মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইয়ে সাহসী ভূমিকা রাখায় এ বছর ফিলিপাইন ও রাশিয়ার দুই সাংবাদিককে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ। নরওয়ের নোবেল ইনস্টিটিউট গত শুক্রবার অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০২তম নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।
একের পর এক মামলা, হুমকি–ধমকি, দুই দফা গ্রেপ্তার— এতকিছুর পরও যিনি কলম থামাননি, তিনি হলেন মারিয়া রেসা। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে হয়ে উঠেছেন এক অদম্য যোদ্ধা, কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব কণ্ঠস্বর।
মারিয়া রেসার সাংবাদিকতার শুরু ১৯৮৬ সালে। তখন থেকে ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কলম সচল রেখেছেন। একজন প্রতিবেদক হিসেবে যতটা খ্যাতি অর্জন সম্ভব, তার কিছুই অধরা থাকেনি তার জীবনে। ৫৮ বছর বয়সে এসে মিলল শান্তিতে নোবেল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ম্যানিলা ও জাকার্তার সাবেক ব্যুরো প্রধান মারিয়া রেসা ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইট ‘র্যাপলার’। উদ্দেশ্য, প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে সরকারের কর্মকাণ্ডের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা। মাদক নির্মূলে সরকারি বাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানসহ কর্তৃত্ববাদী দুতার্তেকে নিয়ে একের পর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে র্যাপলার। স্বাভাবিকভাবেই দুতার্তে সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। মারিয়া রেসার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়। অনলাইনে আসতে থাকে হুমকি।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে মারিয়া রেসার নাম ধরে দুতার্তে নানা বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন, আক্রমণ করেন। এমনকি তিনি রেসার প্রতিষ্ঠিত র্যাপলারকে ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ আখ্যায়িত করেন।
ঝুঁকি সত্ত্বেও দুতার্তে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন মারিয়া রেসা। গত বছর এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কাউকে না কাউকে ঝুঁকি নিতেই হয়, সাহস দেখাতে হয় যাতে করে সতীর্থরা তাদের কাজ এগিয়ে নিতে পারেন।
মারিয়া রেসা বহু দেশে সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন। সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। আল–কায়েদার মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার জঙ্গিদের যোগাযোগের বিষয়টি তিনিই সামনে এনেছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত র্যাপলারে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
সাংবাদিক মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভের নোবেল শান্তি পুরস্কারলাভ বাক স্বাধীনতার বড় একটি বিজয়। বিশ্বজুড়েই সংবাদমাধ্যমের লাগাম টেনে ধরার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ঠিক এমন সময় রেসা ও মুরাতভের অর্জন গণতন্ত্র রক্ষার চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমের সমালোচনাত্মক ভূমিকাকেই নতুন করে সামনে এনেছে। তবে রেসার জয়কে আরও একটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আছে, আর তা হলো ফেসবুকের ব্যর্থতা।
বিশ্বে চলছে সোশ্যাল মিডিয়ার রাজত্ব। যুগের চাহিদায় দিন দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। ফেসবুক ছাড়া এখন ভাবাই অসম্ভব। কী নেই এখানে? চাইলেই সবকিছু মেলে নেট দুনিয়ায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ফেসবুক। ভুয়া তথ্য প্রচার, অশালীন মন্তব্য ও ঘৃণা ছড়ানোর অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এ মাধ্যম। এ ছাড়া ফেসবুকের বিরুদ্ধে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদে সমর্থন ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বিশ্বের অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা। মানুষকে বিপথগামী করতে রীতিমতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।
এ বছর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা ৯ অক্টোবর এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, ফেসবুক গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। ঘৃণা ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
