে ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত রাজ্যে রাতের কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজেশ কুমারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারের আদেশ অনুসারে, ২৯ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত রাতের কারফিউ প্রযোজ্য হবে। উত্তর-পূর্বের আরেকটি রাজ্য মিজোরামে ২০২ জন নতুন করোনা সংক্রমিতের খবর পাওয়া গেছে।
জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের গুরুগ্রামে আরও দুজন ওমিক্রন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে এখন ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, একজন ৫৮ বছর বয়সী মহিলা এবং ৩১ বছর বয়সী এক পুরুষকে ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত পাওয়া গেছে। দুজনই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার উভয় ডোজ নিয়েছিলেন এবং বিদেশ ভ্রমণ করেননি।
বুধবার গুরুগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ১৫১টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যা গত ছয় মাসে দৈনিক শনাক্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা। পাঞ্জাবে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন সংক্রমণের প্রথম ঘটনা জানা গেছে। চলতি মাসে ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি স্পেন থেকে এসেছিলেন। তার শরীরেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
মুম্বাইয়ে হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ায় রাজ্য সরকার বেশ উদ্বিগ্ন। গতকাল প্রায় আড়াই হাজার শনাক্ত ও করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর পর ওই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ভয়ংকর গতিতে বাড়ছে। এখন শনাক্তের হার ৪। এটা ৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকলে দিল্লির মতো নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তাই সবাইকে আরও বেশি সাবধান হতে হবে। এ ছাড়া বিয়ে বা অন্য কোনো জনসমাগম থেকে দূরে থাকতে হবে।
নতুন বছর উপলক্ষে জনসমাগম ঠেকাতে গতকাল কোভিড-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করে রাজ্য সরকার।
মহারাষ্ট্রের পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, যারা এসব নিয়ম মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ে করোনা শনাক্তের হার বাড়লেও বেশির ভাগ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হচ্ছে না। গত সপ্তাহে শনাক্ত ৩৫৪ জনের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে আক্রান্ত ৩৫৪ জনের মধ্যে ৭৫ শতাংশ করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন।
এক সপ্তাহে বিশ্বে করোনা শনাক্তের রেকর্ড
বিশ্বজুড়ে সাত দিনে করোনাভাইরাস শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৯ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে রোগী শনাক্তের রেকর্ড এটা। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দৈনিক করোনা শনাক্তের যে তথ্য দেয়, তার ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান বের করেছে এএফপি।
মহামারি শুরুর পর থেকে অনেক দেশে করোনার পরীক্ষা বেড়ে গেলেও কম গুরুতর বা উপসর্গহীন সংক্রমণের একটি বড় অংশ শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে করোনা পরীক্ষার নীতিমালাতেও পার্থক্য রয়েছে।
২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগী শনাক্তের সংখ্যা থেকে বোঝা যায়, এটি অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে শনাক্ত ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে করোনা শনাক্তের রেকর্ড হয়েছিল ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে। ওই সময়ে এক সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৮ লাখ ১৭ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে গত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এই ভাইরাসের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া এবং ওমিক্রন ধরনটির অতি সংক্রমণশীলতার কথা বলেছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি বলেছে, করোনার নতুন ধরন অমিক্রন নিয়ে সামগ্রিক ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে অমিক্রন সংক্রমণ বাড়লেও করোনায় মৃত্যু বাড়েনি। তিন সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃত্যু কমছে।
গত এক সপ্তাহে বিশ্বে করোনায় দৈনিক গড়ে ৬ হাজার ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের অক্টোবর মাসের পর থেকে সর্বনিম্ন। এ বছরের ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি করোনায় দৈনিক গড়ে ১৪ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব।
বর্তমানে করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটছে ইউরোপে। গত সপ্তাহে সেখানে ৩৫ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দৈনিক গড়ে ৫ লাখ ১০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনার আগের ঢেউয়ের সময় এ মহাদেশে কখনো দৈনিক গড়ে তিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়নি।
দুই বছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের এই ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, প্রকৃত মৃত্যু আরও দুই থেকে তিন গুণ হতে পারে।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। যা ইতোমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ আমেরিকায় ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৭ জন শনাক্ত হয়। আর বুধবার দুই লাখ আট হাজার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, ইতালি, গ্রিস ও পর্তুগালেও সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়েছে।
এদিকে ‘হু’র তথ্যমতে, আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ ১১ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বরের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪.৯৯ মিলিয়ন মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৬৫৫
আপনার মতামত জানানঃ