‘বিশ্বে সংবাদের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির অ্যালগরিদম ভুয়া তথ্য ও ঘৃণা ছড়ানো ঠেকানোকে অগ্রাধিকার দিতে সফল হয়নি। এমনকি তথ্য প্রকাশ ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে ফেসবুক। ফেসবুক গণতন্ত্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, এমন মন্তব্য করে মারিয়া রেসা বলেন, ‘আপনার কাছে যদি তথ্য না থাকে, তবে আপনি প্রকৃত সত্য জানতে ও বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন না। আর এসবের অভাব গণতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে।
ফিলিপাইনের অন্যতম ভিন্নধারার পত্রিকা র্যাপলারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া রেসা একসময় সিএনএনে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিউজ ওয়েবসাইট হিসেবে প্রকাশের পূর্বে ২০১১ সালে স্রেফ একটি ফেসবুক পেজ হিসেবে র্যাপলার যাত্রা শুরু করে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতোই ফিলিপাইনের মানুষের জন্যও অনলাইন জগতে প্রবেশের অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম হলো ফেসবুক। ফিলিপিনোদের জন্য ফেসবুক ইন্টারনেটের সমতুল্য এমন বক্তব্যও নতুন নয়।
রেসা প্রথম ফিলিপাইনে ফেসবুকের আধিপত্য বাড়ার সঙ্গে কীভাবে ফেসবুকের সামাজিক দায়বদ্ধতাও বেড়ে গেছে, সেটাই মার্ক জাকারবার্গকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। ৯৭ শতাংশ ফিলিপিনো ফেসবুক ব্যবহার করেন বলে জাকারবার্গকে জানিয়েছিলেন রেসা। ফেসবুকের সঙ্গে যে সমস্যাগুলোর উদ্ভব ঘটছে তা ভালোমতো বোঝার জন্য তিনি জাকারবার্গককে ফিলিপাইনে আসার আমন্ত্রণ জানান।
মার্ক জাকারবার্গ সেই আমন্ত্রণ উপেক্ষা করেন বলেই মনে হয়েছিল। পরিবর্তে তিনি দেশটিতে ফেসবুকের প্রভাব আরও জোরদার করার দিকে মনোযোগ দেন। তিনি নাকি উল্টো প্রশ্ন করেছিলেন, “বাকি ৩ শতাংশ তাহলে কী করছে, মারিয়া?”
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের উত্থানের পর থেকেই রেসা ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন। মিথ্যা তথ্য ছড়ানোতে ফেসবুকের সক্রিয় ভূমিকার পাশাপাশি তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে প্রভাব পর্যালোচনায় ফেসবুকের অনীহা নিয়েও সমালোচনা করেন। অথচ ফেসবুকের বৃহত্তম বাজার এই অ-পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই এসব দেশের বাসিন্দা। ভারতে হেট স্পিচ বা বিদ্বেষমূলক বার্তা নিয়ন্ত্রণে কিংবা মায়ানমারে জেনোসাইড ও সহিংসা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্যও ফেসবুক তুমুল সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
রেসা এবং তার র্যাপলারের নির্ভীক প্রতিবেদক দল দুতার্তের শাসনব্যবস্থায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও বিরোধীদলকে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুতার্তে ক্ষমতায় আসার পর রেসা বেশ কিছু ফেসবুক পেজ সামনে নিয়ে আসেন। এই পেজগুলো অন্তত ৩০ লাখ মানুষের কাছে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। তিনি তার প্রমাণাদি ফেসবুকের কাছেও পাঠান। কিন্তু, ফেসবুক তা আমলে নেয়নি।
২০১৯ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে রেসা বলেন, “ফেসবুক এখন বিশ্বের বৃহত্তম সংবাদ বিতরণকারী। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা দ্বাররক্ষকের ভূমিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যখন তারা এই কাজ করে, যখন মিথ্যাকে সত্যের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন সমগ্র জনপরিসরের জন্যই তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
শান্তিতে নোবেল পাওয়ার পর এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মারিয়া রেসা রয়টার্সকে বলেন, ঘৃণা ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরুপ।
‘বিশ্বে সংবাদের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির অ্যালগরিদম ভুয়া তথ্য ও ঘৃণা ছড়ানো ঠেকানোকে অগ্রাধিকার দিতে সফল হয়নি। এমনকি তথ্য প্রকাশ ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে ফেসবুক। ফেসবুক গণতন্ত্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, এমন মন্তব্য করে মারিয়া রেসা বলেন, ‘আপনার কাছে যদি তথ্য না থাকে, তবে আপনি প্রকৃত সত্য জানতে ও বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন না। আর এসবের অভাব গণতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে।
মারিয়া রেসা বলেন, ‘বিশ্বে সংবাদের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির অ্যালগরিদম ভুয়া তথ্য ও ঘৃণা ছড়ানো ঠেকানোকে অগ্রাধিকার দিতে সফল হয়নি। এমনকি তথ্যপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে ফেসবুক।’
ফেসবুক গণতন্ত্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে উল্লেখ করে মারিয়া রেসা বলেন, ‘আপনার কাছে যদি তথ্য না থাকে, তবে আপনি প্রকৃত সত্য জানতে ও বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন না। আর এসবের অভাব গণতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে।’
এমন একসময় মারিয়া রেসা এ মন্তব্য করলেন যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ওপর ‘ভীতিকর ও মুসলিমবিদ্বেষী’ কনটেন্ট ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। ফেসবুকের বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ গবেষণা ও নথি গণমাধ্যমে ফাঁস করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন তিনি।
দুতার্তে ও তার অনুগত দুর্বৃত্তদের হাতে নিপীড়নের শিকার রেসা ও তার দলকে রক্ষা করতেও ব্যর্থ হয় ফেসবুক। রেসা ও তার সহকর্মীরা অনলাইনে তীব্র আক্রমণ, সহিংসতার হুমকি ও যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের গ্রহণযোগ্যতা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে ফেসবুক। দুতার্তের সমর্থকরাই এই তথাকথিত ‘ট্রল আর্মিদের’ সংগঠিত করেছিল। টাকার বিনিময়েও অনলাইনে তাদের হয়রানির আয়োজন করা হয়।
করফাঁকি কিংবা অনলাইনে মানহানির মতো ফৌজদারি অভিযোগে জড়ানোর পাশাপাশি রেসাকে থামাতে দুতার্তে সরকার অনলাইনেও ক্রমাগত হয়রানি করে যায়। জেলে রাত কাটানোর সঙ্গে রেসার স্বাধীনভাবে চলাফেরার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে দুতার্তে সরকার।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্টস অ্যান্ড ইউনেস্কো কর্তৃক চলতি বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেসবুকে রেসার পক্ষে প্রতিটি মন্তব্যের বিপরীতে তাকে আক্রমণ ও অপদস্ত করে মন্তব্য করেছে আরও অন্তত ১৪ জন। তাকে ‘বেশ্যা’ বলা থেকে শুরু করে ধর্ষণ ও শিরচ্ছেদের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। ফেসবুক কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
অনলাইন ট্রল আয়োজনের মাধ্যমে দুতার্তে সরকারের এই নিপীড়নে স্পষ্ট সংযোগ থাকা সত্ত্বেও ফেসবুকের নিষ্ক্রিয়তা বিষয়টিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
সাংবাদিকদের জন্য ফিলিপাইন বিশ্বের অন্যতম অনিরাপদ রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও পাবলিক ফিগার হওয়ায় ফেসবুক রেসাকে রক্ষা করতে খুব বেশি কিছু করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দেয়। ফেসবুক আক্রমণাত্মক ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অপসারণের দাবি করলেও তাদের অভ্যন্তরীণ নথিতে, রেসা কিংবা অন্যান্য পাবলিক ফিগারদের হত্যার হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফেসবুকের নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণও মিলে। আর তাই রেসা ও তার সহকর্মীরাও বিরামহীনভাবে ভার্চুয়াল আক্রমণের শিকার হতে থাকেন। সেইসঙ্গে চলতে থাকে জনসাধারণকে প্রভাবিত করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলা ফেক অ্যাকাউন্ট ও মূলধারার গণমাধ্যমের মিথ্যা প্রচারণা।
রেসা কিন্তু থেমে যাননি। নিপীড়ন, মামলা, সহিংসতার হুমকি সত্ত্বেও তিনি কাজ করে গেছেন। দুতার্তের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে সরকারকে তিনি চাপের সম্মুখীন করেছেন। তবে, দুতার্তের চেয়েও বৃহৎ, প্রভাবশালী এবং সম্ভবত আরও ভয়ঙ্কর যে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নেন তা হলো ফেসবুক।
শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে রেসার সাহসিকতাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। কিন্তু, জননিরাপত্তা ও গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষত ফেসবুকের যে মুখোশ তিনি বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচন করেছেন, তার জন্যও তিনি এই সম্মাননার অংশীদার।
৫৮ বছর বয়সী মারিয়া রেসার বিষয়ে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, তিনি তার জন্মস্থান ফিলিপাইনে ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতার ব্যবহার এবং দেশটিতে ক্রমেই বেড়ে চলা কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করছেন।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০৪০
আপনার মতামত জানানঃ